Tuesday, July 6, 2010

ক্রেডিট কার্ড
রঙ্গীত মিত্র

আমাকে একটা দূর্গ বানিয়ে দাও ;
জেলের ভিতর ফুলের বাগান দেখি
চেয়ারে মাঝে মাঝে ঘুরপাক খাই
এইভাবে বাতাস বয়ে যায়
সে কি এখনো ফেরেনি
ভিমবার দিয়ে মুছে মুছে ফেলি
মাটিগুলো ধাতু হয়ে আছে । ধাতব সব কিছুর ক্রেডিট কার্ড কাটি ।

টোটা
রঙ্গীত মিত্র

আমার বাড়ি ব্যাঙ্কের কাছে ধার দিয়েছি
এই জমিটাও দিয়ে দেবো ।
তোমার বাড়ির এসির বিলের সমান
যাকে আমার নিজের ভেবেছি
বাসের টিকিট ওড়ে টোটার মত ।





ঘুমের পিছনে
রঙ্গীত মিত্র

রিক্সায় বসে তুমি । তোমার বন্ধুকে আমার খুব ভালো লাগে ।
একটা অটোর সামনে দাঁড়িয়ে হাই তুলছে
কালকে যাকে খুব ইয়ালো মনে হলো
কিম্বা মদের দোকান
যেখানে মারপিট করেছি
যেখানে লেবেল ক্রসিং থাকে

তুমি ঘুমিয়ে পড়লে,তোমাকে সব কিছু আমি জানিয়ে দেবো ।


ট্রাম-লাইন
রঙ্গীত মিত্র

চলে যাওয়ার পর টেনে টেনে
রিপ্লেস করার পর
আমি দোতলায় উঠে,এসির দেওয়াল দেখলাম
যেমনি পাতা ভাঁজ করা থাকে

একটি মেয়ে মুখে মেকাপ করে,স্টুডিওতে ঢুকে গেলো
বেরুটের
একটা বিকেলে কাদা কোড়ানো স্কুল শেষ
আমায় বলে দিল ঃ ওই দিকে ট্রাম-লাইন ।
গুটিকতক আমার নামের পুঁথি
রঙ্গীত মিত্র

বারোর ক্লাসের হিংসা শিখেছি
তোমার নামে গুটিয়ে আছে হার
যাকে বিস্ফোরণ বলো ;
আমি অটোর সামনের সিট দেখি
ঘড়িতে একটা তেত্রিশ । গর্ত দেখে পা লাফিয়ে চলি ।

মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

ছবিঅলা
রঙ্গীত মিত্র
ক্রিমকেকার বিস্কুটগুলো ফিসপ্লেট দিয়ে
টেনে নিয়ে টেনে নিয়ে , দেখাবো
মেট্রো সিনেমায়
১>ব্রাইটনেস ঠিক নেই ;
২>কালার কারেসান ?
৩>রেজলিউসান নিয়ে আমি ১০০০ বার বলেছি । এইচ ডি ? পাখি ঢুকে গেলো ফ্রেমে ; এইবার মেষেদের ভীড়

সারাদিন আমি জমে থাকার ছবি তুলছি ।

পরবর্তী,অক্ষরে
রঙ্গীত মিত্র

লিফটা খুব খারাপ যে উঠছে আর নামছে
লিফট এখন ৬ তলায় ;
এইরে আমি ৮ টিপে বসে আছি
ছাদ থেকে আর একটা ছাদ দেখা যায়
চন্দ্রবিন্দু এসে যায়,তার পরবর্তী অক্ষরে ।





বারড্যান্সার
রঙ্গীত মিত্র
জল লেগে আছে কলের মুখে ;
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
এক ন্যাকড়া দিয়ে আটকানো আছে ।
যেমনি দুপুরে তুমি নেলপালিশ লাগাতে
এইরকম একটা রঙিন বোতলের ভিতর আলাদিনের গল্প
এখন কাকে যে সেলুট করবো ,বুঝতে পারছি না ? আমার বন্দুকের হিলপারমোড়ে সুন্দরী বারড্যান্সারকে দেখছি ।

গুটিকতক আমার নামের পুঁথি
রঙ্গীত মিত্র

বারোর ক্লাসের হিংসা শিখেছি
তোমার নামে গুটিয়ে আছে হার
যাকে বিস্ফোরণ বলো ;
আমি অটোর সামনের সিট দেখি
ঘড়িতে একটা তেত্রিশ । গর্ত দেখে পা লাফিয়ে চলি ।

মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

ছবিঅলা
রঙ্গীত মিত্র
ক্রিমকেকার বিস্কুটগুলো ফিসপ্লেট দিয়ে
টেনে নিয়ে টেনে নিয়ে , দেখাবো
মেট্রো সিনেমায়
১>ব্রাইটনেস ঠিক নেই ;
২>কালার কারেসান ?
৩>রেজলিউসান নিয়ে আমি ১০০০ বার বলেছি । এইচ ডি ? পাখি ঢুকে গেলো ফ্রেমে ; এইবার মেষেদের ভীড়

সারাদিন আমি জমে থাকার ছবি তুলছি ।

পরবর্তী,অক্ষরে
রঙ্গীত মিত্র

লিফটা খুব খারাপ যে উঠছে আর নামছে
লিফট এখন ৬ তলায় ;
এইরে আমি ৮ টিপে বসে আছি
ছাদ থেকে আর একটা ছাদ দেখা যায়
চন্দ্রবিন্দু এসে যায়,তার পরবর্তী অক্ষরে ।





বারড্যান্সার
রঙ্গীত মিত্র
জল লেগে আছে কলের মুখে ;
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
এক ন্যাকড়া দিয়ে আটকানো আছে ।
যেমনি দুপুরে তুমি নেলপালিশ লাগাতে
এইরকম একটা রঙিন বোতলের ভিতর আলাদিনের গল্প
এখন কাকে যে সেলুট করবো ,বুঝতে পারছি না ? আমার বন্দুকের হিলপারমোড়ে সুন্দরী বারড্যান্সারকে দেখছি ।

ভুলে যাওয়া
রঙ্গীত মিত্র

খুট খুট করছিলাম । আসন্য ভোটের রং আসেনি ।অহং নিয়ে ঢেলে দিলে আমাদের বেড়াতে
যাওয়া শেষ । কেউ বলে উঠলো ঃ তুমি বানিয়ে লেখো ? খ্যাক খ্যাক
ওয়েলডান । ব্র্যাভো ।জেমস লং সরণি দিয়ে যাও,সোজা---হ্যাঁ এই দিকে ।
পঞ্চাননকে পিছনে ফেলে ওয়েস্ট্র্যান ক্লাসিক্যাল,অনুবাদ করো ; আমার চোখে সূর্যের ডিম
বাধ্য করেছি ভ্যানের উপর পতাকা লাগাতে ; পাথারে লেগে আছে
এইবার জল শেষ হলে মাথা যন্ত্রণা করে,বাইকের পিছনে একটা কুকুর
তুমি যা করবে,তার ফলশ্রুতির দিকে চুটকিতেই পিয়ানো বাজাবো। তারগুলো ক্লিপ দিয়ে আটকে ভুলে যাবো দরজাটা খোলা আছে কি না ।

সকাল নিয়ে আর কবিতা লিখবো না
রঙ্গীত মিত্র
আমি তো ভয়েই থাকি ;
টুং টাং ডেকে যায় দুধের গাড়ি
সেই দুধছাপ নিয়ে কাপড় ওড়ায়
কাপড়েরা আকাশে লেগে থেকে
আমি প্রতিদিন খেয়াল করি
তোমার আকাশিরঙা জামা ঝুলছে জানলায়
কালকের বৃষ্টিরা ফুলে ঝুলে আছে ; সেই ফুল তোমায় দেবো বলে,সাতসকালেই ঘুম ভেঙে গেছে ।

জানি না কিসব লিখে যাচ্ছি আমি
রঙ্গীত মিত্র

আমি একটা পয়সা মাটি থেকে তুলে দেখলাম
চোখ জল ধুয়ে আছে ।
ওরা যেদিক থেকে আমাকে মোড় বল্লো
দুটি মেয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে র্যাখগিং-এর পোস্টার
সলিলমামাকে দেখেছি,আমাকে দোতো বলতে বলেতে পাগল হয়ে যেতে
পাগলামিতে যার ৭০ পেয়েছিলো,তাদের জন্যে সাদা রঙের গাড়ি আসে
সলিলমামা,রেললাইন না বলতে পেরে সাঙ্ঘাই রেডিও শুনতে শুনতে চন্দনের গন্ধে ভাসিয়ে দিল,বাড়ি ।
রঙ্গীত মিত্র
১।
কত দিন বিছানা না থাকলেও আমারা লুকোচুরি খেলেছি
একদিন,২৪ঘন্টা ;

এখন আমার সব থাকা সেই সব বিছানার তল্লাশ করে ।

২।
মেয়েরা উড়ে যায়,
অচেনা নাম্বার থেকে
ফোন আসে

এভাবেই বিচ্ছেদ থেকে আলো আনা শুরু হয় ।

৩।
কিছু দৃশ্য শুধু দেখবার ;
গোপনে দেখবার

পরিচিতি সন্ধান করে ।
৪।
অনেক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে খানিকটা আলোড়ন
বেশকিছু পিছনের দরজা যা আমি দেখিনা
আতরের গন্ধটা তুমি হয়ে যাও ।
৫।
নেশার ঢেঁকুর আসে পাড়াবরাবর
এইবার ১৯ পেরোনো সব উপলক্ষ আসে
কাউকে কেউ অথবা কেউ কাউকে ডেকে নিয়ে যাতায়াত হয়
আলোর চাদরে ভিতরবোধ আসে
শীতকাল সব সময় থাকলে ভালোলাগে ।
মাউথঅরগান ও “অনন্ত”কিশোর/রঙ্গীত মিত্র
আমি রাত এগারোটায় ও, দুজনকে দাবা খেলতে দেখি ।
গড়িয়াহাটের মোড়ে লরির মত অটো ;
সেক্টর ফাইভ কত দূরে,বন্ধ দোকান মার্কা এরকম ।
আমার বাড়ি অনেকটা ফ্ল্যাট পেরিয়ে
ঝিনুক খুঁজছে তোমার মোবাইল নাম্বার ।
ইনাম এখন শিলং-এ চলে গেছে ;
খুঁটিতে অন্ধকার লাগিয়ে কাদের য্যানো স্লোগান
আর মাউথঅরগান বাজানো সেই ছেলেটিকে দেখতে পাচ্ছি না
কিছু বিষাক্ত কুকুর কুয়ার ভিতর অদৃশ্য হয়ে যায় ।

জলস্তর/রঙ্গীত মিত্র
কবর । কবরের একটি ছেলে তার মার সঙ্গে ফুল দিতে এসেছে ।
তোমার মাথার উপর বিকেল আসলো বলে,পাখিরা অবাক বাতাস দেয়
ধূপকাঠি থেকে অমৃত উঠবে বলে আমি গিটার,কানের দুল দেখি
রামেরলীগ লেগে আছে রুমালে ; অনেকদিন তোমার গান শোনা হয়নি
পাবের সামনেগুলো অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে
ওখানে সমুদ্র পাবে ; ডানবস্কো পেরিয়ে মোমোর দোকান ; এদিক দিয়ে খুব ঘুরতে ভালো লাগে
আমার আদুরে বেড়াল তারের উপর থেকে বাষ্প ওড়ায় । সকাল জলস্তর ফেলে, আমাদের রাস্তায় ।

মর্নিং ওয়াক/রঙ্গীত মিত্র
একটা বয়স থেকে আমি শুধু অনুবাদ করি
১২ ক্লাসের পর যেমন কলেজ দেখতে বেরোনো ।
লিস্টে লিস্টে নাম দেখে যাই ;
তুলোঅলা ডেকে যায় ;
আমি ভাসমান বীজদের দেখি

আমি হাঁটছি । নিজেকে ববডিলান বলে মনে হয় । সাদা চামড়ার পাঁউরুটির ভ্যান আসে
দৌড় প্র্যাক্টিস করতে করতে খেয়াল করি কাঠের আগুনে শিকের মাংস ঝলসানো হচ্ছে ।

ছাদ
রঙ্গীত মিত্র
আমার নেই বলে আনকোরা ক্রয় করে গেছে ;
কেউ কেউ অহেতুক জল ভেবে রং দিয়েছে ।
আমিতো প্রভূত অহংকারি বলে,রস পান করি
আমাদের দরজায় ওল্টানো পাঠ
আমি আলোর ফ্লিম নিয়ে আঠা লাগাই
বরং দূরে চলে যাবে খুব দুঃখ নিয়ে
টুকি টুকি ডেকে যায় আমাদের সাথে
আমার ও যে ঘুম পায়
রুম জুরে বেকারজীবন
সেই সব মধু নিয়ে ফিরে চাওয়া গুলো
আবহাওয়া মাপে ; এই লিখে আমি জল দিয়ে ছবিদের ছাদে শোকাতে যাই ।
সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
অপূর্ব
রঙ্গীত মিত্র
কিছু টুকরো শব্দ জলাশয়ের হয়ে থাকে ;
আমাদের বাড়ি থেকে একটা নালা জলে মেশে
বিড়ির পোড়া অংশ থেকে বোঝা যায় ঝোপের আড়ালেও যাতাযাত ছিল ।
আমি ভোর নিয়ে জল ছুঁয়ে আসি
জলের কারবার থেকে অদৃশ্য পারা খেলে যায়
সেই সব ছাপ দেখে বাঘেরা গন্ধ ছড়িয়ে আছে
কাদার ছিদ্র থেকে আমি মহিলাদের দেখি ; অপূর্ব তোমার চোখে লেগে আছে ।
অন্দরমোহল
রঙ্গীত মিত্র
ফিতে থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে আমাদের জব্বর কিছু ;
কিছু লোক আমার মৃতদেহকে ইউরিন্যাল ভেবে হিসি করে যায় ।
হাতিরা যেরকম মাঠে চলে এসে বাজি পটকা দেখে
এইরকম দেবলিনা টাইপের একটা নিউজ করলাম
আমাকে বলা হল ১২০০ শব্দ আমি জিম মরিসন বলাম
আমি আমার সব নিয়ে পরীক্ষার অর্থপুরাণ বানাচ্ছি ।
ফাঁসুড়ে এসেছে আমাদের অসুখের ভিতরে ।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র
ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।


আমার দেখে রাখা মুহুর্তরা
রঙ্গীত মিত্র

কীছু ঝলক দেওয়ার পর বুঝলাম বৃষ্টি হয়েছে
তেরঙা কিছু কার্ননের নিচা তোমাকে দাঁড়াতে বল্লাম
তোমার মাথার উপর দিয়ে পাখি মেঘ ও সভ্যতা উড়ছে
আমি লজেন্স না কি বড়দের কিসব খেতে খেতে
দেখি জলকণারা তোমার উপর দিয়ে জমে শস্যদানা
এইরাস্তা দিয়ে এখনো গড়ুর গাড়ি যাতায়াত করে ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।








স্ক্রীন থেকে সহর পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

দৈব দৈব বলে শেকল লেগেছে ;
ঘরের শিকল বয়স্ক তাই
গোদরেজ ফোমের মত ;
কিছু পুতুলের জামা পরানো বাকি
ওদের যৌনতা সম্পর্কে কেউ কিছু না বলার চোখে আঙুল
এর বেশি সব ভগবান জানেন ; আমার ভিতর শুধু পাশের জানলা
জানলার প্যাশান ট্যাশান---সিগারেট কেমন খেতে অথবা এই পত্রিকা কেটের ছবি আর যেন কে ছিল,নাম ভুলে যাওয়া তুলে আমার অনেক দেখা ; বার্টন টিপতে টিপতে কম্পিউটার খুলি ; খুলি গুহার নাম শুনেছি ; তোমার লকেট লেগে আছে দেরাজে ; পরিণত কিছু আমার ঝুলির ভিতর ক্লাস টেন ; ইংলিস ক্লাস ; ঋতাম্যাম ; ছবি চলে ; আমি হাত ধরে থাকি ; আমার তৃষ্ণা নিয়ে মধুকর ডিঙা কিনে নিয়ে আইন বানানোর না মানার আকাশ তুমি ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।

স্ট্যাম্প
রঙ্গীত মিত্র
গিটার বাজানো মেয়ে বিকেলের রং-তুলি নিয়ে
কি শহর দেখো তুমি হাতের ভিতর
“হাই-ও-কো” “হাই-ও-কো” বলে একপাগোল গেয়ে যায়
তার গান নিয়ে সব নিয়মের দিক দিয়ে ভাবি
হিতরো এয়ারপোর্ট হয়ে যায়
আমাদের গায়ে এখনো স্ট্যাম্পের আলো লেগে থাকে ।





বয়স
রঙ্গীত মিত্র
চোখের নিচে বৃষ্টির-আঙুল লেগেছে
মিহি কিছু স্পর্শ পাই ;
আমি পা দিয়ে পা দিয়ে আমি রণপা দেখি ।
উজ্জ্বল উজ্জ্বল চাকতিরা ২৫ কিম্বা ৫০ পয়সা
আমি লৌহ-তপ্ত তার দিয়ে আটকানো আছে
আমি ময়ূরকে দেখি ; টিকটিকি দেওয়াল থেকে দেওয়াল পর্যন্ত
ফসফরাসের প্যাস্টেল দিয়ে ঝাড়বাতি এইসব নিয়ে বয়স্ক হয়ে যায় ।

রিং
রঙ্গীত মিত্র
খয়ের ছড়াচ্ছে পানঅলা ; পানের দোকানের সামনে দিয়ে ট্রাম লাইন ;
লাইনের সীমানা পেরিয়ে বাড়িদের দেখা যায় ।
দু একটা বাস নিজেদের পরিচয় বলে
এই পরিচয় দিতে দিতে চব্বিশঘন্টা দেখি
রায়েদের বাড়ির পাশের বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে । ইব্রাহিমদের বাড়ির নিহত দরজায়,রিং লাগানো আছে ।
নামতা
রঙ্গীত মিত্র
বোর্টের গায়ের দড়ি লাগানো । আমি তোমাকে একটি কুকুর নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে বুঝলাম
রাত এসেছে
ব্রীজের নিচটা কেন আমার চায়ের দোকান
আমি একটা মাঠ খুঁজে পেতে নিয়ে তোমার যাদবপুর ডায়াল করি
একটা গিটারের খোল নিয়ে বারুদেরা ওড়ে
তুমি সাতটায় আসবে বলে বাইকেরা হোস পাইপ ; আর আমি নিজের মত একটা হচপচ
আওয়াজ নিয়ে শুধু কি সব দেখি আর নামতা ওড়াই ।
ছাদ
রঙ্গীত মিত্র
আমার নেই বলে আনকোরা ক্রয় করে গেছে ;
কেউ কেউ অহেতুক জল ভেবে রং দিয়েছে ।
আমিতো প্রভূত অহংকারি বলে,রস পান করি
আমাদের দরজায় ওল্টানো পাঠ
আমি আলোর ফ্লিম নিয়ে আঠা লাগাই
বরং দূরে চলে যাবে খুব দুঃখ নিয়ে
টুকি টুকি ডেকে যায় আমাদের সাথে
আমার ও যে ঘুম পায়
রুম জুরে বেকারজীবন
সেই সব মধু নিয়ে ফিরে চাওয়া গুলো
আবহাওয়া মাপে ; এই লিখে আমি জল দিয়ে ছবিদের ছাদে শোকাতে যাই ।
সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
অপূর্ব
রঙ্গীত মিত্র
কিছু টুকরো শব্দ জলাশয়ে হয়ে থাকে ;
আমাদের বাড়ি থেকে একটা নালা জলে মেশে
বিড়ির পোড়া অংশ থেকে বোঝা যায় ঝোপের আড়ালেও যাতাযাত ছিল ।
আমি ভোর নিয়ে জল ছুঁয়ে আসি
জলের কারবার থেকে অদৃশ্য পারা খেলে যায়
সেই সব ছাপ দেখে বাঘেরা গন্ধ ছড়িয়ে আছে
কাদার ছিদ্র থেকে আমি মহিলাদের দেখি ; অপূর্ব তোমার চোখে লেগে আছে ।
অন্দরমোহল
রঙ্গীত মিত্র
ফিতে থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে আমাদের জব্বর কিছু ;
কিছু লোক আমার মৃতদেহকে ইউরিন্যাল ভেবে হিসি করে যায় ।
হাতিরা যেরকম মাঠে চলে এসে বাজি পটকা দেখে
এইরকম দেবলিনা টাইপের একটা নিউজ করলাম
আমাকে বলা হল ১২০০ শব্দ আমি জিম মরিসন বলাম
আমি আমার সব নিয়ে পরীক্ষার অর্থপুরাণ বানাচ্ছি ।
ফাঁসুড়ে এসেছে আমাদের অসুখের ভিতরে ।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র
ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।


আমার দেখে রাখা মুহুর্তরা
রঙ্গীত মিত্র

কীছু ঝলক দেওয়ার পর বুঝলাম বৃষ্টি হয়েছে
তেরঙা কিছু কার্ননের নিচা তোমাকে দাঁড়াতে বল্লাম
তোমার মাথার উপর দিয়ে পাখি মেঘ ও সভ্যতা উড়ছে
আমি লজেন্স না কি বড়দের কিসব খেতে খেতে
দেখি জলকণারা তোমার উপর দিয়ে জমে শস্যদানা
এইরাস্তা দিয়ে এখনো গড়ুর গাড়ি যাতায়াত করে ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।








স্ক্রীন থেকে সহর পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

দৈব দৈব বলে শেকল লেগেছে ;
ঘরের শিকল বয়স্ক তাই
গোদরেজ ফোমের মত ;
কিছু পুতুলের জামা পরানো বাকি
ওদের যৌনতা সম্পর্কে কেউ কিছু না বলার চোখে আঙুল
এর বেশি সব ভগবান জানেন ; আমার ভিতর শুধু পাশের জানলা
জানলার প্যাশান ট্যাশান---সিগারেট কেমন খেতে অথবা এই পত্রিকা কেটের ছবি আর যেন কে ছিল,নাম ভুলে যাওয়া তুলে আমার অনেক দেখা ; বার্টন টিপতে টিপতে কম্পিউটার খুলি ; খুলি গুহার নাম শুনেছি ; তোমার লকেট লেগে আছে দেরাজে ; পরিণত কিছু আমার ঝুলির ভিতর ক্লাস টেন ; ইংলিস ক্লাস ; ঋতাম্যাম ; ছবি চলে ; আমি হাত ধরে থাকি ; আমার তৃষ্ণা নিয়ে মধুকর ডিঙা কিনে নিয়ে আইন বানানোর না মানার আকাশ তুমি ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।

স্ট্যাম্প
রঙ্গীত মিত্র
গিটার বাজানো মেয়ে বিকেলের রং-তুলি নিয়ে
কি শহর দেখো তুমি হাতের ভিতর
“হাই-ও-কো” “হাই-ও-কো” বলে একপাগোল গেয়ে যায়
তার গান নিয়ে সব নিয়মের দিক দিয়ে ভাবি
হিতরো এয়ারপোর্ট হয়ে যায়
আমাদের গায়ে এখনো স্ট্যাম্পের আলো লেগে থাকে ।





বয়স
রঙ্গীত মিত্র
চোখের নিচে বৃষ্টির-আঙুল লেগেছে
মিহি কিছু স্পর্শ পাই ;
আমি পা দিয়ে পা দিয়ে আমি রণপা দেখি ।
উজ্জ্বল উজ্জ্বল চাকতিরা ২৫ কিম্বা ৫০ পয়সা
আমি লৌহ-তপ্ত তার দিয়ে আটকানো আছে
আমি ময়ূরকে দেখি ; টিকটিকি দেওয়াল থেকে দেওয়াল পর্যন্ত
ফসফরাসের প্যাস্টেল দিয়ে ঝাড়বাতি এইসব নিয়ে বয়স্ক হয়ে যায় ।
রিং
রঙ্গীত মিত্র
খয়ের ছড়াচ্ছে পানঅলা ; পানের দোকানের সামনে দিয়ে ট্রাম লাইন ;
লাইনের সীমানা পেরিয়ে তবে বাড়িদের দেখা যায় ।
দু একটা বাস নিজেদের পরিচয় বলে
এই পরিচয় দিতে দিতে একদম চব্বিশঘন্টা দেখি
রায়েদের বাড়ির পাশের বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে । ইব্রাহিমদের বাড়ির নিহত দরজায়,রিং লাগানো আছে ।



মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

এক পা উঠে দাঁড়ালে

বৃষ্টির ঝলসে দিয়েছে বাড়িটাকে । আলো টিউবে জ্বলছে রাত্রির । গাঢ নীল জামাটার মত এখন ঘড়ির সময় । উত্তেজিত উত্তেজিত ।
সমুদ্র লেগেছে মুখে । অনেকগুলো স্রোতকে নিয়ে এলে ঘরে । আরে ঘর কোথায় । ঘরের বাহির ও একরকম ঘর ; আমি নিজেকে বার করে নিয়ে আসতে গিয়ে দেখলাম দেবদূতেরা আমার পিছন পিছন আসছে ; সিগন্যাল থেকে কেউ পতাকা নাড়ালো

আমাকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে
যুদ্ধে যাওয়ার আগে যেরকম
আমাদের মজাগুলো গুলির মত একটা হারেম বানায়
গ্লাস টেবিলে উপুর হয়ে পড়ে আছে---খনি মজুরের মত আমার বাতাসে তোমার ইস্তাহারে ।

রুমাল যাকে নিয়ে ২৬ জুলাই দেখি/রঙ্গীত মিত্র
১।
মানস সরোবরে
তিনি টেলিপ্যাথি করছেন ;
সিজ ফায়ারে আমি একা দাঁড়িয়ে ।
তোমার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে সূর্য ঝুলছে ;
এখনো প্রশ্ন ছিলো বৃষ্টি আসবে কি না !
জল নিচে পড়ার আগে সুতো দিয়ে
সুতো মানে বিশাল কোনো গার্ডার দিয়ে
ঝরে ঝরে পড়ছে ;
পিঁপড়েরা মাটির কলোনি থেকে কয়লা তুলে আনে
পার্কস্ট্রিটে আমি আলু পটলের মতো তোমার দাম করি
টিপে দেখে কতটা নরম ? কি জাতের ?
প্রজাতি শব্দটা বিজ্ঞান সম্মত;
আমার বাবা,আমার স্যার অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এরাই জানে ।
রাজাবাজারের দিক থেকে আমি অটোর ছুট দিয়েছি
কার্পেটে কার্পেটে বিফ কাবাব লেগে থাকে ;
আমি লেটার বক্স খুলতে গিয়ে দেখি চিঠি জমে আছে
চিঠি----চিঠির ধুলোর মত হ্যাপিডেণ্ট ।
৩ঃ০৪-এর পর শুভায়নদা ফোন করেন ;
চন্দনের এস-এম-এস-এর আগে
“রাত কি অগ্নি” ডাউনলোড হয় ।
আমার মাইক্রোফোন কাজ করে না
আমি জাদুকরের হাতের তালুর ভিতর তোমার ছবি দেখি...।
২।
টোপাজ পড়ে আছি ।মূর্তি উন্মোচন করতে গিয়ে বলি ঃ ও মেয়ে

মেয়েটির সংগের ছেলেটি কে? কানের দুল থেকে প্যাণ্ট্যালুন্সে শুভকে দেখি

কাল যাদবপুরে এক দাদারর ফোন পেলাম ; একটি মেয়ের পিঠ দেখা যাছে

ওই পিঠ থেকে আর একটু গাছের শাল,পর্দা নামালেই দেখা যায় বলে পাখিদের ভিড়ে
আমি কিয়স্কো দেখি । যেম্ন তুমি শহিদ মিনার দেখো ; আপসে নেমে যায় চোখের উচ্চতা
উভচর এরকম হয় ; মাছেদের জলযান নেই বলে ওরা বালিতে শুকোয়ে
ব্যাগের মধ্যে যারা অনুভব শুকোয়ে
চামড়ার মতো বাইপাসে আমি জল ছেড়ে দিয়ে অনেক গাড়িকে সায়েন্স-সিটি গিয়ে
শরীরের মালভুম,পাঁজর উপত্যকা----এই তুমি সেদিন পাশে বসে ছিলে না
একদিন একদিন আমি কচ্ছোর দিকে চলে যাবো ; নুন জমে বরফের মতো
প্রগাঢ় রোদ আনে
যেমন ট্রেনের চাকার ঘোরা ;

দুটো পা ঘোরোয়া যতদূর...
বঁর্শি ?

লে হালুয়া
জাহানারাকে আমি কাগজের মিল পাঠাই
কাঠের গুদাম পুড়ে গেছে । দমকল ক্লু-এর মত ।জল আর আগুনের পার্থক্য নির্নয়ক ।
৩।
ইনাম শিলং গেছে । সনেটের মেল পাই না ।
২৬শে জুলাই আমি প্রথম ট্যাবলেট দেখেছি
মেক্সিকো যাকে আমি খেলতে দেখেছি
আইলিগ বাইচুং আমার ;
আমার শহরে মারাদোনা এসেছে
তোমাকে দেখছি দাদা, স্কুলে পড়াতে
আমি
ম্যাগ্রাথকে
দেখি ;
ঐশর্য রাইকে রায় বানিয়ে আমি ওয়েব ক্যাম খুলি
ফাঁকা বোতলে মসৃণ শরীরে বাড়ি উঠে যায় ।
৪ ।
জল থেকে চামচ উঠছে নামছে
কালো হাঁস
সাদা হাঁস
আমি সীমানা মাপছি ;

পুরোনো স্রোত থেকে যখন মাছেরা উঠে আসে
ওদের ডিম আমি ইকোলোজি করেছি
আমি
ডেটা কার্ডে
কোনো নেট ওয়ার্ক নেই ।
৫।
আমি যেমন একটা স্কেলের দিকে
স্কেল দিয়ে রং এর “র” দেখে
আমার বানানের “ত” টা “ৎ” করে দেয়
বারের টেবিলে পেঁয়াজের বাতাস
পিয়াসির মেল পাই ; ফ্রণ্ট পেজগুলো লাটিমঅলাদের কাছে
জিপ্সি এক গাইকা দেখে আমি রুমাল ছঁড়লাম ।
ইলেকসান / রঙ্গীত মিত্র
কোনো সময় আমি অনুভব করি যে আমার আত্মা খুব রুগ্ন
মায়ের মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে তোমার অফিসে আসি
তোমাকে দেখতে পাইনা ; বেগুনি জামায় রোদ লাগিয়ে আকাশ লাগোয়া কোনো বাড়ির মেয়ে
আমায় ভেঙচি কেটে ইকিড়-মিকিড় খেলছে; ও খেলা খোকোর মত
বিশেষ কেউ খেলে না ; সাইবার ক্যাফের এসি থেকে রিক্সাঅলা পর্যন্ত শপথ নিচ্ছে ভোটবাক্স
আমি অভিনয় করছি , এইবুঝি ওদের স্পাই এসে,ব্যাগের ভিতর ঝলসানো শরীর রেখে,কিসব আমাকে নিয়ে যাবে।


অট-সেভ
রঙ্গীত মিত্র

গ্লাসটা উবে গেলো ।
জল পড়ে আছে টেবিল ক্লথে
যেখানে মোমের দাগ
“ইউ ডু নট নো” একজন বাচ্ছা মেয়ে বল্লো
আমি রং লাগিয়ে জবরদস্ত শেষ হয়েছি ; অটো সেভ হয়ে যায়,বাড়ির পালক ।

তরল
রঙ্গীত মিত্র


বাঁদর এসে আয়না দেখছে । আয়নার ডায়মেনসান নিয়ে গুল দিচ্ছে
রাতে না কি আমার আর তোমার মধ্যের দূরত্ব কম
তুমি সেও ভুলে যাবে বলে আমি দু বছর লিখেছি
দাউদেরা এখানে ভালো থাকে ; ভালো থাকার পল্টন থাকা দরকার
গালবাজিয়ে কে আমার হারেম বানিয়েছো ?
আমি আমার দিক তাকিয়ে পাহাড়কে দেখি
একই দোষের প্রাচুর্য ;আমাকে কপি করে তুমি বোতলে ভরলে । তরলের কোনো দিক দেখতে পাইনা ।



প্রকাশিত
রঙ্গীত মিত্র

আমি পিছন থেকে পৃথিবীকে দেখি ; বক্স বক্স । অভ্র দিয়ে পৃথিবী লেখা আছে । তুমি কাল রাতের পর থেকে ফোন করলে না আমার পিঠ দিয়ে আকাশ টেনেছি । সবার না কি এরকম অভিজ্ঞতা আছে
রামের গ্লাসে যেমনি চাঁদের ছায়া
তুমি বৃদ্ধ হয়েছো । পাওডার লেগে আছে । এত কাক কেন ? জানলা নামিয়ে আমরা লোফালুফি খেলি ---সে এক এলাই ব্যাপার
বালিশের নিছে অ্যাশট্রে আর খাটের নিচে মদের বোতল
পিলের ফয়েল পড়ে আছে । আমারা আস্তে আস্তে শরীরের লুকোনো অংশকে প্রকাশিত করছি ।



ঋ-কারান্ত
রঙ্গীত মিত্র
আমার আকাশ ব্ল্যাকডোমেনের ডোম।
এসব না কি ভ্রমের মতো লেখা
গুজরাট হয়ে যায় আমার ধুলো;
এলো চুলের ধানের নব্যদান
চোখ-খুলে তুই দ্যাখ

সব ঋ-কার হয়ে যায়।

ঋ-কার দেখি
ঋ-কারে সন্দেহ
ঋ-কারে আমার ভয়।

ঋ এর ভিতর ঋ
মন্সুন এসেছে আমার ময়রা পাড়ায়।

বায়নোকুলার ; বসন্তময় হয়ে ওঠো নির্ভীক,বিচলিত না করে,বিরক্তসফলগুল্ম

রঙ্গীত মিত্র

আমার বৃষ্টিবেলার স্মৃতি ; মেঘের নামের মোমিন পুরের বাড়ি
তোমার স্পর্শে ভিজে যাওয়ার শব্দ
রান্না করে---যেখানেই উপাখ্যানের শুরু
মনের ভিতর সময়,ডেকে যায় ।
তবু,আর কত বিতর্ককান নিয়ে ,গুগুল খুঁজে চলি
এমন আন্তরিক ছিল না আগে কখনো,তালগাচের পুরাতনী টাল-মাটাল
বদলানো শহরের জেব্রাক্রসিং-এ,আজকাল,ওল্ডটেস্টামেন্ট পূর্ববর্তী নারীদৃশ্যর পরবপার্বন ।

গৃহকোণ
রঙ্গীত মিত

জলের আঁচলে আমি বালি
বালি লেগে আছে
ইঁটের থেকে
বালির ফুল
জল নিয়ে বহুদূর থেকে
এ বাড়িরা ও বাড়ি যাইয় ।


বয়স
রঙ্গীত মিত


ও হো সস বেশি লেগছে ;
একটি মেয়ে রেডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে
আমাকে জিজ্ঞাসা করলো ঃ নেতাজী স্টেডিয়ামটা কোথায়

হাল্কা গোলাপি রং-এর পিছনে

মাঠ হয়ে,আমি ধর্মতলার দিকে যাবো ।




আমার বান্ধবী
রঙ্গীত মিত

পকেটের ভিতর গর্ত থেকে একটা লোক বুঝিয়ে দিলো
বাথরুমের গাছ আছে এরকম দেখাতে গিয়ে
বন্দুক দেখলাম ; মেয়েদের দিক থেকে পুলিশ ফাঁড়ি
একজন পুলিশ বাসের থেকে ঘুঁষ নিচ্ছে
আমি ১১।৪৩এর রাতে,আমার বান্ধবীকে আমাকে পাঠাবো বলে,কাপ সাজাচ্ছি ।


বৃষ্টির পর
রঙ্গীত মিত্র

হরিণ ঘুরে বেড়ায় ;
ওদের পান পরাগ দেবো,এই রকম ভেবে রাখার সময়
একজন ঘরোয়াগোছের বউদিকে সিগারেট কিনতে দেখি
আমার সামনে দিয়ে একটা ট্যাক্সি ধাক্কা দিয়ে যায়,অন্ধকারকে
ট্যাক্সির ভিতর খুব কাছাকাছি থাকা একটি মেয়ে ও ছেলেকে দেখি
আমি পেট্রোল্পাম্প অবধি গিয়ে দেখি টলছি
একটাও রিক্সার অমনিবাসগুলো বাক্সে বন্দি
যে মেয়েটোর আসার সময় ছিল,সে লাইনে দাঁড়িয়েছে ; আজ মদের ভীড় হয়ে
সারা রাস্তার নির্জন সাজানোর ইমেল আইডি
আমি বাস বাস টাইপ করতে করতে অচেনা কারুক ফোন পেয়ে
ফ্ল্যাটের মধ্যে মজে গেলাম ।

আমাদের ৭২ নম্বর জীবন
রঙ্গীত মিত্র

পাখাদের ডানগুলো নিয়ে আমি ইলেক্ট্রনিক স্কোয়াস খেলবো
যেখানে ওরা রোজ স্ট্যাচু আঁকে
দিলদরিয়ার জল হাতে পড়ে গড়িয়ে আসে রোমের আমেজে
এখানে অজানা মেয়ে ভীষণ মিষ্টি লাগে,রোলের দোকান
এই বাড়িগুলো বৃদ্ধ হয়ে মদের দাম বাড়িয়েছে
আমাদের অফিস পেরিয়ে নিউমার্কেট
ট্র্যাফিক পুলিশ দেখি ; আমাকে কুর্নিশ করে কারা মোশাল লাগিয়েছে
ওদের ঠোঁট থেকে কমলা রঙ,তুমি কি আইসক্রিম খাবে
পা দিয়ে ট্রাম ঘষে ঘষে রাইটাস এইদিকে,এইদিকে রাজাদের বাড়ি
বাড়ির ভেক দিয়ে রাতেরট্রেন,ভাগে ভাগে নিরুদ্দেশ চলেছে ভাঁটায়
যে বালি চটকল দেখে,ঝড়ের পাটাতন উড়ে আসে,ওকে আমি পোস্টকার্ড দিয়ে অন্য কারুর হাতে ছেড়ে চলে এসেছি ।

গোয়ার বিচ

পাখিরা মেঘ মুখে করে বাসা বানায়
একটা বোতল উলটে দিল ইয়া বড়া পোকা বেড়িয়ে আসে
শীতকালের দিকের ফিরে আসার গাছপালা আমি দেখছি
গাছের মুকুট খুলে আমি তলোয়ারে লাগিয়ে পতাকা বানিয়েছি
আকাশের তারারা বিদ্যুত সাপ্লাই করছে । তোমার শরীর থেকে গোয়ার বিচের শুরু ।

রঙ্গীত মিত্র



ওয়ার্ল্ড কাপ আমি আমার পাড়ার মাঠ থেকে বেলুনের চোখ

রঙ্গীত মিত্র
বৃষ্টির পর গাছের ছাল ঘষে ঘষে জলের বাড়ি
বাড়ি বানাতে গিয়ে আমারা যেমনি সিমেন্ট আর
ব্র্যান্ডনেম খুঁজতে গিয়ে প্রোমোটার দেখি
যারা ঘার ধাক্কা দিয়ে গাছেদের বার করে দিয়ে
পাহাড়ের উপর থেকে সুইসাইড করে শীতকাল
আমি পেলিক্যানদের ভীড়ে তোমাকে স্পর্শ করে,গুলতি খেলি
এই ২ মিনিট বাদে,নেলসন ম্যান্ডেলার খবরটা পড়লাম।ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ আরাম্ভ হলো ।
মৃতদেহ
রঙ্গীত মিত্র

প্ল্যাস্টিক্টাকে ছিঁড়তেই পারছি না ;
আমার মেঝে তাতে চড়ে বসেছে
যেমন আমার নিচে কেউ আছে
এরকম অনেক ঘটনা লিখে
নব্বই তলা থেকে হেলমেট পড়ে গ্যেলো
বাতাসে সাঁতার দাও; ডলফিন হয়ে যাক পেলিক্যান

বাক্স নিয়ে খেলতে খেলতে আমি একটা বাচ্ছার মৃত দেহ আবিষ্কার করলাম ।
বৃষ্টি ও ঝাড়া হাত পা

রঙ্গীত মিত্র

তুমি হাত দিয়ে মাথা ধরে আছো
নরম টিপ লেগে আছে
আমি যেমনি মেঘেদের ট্যাংকের উপর রেখেছি
দুজন ছেলে রৃষ্টির রা রেখে দেওয়া রাস্তায়
মিলিটারি হেঁটে
আমার সাম্নের গাছটার ভালো মন্দ নিয়ে আচারঅলার,ওদিকে যে মেয়েটা থাকটো
রেশ্মির ফোন ধরিনি ; একটানা স্মোক করে মাথা ধরে আছে
এইরকম বৃষ্টি হলে টয়লেটের গন্ধ উঠে আসে
“অরব্যের দিন রাত্রি”—থেমে গিয়ে আবার বল্লাম “অরণ্যের দিন রাত্রি” চলছে
আর তুমি হাত দিয়ে ধরে আছো
এখানে চরুটের থেকে ও ভালো কিছু ছিলো
নেহাৎ বিয়ারের ক্যান পাওয়া যায় না
একটি মেয়ে একটা বাইকে একটি ছেলেকে জড়িয়ে আমাদের
দেখে গেলো, এই পার্কে
আসলে ঘরে থাকলেই,কেউ না কেউ আসে
বিরক্তি শব্দটা আমাদের অভিধানে নেই বলেই
ওরা মোহনায় বসে আছে
বিকেল তার সুতো ছাড়িয়ে,সূর্যের হস্তান্তর করতে নৌকা পাঠাচ্ছে
দূরত্বগুলোকে আমারা দাগ দিয়ে , অনুঘটক বানবো ।



৯জুন
রঙ্গীত মিত্র

মধুমাস মুলতুবি রেখে আমি লঙ্কার খেতে এসে দেখি
পাখি ছেয়ে গেছে
ব্যাংকের অ্যাকাউণ্টবুকের ভিতর যেমন চেয়ার টেবিল
দেখি
তোমার কোলে মাথা দিয়ে আমি বিকেল দেখেছি
আমাদের দুজনকে কেন দেখছো হে ছেলে
এভারেস্ট ছঁড়ে দিয়ে,উঁচু গলায় পাইপ দিয়ে বাফেলোরা ডাকে
আমাদের দিকের শিকাগো কিম্বা মেক্সিকো কলকাতা হয়ে,
গহণা বানায়,
আমার
মা ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।
আগরা/রঙ্গীত মিত্র
তোমাকে অনেকবার বলেছি প্লেন দেখতে
প্লেন দেখতে দেখতে আমার খুব মজা হত ।
আমি ১৩ নম্বর একটা জার্সি দেখছি
আমাদের পাড়াতুতো একটা ফ্ল্যাট ফেলে দিয়ে বুঝেছি কাকে ইলেকসান বলে
আমাদের দেহের ওজন বাড়ছে দিনকাল
পেনের খাপের স্মৃতি পুরেছি আমি
এই দেখ,ছুঁয়ে দিলাম ; অভিজ্ঞ কোন নরম কিছু হাতলে টেনে নিয়ে, আগরা চলে গেলে ।

আগরা/রঙ্গীত মিত্র
তোমাকে অনেকবার বলেছি প্লেন দেখতে
প্লেন দেখতে দেখতে আমার খুব মজা হত ।
আমি ১৩ নম্বর একটা জার্সি দেখছি
আমাদের পাড়াতুতো একটা ফ্ল্যাট ফেলে দিয়ে বুঝেছি কাকে ইলেকসান বলে
আমাদের দেহের ওজন বাড়ছে দিনকাল
পেনের খাপের স্মৃতি পুরেছি আমি
এই দেখ,ছুঁয়ে দিলাম ; অভিজ্ঞ কোন নরম কিছু হাতলে টেনে নিয়ে, আগরা চলে গেলে ।

দরজা /রঙ্গীত মিত্র
জোনাকিকে আমি কখনো ঝাঁকাইনি ;
শুনেছি আড়ালের টুকরো টুনি বাল্ব ঝরে পড়ে
আমার হাতে অতি অল্পদিন
যেমনি ঘোল বানানো হয়
এই দুই বছরের অবসর ও কিছুই নয় । দরজারা লাফাচ্ছে ।

বাস-২ /রঙ্গীত মিত্র
যে মেয়েটি আমার জন্যে ভাবে
তাকে,তাহাকে যৌনতা দিয়েছি
আমার বাবা সব সময় অশান্তি ছড়ায়
আমি লুচি বেগুনের গন্ধ পাই ;
ছোট বেলা থেকে এইভাবে নিজেকে ব্যবহৃত হতে দেখে
স্কুলে যাই ; দুপুরে খেলি ; আর বাক্সের ভিতর
থেকে আমি আলাদা হয়ে যাই ; তুমি অন্য বাস ধরো ।

টাইটেল / রঙ্গীত মিত্র
তার থেকে তার থেকে ঝুলছে
সকাল দশটার রোদ খুব গরম
আমাকে তেলে ভাজার কথা বলে
যেরকম তুমি বোঝাতে,লজেন্স কিনে দিতে
আমি মোলাট বানাতে গিয়ে সব্বার টাইটেল দিয়ে ফেলি।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র

ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রে-ম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেপারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতির দৃশ্যফসল ইত্যাদি দেখছি ।


চাকা
রঙ্গীত মিত্র

ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।

আমার পাড়া
রঙ্গীত মিত্র

আগ্নেয়গিরির পাশ দিয়ে যাচ্ছি ;
বাসের জানলা থেকে গরমের নিশ্বাস শুনতে পাই ।
বাসেরা জামা পরে থাকে
কাঁচের তাত থেকে আমাদের ঝাল দিতে শেখা
দুজন মেয়ে এই রোদ্দুরে ছায়া নিচে দাঁড়িয়ে । গাছের ছায়ার সঙ্গে বাসার একটা মিল আছে
এরকম হামেশাই হয়
আমি শান দিতে আসি । শানঅলা সাইকেল নিয়ে ,আমার পাড়ায় আসে ।
নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।

নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।
নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।


আমার কথা

এখন মনে হয় কেন আছি?আসলে অনেক কিছু না পছন্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় । আনাকে নিয়ম দেওয়া হয় । এইবার মানো । কলজে হুলিয়া জারি করে । বন্ধুদের সংগেও বুঝি আমার দূরত্ব অনেক । এখন লোকাচারগুলো মেকি দেখা যায় । যেমন আমার বাবা । রোজ শোনায় চাকরি করা দরকার ।বাড়িতে থাকলেই রাজনীতি করে । বাজে ব্যবহার করে । আমাকে আমার মত থাকতে দেয় না । আমাকে দাসত্ব মেনে নিতে হবে? অথচ আমি দেখছি যে আমার বাবা বাইরে কত উদার মানবিক---আসলে এইরকম অভিনয়কে ঘৃণা করি । আবার দেখুন তারা আমাকে গালাগালি দেয় । এরাই কি ঠিক করবে কোনটা ঠিক,কোনটা ভুল । আমার বন্ধুরা বাড়ি আসলে তাদের সামনে এক ব্যবহার করে পিছনে আর এক । আমার বন্ধুদের ভুল বোঝায় ।আমার সম্বন্ধে সর্বত্র একটা ভ্রান্তিমুলক ভাবমুর্তির বানানোর প্রয়াসে সক্ষম হয় । আমাকে এইভাবে নির্যাতিত হতে হয় । এই যে আমার বাবা কিছু বোঝে না । অথচ একটা ক্ষমতার অধি্কারী—আমি এর বিরুদ্ধে । আমি কি ভুল করেছি? কবিতা লেখারয কি অপরাধ ? যারা বাহ্যিক-অনুসঙ্গের ব্যবহার করে আমাকে হত্যা করতে চাইছে—একদিকে তারাই আমার প্রিয়জন । জানি না আমার প্রেম এইজন্যে হয় নি । সবই আমার দোষ । আমি হয়ত এইভাবে বেশিদিন বেঁচে থাকবো না ।আমার সাহস ভেঙে দেবে বিরক্তি ।পেটের ভিতর থেকে অন্য খিদের রং আলো হয়ে আসে । আমি যা খারাপ তাকে ঘৃণা করি ।তবে চাকরি/অর্থ দরকার ।হয়তো কেন—নিশ্চয় দরকার । তবে আমাকে আক্রমণ করে,আমার লেখাকে আক্রমন ক রে কি হবে—আমি যেটাকে ঠিক বলে মানি সেটাই বলব । যৌনতা,নেশা,পাগলামো---এইগুলোর সঠিক নিয়ন্ত্রণ প্রোয়জন । মেকিআধুনিক আমি নই ।কারণ এতে আমি বিশ্বাস করি না । তাই আমি একটা নিজেরমতন বানিয়েছি ।
নতুন কিছু পেলেই পড়ি। দৃশ্য সংগ্রহ করি ।অনেকের মত নকল করি না ।পিছনের দরজাকে আমার দুয়ো—আমি ওখানে যাই না। আমি ওপেন সোসাইটির স্বপ্নে বিভোর হয়ে বসন্ত ছড়াই;দেখি গ্রীষ্মের ও সৌন্দর্য্য আছে ।

রঙ্গীত মিত্র
কলকাতা
২৯।০৪।২০১০ ; সকাল ঃ ১০।৪৭

ডাঙার শিরার রোদে---প্লেন ও আর একজন

রঙ্গীত মিত্র

শব্দ নিয়ে আসো তুমি মঞ্চপুরে
মঞ্চের ও পোউষ থাকে ;
এইভাবে পার্বন চেনা
পার্বনে অদৃশ্য কিছু মাইকের গন্ধ নিয়ে থাকে
যেমনি দরজারা আনমোনে খোলে
কোথায় অনামি মেয়ে,নদীস্রোত কাটো
নদীর ভিতর বদ্বীপ ও থাকে
আমার বিছানা আজ উথাল-পাতাল
অ্যাসেজ-সিরিজ বলে,হাত কামড়াই
ওলের মত সূর্যটাকে লাগে
হিন্দি সিনেমার গানের সঙ্গে মিষ্টি পানের রোদ
রাত গাড়ি ধরে ;
রাতের দুধারে শুধু গাড়ো উপত্যকা
ফলন নামেনি মাঠে,খুব মহাজন
শহরের আলো আসে আমাকে তোমাকে
তোমার শরীরগঠন থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখি;শেষ ট্রেন আলোকহীনতা পোহায়
তারপর সব ভুলে গেছি,সুফি শেষ গেয়ে গেছে অমর-কলি
বৃষ্টি দেখেনি আমি এরকম ঝড়ে ; ঝটকায় নেশা লেপে মুখ ধরে জলেদের কাছে
পাতার ছায়া আসে----চালুনিতে এমনিই ঝাঁকাই ; এখানে কর্তাল বাজে ।বিষন্নঘোর ; একটি দুটিতুমি কলেজ গিয়েছিলে,এখানে নতুন বন্ধু,বান্ধব ; এইবার বুন্ধুর কথা অব্যয় হয়ে ল্যপটপ ল্যাপটপ ডেটা কার্ড খোজে
আমাকে পাগোল বলে মেট্রো দেখেছি ; উত্তর কলকাতার কোন পুরোনো বাড়িকে জিজ্ঞাসা করলে সব সমাধান
সারা রাত তোমাকেই ভাবী ;তৈমুরের মত কিম্বা ভ্যানগগের মত---আমাদের কেউ বোঝে না ।বরং আলাদা হবার বিরক্তি আসে ; বিরক্তি অভাবের মত । ব্রীজের নিচে আলোদের ব্রিকজন্মসাল নিয়ে চাদর উড়ছে---ভলক্যানো ভলক্যানো বরফের ভিতর পুঁথি লিখে চলে ।আর আমি হট্টগোল পেতে আছি—এইটাই বাঁচারগিল্ড ; চারদিকের কবরের ঋতু ; ঋতু শুধু তোমাদের বলে । আমাকে ডাঙার শিরায় ফ্যেলে,ওমন অজানা সুর গ্রহদের জান নিয়ে গেলে ।



সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
পর্দা
রঙ্গীত মিত্র

দেখার ভিতর বরফি দেখতে পাই ; বরফি বরফি দিয়ে যে সব ছবি আটকে থাকে
তাসের মত সে প্ল্যাস্টিক
সুতো দিয়ে সুতো দিয়ে আলো সেলাই হচ্ছে
এদিকে ডালের দাম বেশি ; লোকসভার মধ্যে মর্নিং স্কুল দেখি

নাটকের সময় পর্দা দিয়ে সব পরিবর্তন করা সহজ হয় ।

ফ্লাওয়ার ভাস্ক
রঙ্গীত মিত্র
জামার হাতলের থেকে সুতো ওড়ে ;
কে যেন মাইক লাগিয়ে দিয়ে গেছে
আমি খাওয়ার দোকানে লম্বা লিস্ট দেখি
টেবিলের উপর কাগজ রোদ্দুর খাচ্ছে
এইবার এবং লিখলাম ; এবং লিখেই বুঝলাম ম্যাজিক হয়েছে
রবারের বলটা গোলস্ট্যাচু খেলছে
রায়ানদের জানলায় এখন কেকের গন্ধ ; আমি পকেটে থেকে সেলিনার বার করে ফুলের মত টাঙিয়ে দিলাম ।

গাড়ী
রঙ্গীত মিত্র

ওই ঐটার জন্যে আমি একটা ট্রেন মিস করেছি ;
বাল্বের আলো কেটে গেছে ।
দেওয়ালে ঘষে ঘষে চুন পড়ছে,
গাছের শিকড়ের মত জল লেগে ;
এইসব ভেবে যা হওয়ার ছিল না তাই নিয়ে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে আমার বাড়ির সামনে ।

বেহাত
রঙ্গীত মিত্র

বালতি দিয়ে সব ঢেলে
বালি ফেলতে গিয়ে,গায়ের জামা থেকে আলো এলো
ওরা আমাকে একটা দোকান দেখালো
এখানে ধুমের জিয়োগ্রাফী একটু এগিয়ে
আমার হাত থেকে বিয়ারের ক্যান ; সিগারেটে প্যাকেট নিয়ে নিলে ; অপেক্ষা করছি স্টিয়ারিংটা বেহাতের জন্যে ।

বাড়ির রাস্তাগুলোর বন্ধ হয়েছে
রঙ্গীত মিত্র

আমি দু-একদিন কাদাপাড়া গেছি ;
ফুটবল স্টেডিয়ামটার নাম পড়েছি

অনেক বার ।

এক ছাদে আমার প্ল্যাস্টিকের বল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান খেলছি,
২৫ পয়সার মত আরো কিছু পেলে একটা ট্রফি বানাতাম ;
আর , তোমাদের জানলার গান ধরে একটা হারমোনিয়াম দেখি

পকেটের ভিতর এখন খুঁজতে গিয়েও ডামাডোল ছাড়া কিছু না পেয়ে,ইচ্ছে করে বাড়ির রাস্তা ভুলে গেছি ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।

এব্রাহাম ইত্যাদির পর নালিশ জমেছে ফুলের ভিতর ঃ তোকে শোনাতে চাই
রঙ্গীত মিত্র

লিভারপুলের খেলা দেখা---গাছের শিকড় লেগে
থাকে ;
আসলে বয়স হলেই আমরা ক্রিম মাখি
দোকানে যাই ;

একটি কুড়ি বছরের মেয়েকে দেখে খুব রাগ হয় ।
এই এই ছ্যালেটা—এই সব বলে বাসে উঠি ; আমার চোখ পৃথিবীর মত

রিক্সার ঝুল নিয়ে বেদুইন ইত্যাদি ঘাঁটতে ঘাঁটতে গ্যামাক্সিন,ডাস্ট এসব বুকে ঢোকে।

আলো ভাড়া করে আসার পাড়া থেকে

রঙ্গীত মিত্র
১।
আড়ালসম্মতিপুর আমার আকাশ
কিছু গাড়ি ভোর নিয়ে আসে ;
চিমনি থেকে আগুনের গন্ধ পাই ।
আগুনের আকরিক নিয়ে যারা শহর বানিয়েছে
তাদের হলুদ টুপি থেকে টর্চ লেগে,
আমিও মিতালি করে
মহুয়া ছড়িয়ে
পাহাড় ; পাহাড় থেকে বৃষ্টির জল আসে ।
এইবার স্পেস দিয়ে অনেক উজ্জল দেখি
আকাশের গায়ে কে যেন পিচকারি দিয়েছে ।
পিচকারি রং নিয়ে রসায়ন পড়ি
কোনো সময় ভাবি আমি একটা বিশাল পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে
জলগুলো বিছানায়
কে যেন সারা দিন প্রেয়ার করছে ।
২।
সেন্ট পলস চার্চের ভিতর ঢুকে ছিলাম
জোড়া গীর্যার সামনে জামা নিয়ে ফলের দোকান
ওর পাস দিয়ে আমার স্কুল ।
নিউমার্কেটে আমি আমার দাদাকে দেখেছি
কিম্বা এসপ্ল্যানেডে গিয়ে একটা স্ট্যাচুর নাম জিজ্ঞেস করতে গিয়ে দেখি
কাক উড়ছে ।
কাকের ওড়া উড়ি দেখে আমার ডিসকভারি ডিসকভারি হয়
বল নিয়ে অনেকগুলো স্কুল পালানো ছেলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে
বোব্যারাক “কোথায় দাদা এবং কিভাবে যাব”
এভাবে হারিয়ে যায় ; পকেটের ভিতর ধুলোর আস্তাবল আসে
ম্যাঙ্গোবাইটের হোডিং দেখে
মেসোপোটেমিয়ায় চলে যাই
বড় ঘড়ি থেকে জাহাজের ডাক আসে
ডাকের দিকের থেকে একজন আইরিস মহিলা এসে
বুঝতে পারে না
আসলে ব্রীজের নীচে ব্রীজ হয়ে আছে ।

৩।
জল নিয়ে জল নিয়ে ভাসান দেখেছি
এখানে উৎসব জমা হয়েছে ।
তাদের ঝালোর গুলো
সানগ্লাস পরা :
রিয়েলমাদ্রিদের রাস্তায় আমার সেই লাল টুপি অলা লোকটিকে মনে হয়ে ছিলো
“কেন সে এরকম বাঁশি বাজায়”
আমাকে নাইকের বিজ্ঞাপন বানিয়ে দাও
দুজন মডেল আমার পাশ দিয়ে পুষ্পক রথ নিয়ে চলে গেলো ।
রথের আলোরা জেব্রা মানে না
আকাশের ভিতর ডলফিন দেখি
সালফার মেঘ হয়ে জমে
নদী স্রোত দেখি ;
নদীর জল নিয়ে সমুদ্রে মেশ
যদিও আমি পুরীর ছাড়া আর কোন সমুদ্র দেখিনি
সমুদ্র আমার শৈশব নিয়ে কাগজে পোরে
কাগজ কাগজ নিয়ে আমি স্বপ্ন বানাই
লাল রং-এ দাগ দিয়ে কে যেন গীতা পাঠ করছে
একদিন একদিন করে দু-ইতে এসেছি
আমার দরজাগুলো ছোট হয়ে এসেছে ।

৪।
যেখানে ক্ষতের কোনো শেষ নেই ;
কলকাতা ছাড়িয়ে আমরা এখন অনেকদূর
গাছার ডালের থেকে আমি মেঘ টান্তে শিখেছি
তিস্তাকে আরো নিজের বলে ভেবে
শীতকাল বিদেশিপাখি চড়ায় ।
অনেকটা ট্রেক করতে হবে ; চড়াই উথরাই
ঝরণার জলে রোদেদের টিপ সই
একটি নেপালি ছেলে,গান গায়
ওদের গানগুলো ফুল হয়ে আছে ।
আমার ডাইরির আগের পাতা থেকে এই সব সংগ্রহ করে
ডিজনিল্যান্ড যাবো
যেখানে টয়ট্রেন আকাশের দিকে
রোপোয়ে রোপোয়ে বলে
মেঘ করে আসে
মেঘের ছাঁচ নিয়ে
আমি ক্যাডবেরি খাই
টাওয়ারহীন মোবাইল থেকে ঝুলে আছে
আমি আইপডে রবসন শুনি ।
কোথায় কাঠের বাড়ি
একটা বুনো কিছু দ্রুত সরে যায়
ভীষণ সতেজ হয়ে মাউথ অরগান বাজাই
পিচের রাস্তা দিয়ে চিহ্ন লেখা আছে ।

৫।
সমুদ্র যাত্রার প্রবালদ্বীপ হয়ে যায় ;
উঁচু থেকে সবুজ চাদর
যেভাবে তোমাকে দেখা ; ঘুম চোখে রাত মুচে
ছবি আঁকে যারা ;
সেই সব পাত নিয়ে গাছেদের সভ্যতা
আয়নার দিক থেকে আমরাও দেখি ।
আমার দেখার ভিতর দুটে গ্লাস আর অ্যাশট্রে
বিছানায় তার আগে কিছু পড়েছে
পুড়ে যাওয়ার রং আমি কালো পেনে টানি
স্কেচের রং আসে জৈব ভীষণ
আপাতত ঃ সবটাই দৈব বলে জানি
আমার জানা শোনা এই পর্যন্ত
যেমন ভোর হলে একটা টিকিটিকি গরাদ বলে লিখে দেয়
সুমিতা গান করে--সা রে গা মা মোজেক বসেছে আমার ঘরে
আমার ঘর শুধুই অগোছালো
খবরের ভীড়ে শীতঘুম
মোবাইলটা সরিসৃপ
হিসেবজনিত ভাবে
ডিম পারে না ;
ডিমের সাথে যেগুলো অবৈধ বলে
আমারা তার টানাই
দেওয়ালে পতাকা টানি
এই যদি দুটো শুশুক দেখা যায়
নদীও বৃদ্ধ হয়
এর ফাঁকতালে অনেক তেল জমে থাকে
মাঝরাত আড়ল করে টিভির আড়ত
কোমড়ে ট্যাটু করি ; কোল্ড ড্রিং-সে ক্যাপ জমাই
ল্যাস্ট কবে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম জানি না
নামগুলো ভুলে যেতে চাই
ভুলে যাওয়ার উপর স্বপিং-কমপ্লেক্স জন্মায়
ধারালো পাত দিয়ে সূর্যের ট্রেসিং করি ।

৬।
ফিজিস্কের খাতা শেষ হয়ে গেছে ;
আমি ডেম্পোর খেলা দেখছি ।
দই-এর ভাঁড়ে এখন ও ঠিক ঠাক জমে ওঠেনি
গোঁইয়ানির শব্দশুনি
এখানে শব্দেরগুণিনেরা ব্রজবুলি বলে
অদৃশ্য কিছু হার্পুন এসে চুল টেনে
ফূটপাত শেখায়
এখানে ফূটপাথ বেদখল হয়ে গেলে
ঝুপড়িরা গ্রাম থেকে আসে
৬০ হর্সপাওয়ারের নীচে কাজ চলে
একটা সাদা বেড়ালের চোখের মত
হিপনোটাইজ
তোমাকে দূর থেকে বোঝা যায় বলে
ডট নেট শিখি
আমার বাড়িতে হলুদের বড় অভাব
তাই প্রজাপতি নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরে যাই
রাতে ভ্যানগগের স্বপ্ন দেখি ।



৭।
কমলা লেবু খেতে হেঁটেছি
তুমি ঠিক এই সময় স্কুলে যাওয়া
কিম্বা তোমার বন্ধুরা কারা
বয় ফ্রেন্ড আছে?
মোবাইল নাম্বারে
ইস্তিরি চালাই
গলির ভিতর মাঝে মাঝে গালীবকে দেখি
আমার কানের ভিতর পশ্চিমিসুর
রেশ্মি অপ্সরার হাত ধরে টানে
এসির রেট কত ?
সব প্রদীপে ভাসিয়েছি,জলে
এমন চাঁদহীন রাতে
ঘাস জমে ; ঘাসের ভিতর থেকে ফুর ফুরে হাওয়া
নরমতাঁবেদারি থেকে তোমাকে ধরি
পৃথিবীর ত্রিভূজাকৃতি নিয়ে আমাজন বুঝি
এদিকের খোলস কিরকম
ফ্যাশন প্যারেড চলে
আমার দেওয়ালে গুহাচিত্র হয়ে,পর্দা ঝোলে ।
৮।
তোমাকে স্পর্শ করবো বলে পাইন গাছ
পাইনফল দেখি আরো উপরে উঠি
খানিক ক্লান্তি আসে ; আবার জিরোই ।
আমার পিঠের ব্যাগ থেকে বিকেল ডাকা পড়ে
খুব গোপন ভেবে নদীদের বাড়ির পথ ভুলে
ফোক্কোরে মাছ এসে সোনারং ফোঁটা
গাছের আয়ুর বেদ আমি জানি না
টুকি বলে প্যাডেলিং করি
ক্রমাগত ক্রমাগত ঝাঁপ দিয়ে ফিরি
ফেরার জলছাপ নিয়ে সূর্যের বাড়ি ধোয়া হয়
আমার সামনে কেউ যন্ত্রচালায়
ওসব বৃথা ভেবে
অথবা পারবো না
আমি কাদার ধাঁধা বানাই ল
আর
বাইবেল পড়ি ।
বাইবেলের সেই তারা দেখতে গিয়ে বুঝি
আমি গ্যালিলিও নই ;
চারপাশের বিষন্ন ডিসঅরডার
আমি বিষুব আনিবিশকে বলি প্লুটোর সমুদ্র
ইউরেনিয়াম ও ইউরেনাস নিয়ে ভাবার আদমসুমারি করি
নেসকাফে খাই ।
একটা নেকড়ে এসে আমার পা দেখে
আমি খুঁটি নিয়ে অরণ্যদেব হয়ে থাকি ;
হ্যাডকের কার্টুন দেখি
ক্যালসিক্যাল মিউজিক শুনি
আর আক্ষেপগুলো হাউসকোর্টে বসে আবার খেলা সাজাই
সাজানো গোছানো সব আবার বদলিয়ে ছায়ার সাথে ছায়া আবার ওঠা বসা
রজনীকান্ত শুনি পুরাতনী গান; নিজের ফানেলের ভিতর রাংতায় মোড়া
আস্ত ম্যাজিক দেখি ঘূর্নিতে আমি ; আমার ভিতর দিয়ে “রিং-এর রাজা”
অদৃশ্যের সাথে কথা কই ; মৃত মাহুতে মত চরকা উড়ছে
পাথারের চাতালে আমি অমরাবতী বানানোর ময়দানবের লিংক নিয়ে,মহাকাশ ভাড়া করে আছি ।

রঙ্গীত মিত্র ; ৩ এফ ঝিলরোড ; কলকাতা-৩১ ; ঢাকুরিয়া ; পশ্চিমবঙ্গ । ফোন নং ঃ ৯৬৮১৬৬১৮০৬

No comments: