বিউগল বাজানোর যে ফেরিঅলারা পরিযায়ী হয়েছে
রঙ্গীত মিত্র
পয়লা মে,২০১০ ঃ
“
What passes for night here has more to do with the place
where the body is flayed open to sorrow and wonder.
The boy on the bridge drops a feather into a lost river.
A rusting lawn dreams of grass rude and fescue.
A match held down to tobacco still burns with an upward flame.
There is no truth here.
Dutifully the mist comes down the mountain. What else can I tell you?
“ [There are no Names for Red-VI]
[ Chris Abani]
১।
সম্পর্ক একটা দূরারোগ্য রোগ বিশেষ । এইরকম ভাবতে ভাবতে কফি হাউস থেকে ফিরছিলাম । ফেরা নিয়ে অনেক সমস্যা,এই সময় প্রচুর ফোন আসে ; পপকর্ণ চিবোতে চিবোতে আলোর লাল সবুজ হয় । আমার ও লাল সবুজ ছাড়া আর কিছুতেই আগ্রহ নেই । হলুদ রংটা মহাকাল হয়ে আছে। যেমন ধরুন মধ্যরাতের রাস্তা । আলো দিয়ে সব ধোয়া । সে সব ধোয়া মোছা রাস্তায় ম্লান রঙা আলো,কেউ কেউ লাইট পোস্ট ভেবে অপেক্ষা করে যায় । অপেক্ষার পর কোন দাম আছে ভেবে লাঠি নিয়ে কিছুটা অন্ধকার তোলে---ছাতা বানায় । এখন আর সেই পুরাতনী গান বাজে না । আতরের গন্ধের কাছে হাঙরেরা চলাচল করে । কিছুটা ভুসো লেগে গেছে বলে রাত্রি কেমন আছো ? অথবা এইভাবে ওড়ে ; বাদুর বাদুর ; দেরি হয়ে যেমন সাঁওতালরা তাদের বাড়ির মাটির দেওয়ালে খড়ি দিয়ে আঁকে । আঁকার ভিতর ও লেখা থাকে । লেখার ভিতর তোমাকে । বিঁপ বিঁপ । আওয়াজ ।একটু ডিটারজেণ্ট দিয়ে ঘষে দি?
পাথরের মুর্তির মত জেগে থাকে কেউ কেউ । বয়স হয়েছে বলে কোন সুখ রাঘব বোয়াল । “এই পা চালিয়ে চল”—লাস্ট ট্রেন পিছু ভিড় । দুধের ফোঁটা লেগে আছে । চিক চিকা । ঠিক বলছেন । না না বিডন স্ট্রীট । এইরকম দেওয়ালে লেখা থাকে না । দেওয়ালে বড় বড় কথা লেগে থাকে ।লেগে থাকার টপ আর এন্ড নিয়ে একটা উলবোনার কাঁটা নিলাম । কারণ ওখানে শুধু সমাজ-সময় আর রাষ্ট্র নিয়ে লেখা থাকে । জিব্রেজাং জংশনের মত । যার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। এখন রক্তবীজ কথাটা হেঁদুয়ার ফেলে রেখেছি । আমার এইটুকু মনে আছে,কলেজস্ট্রিট বাটা পেরিয়ে ছিলাম ।নিজেকে কেমন পায়রা পায়রা বলে মনে হচ্ছে ।একটা নীলের হাইলাইট মারা । তাপ্পির মত ।শ্বেত ব্লার লেগেছে । ব্লার না পট্টি । এই ধরুন আমি কলেজ স্ট্রীট থেকে বাড়ি আসতে চাই । চায়ের দোকান পেরিয়ে ভানুমতীর দরবার । মৃত-স্তুপের মত গোলক ধাঁধা । গরুর দোকান ।চোঁয়া ঢেঁকুর । দোলা দিচ্ছে । একটা গোল গোল চাকা । ফরাক্কার জল যেরকম আসে । আমার পাশের দিকের অপরূপা । এই অপরূপা শব্দটা হাতে এসে গেছে । কার উদ্দেশ্যে ? কার? না না শোও । শুয়ে পড়ো প্লিজ ! প্লিজ ।
আমি বার বার পিছনে ফিরে আসি ।এই ধরূন ঘোলাটে কিছু এলেই আমি কি সব দেখতে থাকি ।দেখার দিক দিয়ে দেখতে গেলে বিরাট কোলি,গৌতম গম্ভীর এই সব ভাবতে হয় । ভাবনার একটা স্কুল খোলা হবে । এই আমি একটা মেজোনাইন সাইজের ঘরের সামনে এসে সমুদ্র দেখি । পাতিরামের সামনের আঁচলে অ্যাতোটা বিকাশ ঘটীত ব্লিঙ্ক লেগেছে আর ফলতঃ কলের মাথার মত রাস্তার মোড় শুধু ঘোরাচ্ছে । বন বন ।আর এই বনসাই আমাদের অবলম্বন । এই ধরুন রাত বাড়ালে রেডিওরা চেজ্ঞ করে । গরম ছুঁচ আমার মাথার ঘিলুতে খেলছে । খুব ছ্যাকা লাগছে । ঠিক ১টার সময় ঘন ৪৫ডিগ্রীর মাফলার ।এই যা পকেট থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো । মোবাইল তুলে নিলাম । জমাট বাঁধা বাড়ি—বাথরুম পেলেই যেখানে আমরা আড়লে খুঁজি আর নেশা হলে চাতালে,মাদুর বিছিয়ে ধুলোটানা রিক্সা,পুলিশ-টহল--নৌকার মত কুকুর শুঁকে শুঁকে শেয়ালদা স্টেশান । একটা লাল বোতাম টিপলে একটা ছাদের উপর । উলটো ছাদের ও যেখানে গল্প আছে ।যেখানে গল্প অনুসারে তুমি সামনের দোতলার জানলায় দেখবে । দেখা নিয়ে দেখা নিয়ে হাতের তালুময় ম্যাপ পয়েণ্টিং । ম্যাপ নিয়ে হিসেব হোলো কে কত % বেকার । কালো কোর্ট পড়েছে তখন।পর্দাটা উঠলো । তুমি দেখছে একটা পোট্রেট । আসলে বড় হওয়া একটা উপাধির মত । তবে সব কিছু তুলনামুলক ভাবে সত্য ।সত্য এইরকম পুর্ব-প্রাচীন শব্দ লিখতে গিয়ে দেখি আঙুলগুলো ও উথাল পাতাল । একটা বক্স দিয়ে আপাতত আঙুল চালাণো হচ্ছে ।ভূতেদের যেমনি চোখ আমরা স্বপ্নে ভেবে থাকি---সেরকম অগোছালো ভয়াবহ ।
কিছুদিন প্রিয় কিছু বাদ পড়লে ; আবার ভালো লাগে । পাখার ফাঁক দিয়ে ছায়া কেটে যায় ।কেউটের মত কেউ শব্দ করে না। উপরে যাওয়ার শব্দ হয় । একপাঠ ছায়া আসে । ঘাম হয় ।
তারা ছিল এরকমই ; তুমি বাডি যেতে এই রাস্তায় ; রাস্তায় গাড়ি চলে;গাড়ির ভিতর দিয়ে গাড়ি হয়ে ওঠে
ঘাগরা ছূঁয়ে যায় ; আলোর কি নিয়ে বলতে গিয়ে ।অজানা বিছানা ঘুম ভাগাভাগি করে ।
৩মে,২০১০ঃ
বাড়িতে বসে আছি । এখন আমার ঘড়িতে সবে সকাল ৭টা ।পলরবসন শুনছি ঃ
“Ol' man river,/Dat ol' man river/He mus'know sumpin'/But don't say nuthin',/He jes'keeps rollin'/
He keeps on rollin' along.”
কিছু রাস্তা বাধ্য করে দেয় যেতে । কালকের বৃষ্টির পর বেশ শীত শীত ।ঠান্ডা বাতাসের ঝাপ্টা আসছে । কাল ঘুমতে ঘুম্যতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল । সেরার ফোন আসেনি । আমার জলধরা মোবাইলে একই গান হয়ে যায় । একজন বৃদ্ধলোক নৌকা ভাসিয়ে যাচ্ছে । খেয়াল হল আমি আমার চেয়ার এ পর্যন্ত । এখন ও ঘরের ভিতর থেকে জানলা । জানলার বাইরে সমুদ্র দেখতে গিয়ে দেখি রেল লাইন হয়েছি । সামনে বাড়ির এক্টি মেয়েকে দেখতে পাচ্ছি ।ওর নাম পিয়া । একটু মুচকি হেঁসে অবাক হয়ে উড়ে গেল।ওর চুল ; চোখ ---আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে একটা ক্যানিং-লোকাল চলে গেলো । আমি আবার মেঘ গুনতে থাকলাম । মেঘের ভিতর একটা নেট ওয়ার্কিং থাকে । আমাকে বয়ে নিয়ে যাও হে ; বয়ে নিয়ে যাও।
টর্চ ; উল্টো দিকে করে রাখা একটি টর্চ ।
বিয়ের সানাই-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ছে
রিক্সাঅলা আর আমি ।
এই আমি লিখেই একটা কাক জানলায় বসে এদিক ওদিক দেখছে । আমার মোবাইলের মওকাপুরে এখন ও ঘুম । আমরা এক গর্ত থেকে অন্য গর্তে আলো ভরছি । তার দিয়ে আলো ভরছি । আসলে বেশি সময় আমি বসে থাকতে পারি না । খাতায় আমি এলজেবরা লিখতে গিয়ে দেখি সেতু হয়ে গেছে ।কে যেন খুব বিরক্ত করে । জানেন এই লেখার সময় । আমার ভাবনাগুলো আবার হারিয়ে যায় । এই হারিয়ে যাওয়াকে আমি খুব ভয় পাই । আর ভয় পাই বলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাই ; রেগে যাই ; একই গান শুনি । একই জিন্স থেকে কালো রং আকাশ হয়ে যায়;বেড়াল হয়ে যায় । ছবিগুলো উল্টে রাখি । জল ঝরে আসে । যদিও জলের বিভিন্ন আশ্রয় আছে ।আরো ১০ মিনিট দাদা । পাবলিক টেলিফোন টেলিফোন জীবন । এইবার থামলাম । জল আর সেতু । জল আর সেতু নিয়ে থামলাম । আমার তাক থেকে একটা জেগে থাকো জেগে থাকো ভাব । জলের কথা ভাবতে ভাবতে বেড়িয়ে পড়লাম । এখন রোদটা ৪০-এ নেই । তাই রোদের জ্যামিতি নিয়ে মৌবন দেখছি ।মৌ নিয়ে আর একটা শব্দ মনে এলো মৌতাত মৌতাত । আমার বাড়ির সামনের রেল লাইন পেরোলেই অনেকটা দূর । এই দূর শব্দটি আমার দূরত্ব-র নির্ভরশীল ।বাকিটা শীতলগোত্রের প্রাণী । লেকের পাশ দিয়ে হাঁটলে অন্য বাতাস সোচিনের প্রথম ২০০ করার মত ,লারার একটা হুক সর্ট । লেকের পাশ দিয়ে আমার ঘুরে বেড়ানোগুলো সিনেমা দেখেছে ।এখন আপনি ভাবুন গোলপার্কের মোড় ।রামকৃষ্ণমিশন ।রামকৃষ্ণমিশন পেরিয়ে কিছু চায়ের দোকান বসে আছে । গাছের ঢাল থেকে চায়ের পাতা---একটা পাঁচ নম্বর বাস হুস করে চলে গেলো । স্কুল যখন পড়তাম তখন এই গোলপার্কটাই কত দূরে ছিল । এইতো ক্লাস টেনের পরীক্ষার পর আমি,সুতপা,সিরিন এই চায়ের দোকান ছাড়িয়ে লেকের মুখের দোকান থেকে ৫৫৫ কিনে ছিলাম ।লুকিয়ে স্মোক করার একটা আনন্দের ; “টু ব্ল্যাক ডগস” যেমনি একটি মদের দোকানের নাম । ছোটবেলার এইসব মুহুর্তগুলো খুব আপন আপন লাগে । এখন আর বিয়ার খেতে ইচ্ছে করে না । সিরিন পুনাতে,সুচেতা জে-এন-ইউতে । আমি এখন ও শহর ছাড়িনি । টিউশানির মত ; খুনশুটির মত ---মাথার উপর থেকে পাতা ভেসে আসে—গাছের আর্কের ভিতর দিয়ে ভ্যালেনটাইন ভ্যালেনটাইন হয় । এই শব্দটা বেশ রসালো । শব্দ ভেঙে সিজলার বেড়িয়ে আসে।আবার আমি স্বাদের দিকে ফিরে আসছি । ঝোড়ে ঠান্ডা হাওয়ার ভিতর—আমি লেকের একটা পাড়ে বসে দেখি ওরা প্রেম করে রোদ্দুরে ; চোখের ভিতর তখন চোঙের খেলা । আমি পা দিয়ে পা দিয়ে কাদা মাখি ; কিছু কার্পেট শ্যাওলা পরিচয় সবুজ হয়েছে আর কেউ কেউ এক হয়ে পতাকা ওড়াচ্ছে । এটাও একটা জমায়েত । জমায়েতে ইণ্ডিয়ান ওয়েলের ছায়া আসে । সাউথসিটি ও । ওদের বাক্সের ভিতর শুনেছি জোনাকি থাকে । জোনাকি বিভিন্ন রকম আলো ভিজে গেলে ভিকিরা আসে ; ভিকি যে একটা কুকুরের নাম আমি জানতাম না । বিস্কুট খাচ্ছে সে ।ওর চেন থেকে ছায়া ওড়ে উথাল পাতাল জামাগুলো হাওয়া নিয়ে খেলে যায়; উপত্যকার ছাঁচ নিয়ে কেউ আসে ; কেউ আবার পাখিদের ঘর হয়ে যায় । পাখিদের ঘর মানে সাপের প্রবেশ । গাঢ় কিছু লেগে থাকে মুখে ঃ
তোমার নরম নরম আলো আমায় পথ দেখালো
এই লালঘূর্নি আমাদের বুদ বুদ,আমি ভীষণ অসহায়
কাঠির ভিতর দিয়ে সকাল হাঁটছে ; ভোরবেলার বিন্দু লেগে আছে আকাশে ।
বসে থাকতে থাকতে চা-অলা এলো । আমার পাশে তিনটে মেয়ে বসেছিল। ওদের গল্প শুনছিলাম । আমি এইরকম-ই একা লেকে বসে থাকে । একটা অস্থির স্রোতের মত ; মটর মটর লেগেছে লাল-নীল-কালো টপের ভিতর । একজন আমাকে পিছনে রেখে বসেছে । তার কালো স্কার্ট থেকে পীঠ ও কোমরের বাদবাকী আমার খুব ভালোলাগছে ।জিন্স থেকে গোলাপি রং-র কিছু স্তর--; আমি খুব মনোযোগ দিয়ে ওদের আড্ডা শুনতে লাগলাম ।কিছু ফিতে দিয়ে বুক ধরা আছে ; একটি মেয়ে তার জিনসের পকেট থেকে প্যাকেট বার করলো । তারপর প্যাকেট থেকে পাতা বার করে কি সব কাটলো টাটলো।একটা বড় সিগারেটে ভিতর ভরলো ।সিগারেট খাওয়ার পর তারা উঠে চলে গেলো ।কিছুটা ধোঁয়ার বুলি নিয়ে একটা ট্রেন এলো । আমি গাছের পিছন দিয়ে বিস্ময় ও গোলক আঁকলাম । লেকের জলে ছায়া পড়ছে গাছের । আর গাছের পিছন দিয়ে বজবজ লোকাল । আমি ট্রেনের পিছন পিছন দিয়ে দেখলাম মেঘ করেছে । ঘড়িতে আটটা বাজে । হাওয়ার পাল্লা ভাড়ি । মেঘের পাশ দিয়ে আমি একটা রাগবি খেলার ভিতর ঢুকে গেলাম ।এরপর বৃষ্টি এলো ।জলের মিশে থাকা পা থেকে আলো টানি ।আলোর ভিতর দিয়ে রাত এলো ।
৫মে । ২০১০।
“
When you come to me, unbidden,
Beckoning me
To long-ago rooms,
Where memories lie.
Offering me, as to a child, an attic,
Gatherings of days too few.
Baubles of stolen kisses.
Trinkets of borrowed loves.
Trunks of secret words,
I CRY.” ; [" When You Come”] Maya Angelou
ঘরের মধ্যে থাকলে অনেক কিছুই মনে আসে । এই ধরুন চেয়ারে বসে আছি । আঁকশি ঝুলছে দরজায় । এইবার টেবিলের সামনে চেয়ারটা টেনে আনলাম । আয়নায় আমার কাগজের ছবি হয়ে আসে । একটানা লিখতে গিয়ে মোবাইল হারিয়ে ফেলি । একজন,দুজন---এইরকম করে তোমার ফোন আসে না। আমি দু লাইন আবার লিখলাম । তোমার ফোন ব্যস্ত ।অনেকবার ট্রাই করার পর,ছেড়ে দিলাম । খুব খারাপ লাগছিলো । যখন একা থাকি তোমার কথা ভাবি । দূর থেকে সাউথসিটি দেখতে পাই । ওটা আমার দার্জিলিং-এর মত—কানের ভিতর নেপালি ছেলে গান গেয়ে যায় ; শীত শীত মুখ হয়ে বৃষ্টি আসে আর আমার ঘরে এখন আলোর কায়দা । এই আলোটা ছাড়া না ছাড়া খুবই কঠিন ;যেমনি আমি কিভাবে বেঁচে আছি সেটা ট্রামকে জিজ্ঞাসা করলে কিছু রোদ গূটিয়ে টিং টং শব্দের জাগলারি হবে ।যেরকম নদীদের ও বয়স বাড়ে । তারপর খাল হয়ে যায় । আসলে ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পর পলি পরে । ড্রেজিং হয় । কখনো হয় না আবার । গড়িয়ার স্টেশানের আগে একটা ব্রীজই আমার কাছে এরকম বিস্ময় নিয়ে আসতো । এমা! এরকম বলতে যে আমি একটা ফাটাফাটি তৈরি করতে থাকলাম সেটাকে পকেটে পুরে শহরের জল বইতে দেখি । আমার ছোটবেলা ঢাকুরিয়া,যাদবপুর পেরোলেই মাঠ,গাছ ইত্যাদি আদর্শ চিত্রকল্প দেখতে পেতাম । কেন জানি না এখন সব বাড়ি এসেছে ।বাস,লাইট পোস্ট আর সহর দেখে আসার মেজাজ নিয়ে ফোন চেক করি । একটা কোকিল কাকেদের বাসা খুঁজে না পেয়ে গজ গজ করতে করতে চলে গেলো । জলের ট্যাঙ্ক থেকে পৌরকল এইরকম ক্লাসিক লিখতে লিখতে কিছু পাতা আর খোলে না ।আমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা অ্যাপ্রুভ করে কেউ কেউ ; ঝিলমিল ঝিলমিল আমি গানশোনা মন নিয়ে খাটালেরা শহর ছেড়েছে । তাদের কাদামাটি নিয়ে যারা খেলে বেড়াতো তাদের চোখ ভরাট করেছে কম্পিউটার । আবার ফোন বাজলো । রেশ্মি ফোন করেছে । কিছু বেকার আলসের উপর থেকে দেখে সৌমিরা অনেকদিন এপারা ছেড়েছে । ওদের দোতলা বাড়িটার জায়গায় একটা গ্যারেজ-অলা ৫ তলা এসেছে । কিছু কুকুর গরম মুখে করে মেঘ ডাকছে ; বাকিগুলো সময় নষ্ট । ব্যাটমিন্টনের র্যা কেটে কবে ঝুল পড়েছে । কয়কেটা বস্তির ছেলে এসে শূণ্যস্থান পূরণ খেলছে । ওদের না কি খেলা নেই ; যাদের আছে তারা রুটিন বানাছে । হয়তো রুটি নেই বলে কিছু খোপ জমে আসার সেক্টর যার পাশ দিয়ে ট্রেন যায় । এইতো কিছুটা দূর থেকে আমি উঁচু উঁচু ন্যাজ্জ পাঁচিল দেখি । মেট্রোর ব্রীজ দেখে আমি মাটির নিচের কথা ভাবি ; সেই সব জলেদের কথা ভেবে হয়তে জেলে হয়ে যাই---মাঝিদের নিয়ে একটা ফ্লিম ফেস্টিভ্যাল হবে । চশমার নিচ দিয়ে আমাদের তলানির আঁচল কিম্বা গিটারের ট্রিগার বলবে শহরের টিউমার হয়েছে । আজকাল হাজার প্রোয়জন হলেও দরজা কেউ খোলেনা। এসব আহ্লাদ সব টব হয়ে গেছে । আমি যেখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম । ধরুন ১৯৯৭ সাল । সেই সময় আমাদের পাড়ায় আড্ডা বসতো । এবাড়ির রান্না ও বাড়িতে যেত । সুনয়না,পিয়াসিদের সংগে আমাদের অখন ভাব আড়ি । “সেক্স”-এর মানে আমরা বুঝিনি । দেহজ-তত্ত্ব ইত্যাদি ব্ল্যা ব্ল্যা—হেব্বি ভয়ের কিছু সিগারেট এইরকম তারপর বড় হয়ে আলাদা হয়েছি । বুঝেছি এটা ন্যাপকিন,এটা যৌনতা,এটা ফুর ফুরে----বৃষ্টি আসে । ব্লাউজের তলানি ফেরারী খাম । হয়ত আকর্ষণ কিম্বা অন্য যন্ত্রনা ।অভিকের বিয়ে হয় । মৃত্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না । পুকুরেরা বেড়ি লাগানো থাকে । তাসের আড্ডায় আফজল আসেনা ।আই-পি-এল হয় । ব্যারিস্তার হোডিং দেখে কিছু কফি অপেক্ষা করে । রাতের মুখে হাত দিয়ে পাকা পাকা হারিকেন কিছু লাইট হাইজের মত কিছু দ্রবনীয় নয় এরকম হরফ নিয়ে নাইটক্লাব আসে । মদ খেয়ে জুয়া খেলতে ইচ্ছে করে । আমার পায়ের ডগায় ভৌ ভৌ এমন মায়াবি কাউকে ভালো লাগে । কি বল্লেন পরকীয়া ? কি অপেন –সোসাইটি ? আমি হাসলাম । ওপেক ওপেক হাসলাম । তুমি শুনলে কপেগ । হা হা হা । আমার সামনে দিয়ে তিনটে মেয়ে চলে গেলো।আমি স্যারিডন স্যারিডন এমটেক এখানে আর গালি দেওয়া যাবে না বলে আর কলেজের ক্লাস,টিচারসরুম,গসিপ,হুইসিল এইসব নিয়ে রাজনীতি দেখলাম না । শুধু মিছিল লিখে দেখি ২৩৪ বাসটা আসেনি । মিডীয়া লেখা আছে । লেলিনের মূর্তির নীচে আমার ব্যাগটা টেনে এক থাপ্পর । শালা । খুন করে দেবো । ভয় পাই । ভয় নিয়ে ১০টার পর বাস কমতে থাকে । ১০ টা না বলে রাত দশটা বলা ভালো । কেউ কেউ শরীর বইয়ে হাত নাড়ে । ট্যাক্সি -----!!! রেট কত? এসি না নন এসি ? দূর এতে চলবে না । আপনি পার্কস্ট্রিটে চলে আসুন । অতোটা না আসলেও “স্কুল গার্ল,কলেজ গার্ল---” সবুজ আলো জ্বলে । আপনি শুধু আশ্রয় খুঁজুন আর আড়াল কোড়ান ।যাতে অন্ধকারের নাম না আসে আপানার ঘরে । এবার শেয়ালদা স্টেশানের বাইরেটা দেখুন । অনেকে গল্প করছে । কি বল্লেন সমকামি ! পাড়ার মাসিমা বল্লেন “কি লজ্জার ! কি লজ্জার “---আসলে লজ্জা কথাটাই অপরাধবোধ আর আমাদের মেকিমোচ্চপ থেকে উঠে এসেছে । ফলত যারা আমাদের মত নয় তাদের এইরকম অথবা বা ব্ল্যাক লিস্ট করে “অপেন-সোসাইটি” বা নুডিস্ট কলোনি নিয়ে ধ্রুবক লিখছি । এদিকে একটা ও আলাদা নেই হলে খুব বিপদ । সব্বাই যদি পীঠে ব্যাগ আর বাইক কিনে “দিল মাঙ্গে মোর” হয়ে । আহা তাহলেই ইস-কাবন ; রুবলের মত ব্যাপার । বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে গত জন্মের ভ্রণ । আবার বাইরে থেকে । মানে আমার বাইরে থেকে কে যেন বিরক্ত করে গেলো । আমি ধরতে পারলাম না । এই মাত্র ফস্কে গেলো । এরপর পরের পেজ খুললাম । আমি দেখছি একটা অহেতুক দীর্ঘ কিছু বাঁশি আর বালিগজ্ঞ স্টেশান যাকে কিনা স্টেট বলে টের-রিজম বলে আমি রিজিডিটি কিম্বা টাটা সেন্টার বলছিনা । রিয়া,রনিদের আমি আমগাছ দেখিয়ে বলি এটা কি ?উত্তর নেই হয়ে আপাতত রায়চকে । গভীর কুমিরেরা কিয়স্কো দেখছে । একটা গোলসভায় লোকভীড় । প্রান্তিক প্রান্তিক প্রান্তিক---দেবলিনার কথা মনে আসে । অবসর আসে পেঁয়াজের মত । বাসা থেকে গোলাপেরা সেণ্ট দেয় । “এ” লেখা বাজার আসছে বিজ্ঞাপনে । নিউচ্যানেলে কেউ ডাকতি করেছে বলে শুনিনা শুধু ট্রেডিং হচ্ছে আর আমি কাগজ পড়ছি ।
চব্বিশ চব্বিশ লিখেছি দেওয়ালে
বারুদে মিশেছে ঘাম ;
জিশান বলে একটি হোটেল হয়ে যায়
ব্রীজের উপর থেকে রকেট দিয়ে টানি মহাকাশটাকে
রুমির জন্যে প্লিজ আনিয়ে দাও বলে,কেঁদে ফেলি
আমার নেশার ঘোর ;বে-আব্রু বাদামখোর বেড়াল
বড়দের গোল গোল বিষ নিয়ে আন্দাজ নিয়ে শহর খুঁড়ছি আমি ।
১১ই মে । ২০১০
আমার বাড়ি ছিলো এত পর্যন্ত । জাহাজ ঘাটা বলতে পারেন । জাহাজ দেখেছি আমি আন্দামানে যেতে যেতে । জলের উপর কেমন আলো ছেয়ে আছে । আচ্ছা আমাকে দেখতে পাচ্ছো । তোমাকে লাল পাজামাতে দারুন লাগে ।এই দারুন লাগাটা বাড়ি থেকে পালাবার মত । অবশ্য আমি অনেকবার পালিয়েছি । আমার সব কিছুর খারাপ থাকা থেকেই আমার পালানো একটা স্বপ্নের মত । আসলে স্বপ্নের মধ্যে আমরা যা যা পাই তাকে কোন দিন দেখতে পাবো বলে সকালটা রিদিমিক লাগে । চায়ের জলে চিনি মেশে । দুধ আস্তে আস্তে সকাল আট্ট হয়ে যায় । একটা কুকুর তার পা চাটে । ঝিমলি স্কুলে যায় । আমার বয়সটা অনেকটা বেড়ে গেছে ভেবে ছাদে উঠে যাই । দূরে চটকল দেখবো বলে আমি টিভি টাওয়ার দেখি । আর মালগাড়ির বদলে ভিড় ট্রেন দেখি । তোমার লম্বা চিঠিতে তুমি আমাকে এক বিদেশিনীর লেখা পাঠাও আমি পড়তে থাকি । পড়তে পড়তে চাদের আলসে জাপ্টে ধরি যেরকম এই শহরে প্রহম তোমায় জড়িয়ে ধরে ছিলাম । আমার জানলা থেকে মুখ বার করে থাকে “লেটা র হোম ” কবিতাটা । আমি চিৎকার করে পড়তে থাকি ; বার বার পড়তে থাকি ঃ
FOR ALL WE KNOW
Every now and again, then yet again, science floats up
out of her silence. Parallel Universes, she whispers, or
String Theory, Uncertainty Theory or Newton's Laws of Motion.
Some poets, painters, and dancers and drummers look up
from what they've been doing to tune in. Tell me about it,
they sometimes think, but, knowing, don't say a thing.
To know or not to know - this is the kiss, the lick to cherish
and woodshed for the moment light shines on all we know.
[ Written by Al Young ]
সব সময় বাসনের শব্দ,ভ্যানের শব্দ,এরোপ্লেনের শব্দ-----এক শব্দের ভাসানের থেকে আর একটা শব্দের উৎপত্তি । আবার কখনো আমরা দেখেছি যে অনেকগুল শব্দের মিলেও একটা দারুন অনুভুতির সৃষ্টি হয় । এইবার চলুন আমরা শেয়ালদার স্টেশানের দিকে, যাই । এখন আমার ঘড়িতে ১৯।৩০ বাজে । শেয়ালদা মেনের মুখে লেবুঅলারা বসেছে । ঠিক তাদের উল্টোদিকে ব্রীজ । যার তিন হাতের একদিকে মৌলালী,আর বাকিদুইদিকের একদিকে কলেজস্ট্রীট ও রাজাবাজার । ব্রীজের নিচে ও আপনি একটা আলাদা কলকাতা পাবেন । আসলে বাজারের ভিতরের ও একটা গন্ধ আসে ।এই গন্ধ নিয়ে জেরক্সের দোকান,মিষ্টির দোকান,রিচার্জ শপ---দোকানের মিনিবুক হয়ে আছে ।কোনো একটা দোকানের রেডিও থেকে রবিবাবুর গান বাজছে ।আপনি আর একটু এগোলে সিঙ্গারা ভাজার গন্ধ পাবেন । এই গন্ধ ও গন্ধের মাদকীয়তাই কখনো মাছের চপ,ফেবারিটের চা,কফি হাউসের আড্ডা,প্রেসির চত্ত্বর,রাজাবাজারের মোড়,কলেজস্ট্রিট্র বইবাজার,মেসবাড়ির উত্তর কলকাতা । যেখানে শ্যামবাজার মেট্রো যাবার রাস্তা দিয়ে পুরোনো পুরোনো বাড়ি,বাড়ির রোয়াক,আমোদ প্রোমোদ,হেদোর লেক,বিডন স্ট্রীট ,গ্রামাফোন,জোরাসাঁকো—এই ভাবে প্রত্যেকটা রাস্তা,রাস্তার মোড় ফুটপাত আপনার মধ্যে নাম লিখে গেছে । যদিও আপনি ক্যাফে কফি ডে কিম্বা ব্যারিস্তা দেখতে পাবেন কিম্বা সোনির সো রুম । নোকিয়ার বিশাল বিজ্ঞাপনের নিচ দিয়ে জল জমে উঠবে । একটা এক্কা গাড়ি মাঝরাত মাঝরাত বলে ঝাড় লণ্ঠণে হয়ে যাবে । জিলিপির স্বাদের ফুর ফুরানি নিয়ে আপনি দেখবেন একটা টানা রিক্সায় কোন একজন অপরিচিতা আপনার মন নিয়ে চলে যাবে । তবে আপনি বলতেই পারেন যে, পূজোর সময় প্রচুর ঘুরেছি । প্রচুর । আসলে এই প্রচুর কথাটা আপেক্ষিক । খুবই আপেক্ষিক । আপনি চাঁদনি চকের মেট্রো স্টেশানে দাঁড়িয়ে আলো ঝোলা বাস,গিটার বাজানো একজন ছোকরা,কালো জিন্স পরা একটি মেয়ে,পানের দোকান,কম্পিঊটারের যন্ত্রাদিবিক্রির মিনিমল—এই সব পেরিয়ে দেখবেন আকাশের গায়ে ময়লা পড়েছে । কিরকম একটা কালচে লাল ছাপ । জানেন এখনো মেঘ করলে খুব ভালো লাগে । মেঘ যখন রাতের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিয়ে আসে । আলতো ঠান্ডা ঠান্ডা হাইফেনের মত দল ভারির করা হাওয়া ঠোক্কর দেয় । ডেকারস লেনের খাওয়ার দোকান গুলোর পাশ দিয়ে বার,বার পেরিয়ে অনেকগুলো মুখ পেরিয়ে দ্রুতগামি বাস আর বাস পেরিয়েই মেট্র স্টেশান—রাত সাড়ে নটা পেরিয়ে গেলেই হলো । মেট্রো আর পাওয়া যায় না । ইডেন গার্ডেন্স থেকে যেটুকু অন্ধকার যার ভাগ করে নেয় ,অথবা যে সব ক্লাবের ক্যাম্প, রেড রোড---একটা লালবাতি লাগানো গাড়ি ফুটপাতে শুয়ে থাকা একটা বাচ্ছা যাকে সারা সকাল আপনার জামা টেনে টাকা চাইবে,তার চোখে আলো ফ্যালে ময়দানের দিকে ছুটে চলে । তখন আলো বলতেই পার্কস্ট্রীট । আর তাড়া বলতে বাড়ির ফোন । টালমাটাল ছায়ার আড়ৎ থেকে থিতু হতে থাকা ভিড় সাইবার ক্যাফের দরজা বন্ধ করে । কাগজের পাতারা এ ওর গায়ে হেলান দেয় । এড়াএড়ি করে দাঁড়ানো ফুটপাতের দোকনেরা জিরোনোর জন্যে রেসকোর্স-হ্যারিরা উড়ে যায় ফ্যাতাড়ুর শহরে । নেই ট্রাম লাইনে অহেতুক একটা পাগোল হিসি করে—কি সব হাত দেখিয়ে বলে । পাগোলদের একই ইউনিফর্ম । বেশি রাত হলে ওরা রাত পাহাড়া দেয় । আমাদের হুস হুস ফুস ফুস ফ্ল্যাট,সেমিকণ্ডাক্টার মার্কা বোধ , হ্যালোজেন আলো, ক্লাবজাগা কব্জি,লম্বা প্রোপোজাল,বিশ্বাস বিশ্বাস হারানো ককটেল,হয়তো কেউ বাড়ি এলো না,কারুর বা মাঝরাত নার্সিং হোমে গেলো । এই সবের তোয়াক্কা না করে একটা মারুতি হুস করে চলে গেলো। গাড়ির জানলা থেকে মদের বোতল রাস্তায় লাফাতে লাফাতে সেকেন্ড হুগলী ব্রীজ দেখে,মনুমেন্ট দেখে,মিউজিয়াম দেখে,চিড়িয়াখানা দেখে---এই সব ভাবতে ভাবতে ৯বি বাস চলে যায় । এই চলে যাওয়া কোড়াতে কোড়াতে রাসবিহারীর মোড় এফিটাফ লেখে । অথচ জানলাটা বন্ধ ।বড় বড় টাওয়ার থেকে সিগন্যাল আর কালো কালো তারের মাথা থেকে কেবিল,টেলিফোন ইত্যাদির সুর বেজেছে ।
এই সুর বাজার রাতে আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন ব্রীজের নিচে,রাস্তার মোড়ে কিছু অচেনা মেয়ের মুখ । যাদের সামনে গাড়িরা দাঁড়াচ্ছে । আর গাড়ির কালো কাঁচ থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে আমরা দেখছি আমারা বড় চুপ করে আছি । এই চুপ করতে বয়স বাড়ছে । এই বাড়ন্ত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ানো আল আর আলের উপর ফুলের বাগান,হাজরা মোড়,রিচি রোড---হাতের ছাপ লেগে আছে ইলেকসানে । আসছে সপ্তাহের সিনেমা,আকাদেমির নাটক,রককৃত জেনারেসান এক্স—ভাদিলাল,ক্যামেলিয়ার কফি শপ,টিনেজ পত্রিকা,বরফের জল---মোম গড়িয়ে ওঠা লোড-সেডিং---প্যারেডের মিছিল,রেঁস্তরা, মিলেনিয়াম পার্ক,সোনার দোকান,ফোরাম,রাজারহাটের বড় রাস্তা,স্যাটেল কার---কাছে আর কাছে এসে কেউ উঁচু হয়ে ওঠে ।আর এইভাবে ক্রমাগত বিবর্তন,আর বিবর্তনের ভিতর আমরা হারিয়ে যাওয়া ফিরে পাওয়া ও আবিষ্কারের মধ্যের “দশ ফুট বাই দশ ফুট ”—এই অ্যাক্সানের কোনো শেষ নেই ।শধু রূপান্তর আছে ।আর এই রূপান্তরের সময়ে নিয়ে হেঁটে চলার সহর, আমার কলকাতা ।
Tuesday, July 6, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment