Tuesday, July 6, 2010

godya

বিউগল বাজানোর যে ফেরিঅলারা পরিযায়ী হয়েছে
রঙ্গীত মিত্র
পয়লা মে,২০১০ ঃ

What passes for night here has more to do with the place
where the body is flayed open to sorrow and wonder.
The boy on the bridge drops a feather into a lost river.
A rusting lawn dreams of grass rude and fescue.
A match held down to tobacco still burns with an upward flame.
There is no truth here.
Dutifully the mist comes down the mountain. What else can I tell you?
“ [There are no Names for Red-VI]
[ Chris Abani]

১।
সম্পর্ক একটা দূরারোগ্য রোগ বিশেষ । এইরকম ভাবতে ভাবতে কফি হাউস থেকে ফিরছিলাম । ফেরা নিয়ে অনেক সমস্যা,এই সময় প্রচুর ফোন আসে ; পপকর্ণ চিবোতে চিবোতে আলোর লাল সবুজ হয় । আমার ও লাল সবুজ ছাড়া আর কিছুতেই আগ্রহ নেই । হলুদ রংটা মহাকাল হয়ে আছে। যেমন ধরুন মধ্যরাতের রাস্তা । আলো দিয়ে সব ধোয়া । সে সব ধোয়া মোছা রাস্তায় ম্লান রঙা আলো,কেউ কেউ লাইট পোস্ট ভেবে অপেক্ষা করে যায় । অপেক্ষার পর কোন দাম আছে ভেবে লাঠি নিয়ে কিছুটা অন্ধকার তোলে---ছাতা বানায় । এখন আর সেই পুরাতনী গান বাজে না । আতরের গন্ধের কাছে হাঙরেরা চলাচল করে । কিছুটা ভুসো লেগে গেছে বলে রাত্রি কেমন আছো ? অথবা এইভাবে ওড়ে ; বাদুর বাদুর ; দেরি হয়ে যেমন সাঁওতালরা তাদের বাড়ির মাটির দেওয়ালে খড়ি দিয়ে আঁকে । আঁকার ভিতর ও লেখা থাকে । লেখার ভিতর তোমাকে । বিঁপ বিঁপ । আওয়াজ ।একটু ডিটারজেণ্ট দিয়ে ঘষে দি?
পাথরের মুর্তির মত জেগে থাকে কেউ কেউ । বয়স হয়েছে বলে কোন সুখ রাঘব বোয়াল । “এই পা চালিয়ে চল”—লাস্ট ট্রেন পিছু ভিড় । দুধের ফোঁটা লেগে আছে । চিক চিকা । ঠিক বলছেন । না না বিডন স্ট্রীট । এইরকম দেওয়ালে লেখা থাকে না । দেওয়ালে বড় বড় কথা লেগে থাকে ।লেগে থাকার টপ আর এন্ড নিয়ে একটা উলবোনার কাঁটা নিলাম । কারণ ওখানে শুধু সমাজ-সময় আর রাষ্ট্র নিয়ে লেখা থাকে । জিব্রেজাং জংশনের মত । যার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। এখন রক্তবীজ কথাটা হেঁদুয়ার ফেলে রেখেছি । আমার এইটুকু মনে আছে,কলেজস্ট্রিট বাটা পেরিয়ে ছিলাম ।নিজেকে কেমন পায়রা পায়রা বলে মনে হচ্ছে ।একটা নীলের হাইলাইট মারা । তাপ্পির মত ।শ্বেত ব্লার লেগেছে । ব্লার না পট্টি । এই ধরুন আমি কলেজ স্ট্রীট থেকে বাড়ি আসতে চাই । চায়ের দোকান পেরিয়ে ভানুমতীর দরবার । মৃত-স্তুপের মত গোলক ধাঁধা । গরুর দোকান ।চোঁয়া ঢেঁকুর । দোলা দিচ্ছে । একটা গোল গোল চাকা । ফরাক্কার জল যেরকম আসে । আমার পাশের দিকের অপরূপা । এই অপরূপা শব্দটা হাতে এসে গেছে । কার উদ্দেশ্যে ? কার? না না শোও । শুয়ে পড়ো প্লিজ ! প্লিজ ।
আমি বার বার পিছনে ফিরে আসি ।এই ধরূন ঘোলাটে কিছু এলেই আমি কি সব দেখতে থাকি ।দেখার দিক দিয়ে দেখতে গেলে বিরাট কোলি,গৌতম গম্ভীর এই সব ভাবতে হয় । ভাবনার একটা স্কুল খোলা হবে । এই আমি একটা মেজোনাইন সাইজের ঘরের সামনে এসে সমুদ্র দেখি । পাতিরামের সামনের আঁচলে অ্যাতোটা বিকাশ ঘটীত ব্লিঙ্ক লেগেছে আর ফলতঃ কলের মাথার মত রাস্তার মোড় শুধু ঘোরাচ্ছে । বন বন ।আর এই বনসাই আমাদের অবলম্বন । এই ধরুন রাত বাড়ালে রেডিওরা চেজ্ঞ করে । গরম ছুঁচ আমার মাথার ঘিলুতে খেলছে । খুব ছ্যাকা লাগছে । ঠিক ১টার সময় ঘন ৪৫ডিগ্রীর মাফলার ।এই যা পকেট থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো । মোবাইল তুলে নিলাম । জমাট বাঁধা বাড়ি—বাথরুম পেলেই যেখানে আমরা আড়লে খুঁজি আর নেশা হলে চাতালে,মাদুর বিছিয়ে ধুলোটানা রিক্সা,পুলিশ-টহল--নৌকার মত কুকুর শুঁকে শুঁকে শেয়ালদা স্টেশান । একটা লাল বোতাম টিপলে একটা ছাদের উপর । উলটো ছাদের ও যেখানে গল্প আছে ।যেখানে গল্প অনুসারে তুমি সামনের দোতলার জানলায় দেখবে । দেখা নিয়ে দেখা নিয়ে হাতের তালুময় ম্যাপ পয়েণ্টিং । ম্যাপ নিয়ে হিসেব হোলো কে কত % বেকার । কালো কোর্ট পড়েছে তখন।পর্দাটা উঠলো । তুমি দেখছে একটা পোট্রেট । আসলে বড় হওয়া একটা উপাধির মত । তবে সব কিছু তুলনামুলক ভাবে সত্য ।সত্য এইরকম পুর্ব-প্রাচীন শব্দ লিখতে গিয়ে দেখি আঙুলগুলো ও উথাল পাতাল । একটা বক্স দিয়ে আপাতত আঙুল চালাণো হচ্ছে ।ভূতেদের যেমনি চোখ আমরা স্বপ্নে ভেবে থাকি---সেরকম অগোছালো ভয়াবহ ।
কিছুদিন প্রিয় কিছু বাদ পড়লে ; আবার ভালো লাগে । পাখার ফাঁক দিয়ে ছায়া কেটে যায় ।কেউটের মত কেউ শব্দ করে না। উপরে যাওয়ার শব্দ হয় । একপাঠ ছায়া আসে । ঘাম হয় ।
তারা ছিল এরকমই ; তুমি বাডি যেতে এই রাস্তায় ; রাস্তায় গাড়ি চলে;গাড়ির ভিতর দিয়ে গাড়ি হয়ে ওঠে
ঘাগরা ছূঁয়ে যায় ; আলোর কি নিয়ে বলতে গিয়ে ।অজানা বিছানা ঘুম ভাগাভাগি করে ।
৩মে,২০১০ঃ
বাড়িতে বসে আছি । এখন আমার ঘড়িতে সবে সকাল ৭টা ।পলরবসন শুনছি ঃ
“Ol' man river,/Dat ol' man river/He mus'know sumpin'/But don't say nuthin',/He jes'keeps rollin'/
He keeps on rollin' along.”
কিছু রাস্তা বাধ্য করে দেয় যেতে । কালকের বৃষ্টির পর বেশ শীত শীত ।ঠান্ডা বাতাসের ঝাপ্টা আসছে । কাল ঘুমতে ঘুম্যতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল । সেরার ফোন আসেনি । আমার জলধরা মোবাইলে একই গান হয়ে যায় । একজন বৃদ্ধলোক নৌকা ভাসিয়ে যাচ্ছে । খেয়াল হল আমি আমার চেয়ার এ পর্যন্ত । এখন ও ঘরের ভিতর থেকে জানলা । জানলার বাইরে সমুদ্র দেখতে গিয়ে দেখি রেল লাইন হয়েছি । সামনে বাড়ির এক্টি মেয়েকে দেখতে পাচ্ছি ।ওর নাম পিয়া । একটু মুচকি হেঁসে অবাক হয়ে উড়ে গেল।ওর চুল ; চোখ ---আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে একটা ক্যানিং-লোকাল চলে গেলো । আমি আবার মেঘ গুনতে থাকলাম । মেঘের ভিতর একটা নেট ওয়ার্কিং থাকে । আমাকে বয়ে নিয়ে যাও হে ; বয়ে নিয়ে যাও।
টর্চ ; উল্টো দিকে করে রাখা একটি টর্চ ।
বিয়ের সানাই-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ছে
রিক্সাঅলা আর আমি ।
এই আমি লিখেই একটা কাক জানলায় বসে এদিক ওদিক দেখছে । আমার মোবাইলের মওকাপুরে এখন ও ঘুম । আমরা এক গর্ত থেকে অন্য গর্তে আলো ভরছি । তার দিয়ে আলো ভরছি । আসলে বেশি সময় আমি বসে থাকতে পারি না । খাতায় আমি এলজেবরা লিখতে গিয়ে দেখি সেতু হয়ে গেছে ।কে যেন খুব বিরক্ত করে । জানেন এই লেখার সময় । আমার ভাবনাগুলো আবার হারিয়ে যায় । এই হারিয়ে যাওয়াকে আমি খুব ভয় পাই । আর ভয় পাই বলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাই ; রেগে যাই ; একই গান শুনি । একই জিন্স থেকে কালো রং আকাশ হয়ে যায়;বেড়াল হয়ে যায় । ছবিগুলো উল্টে রাখি । জল ঝরে আসে । যদিও জলের বিভিন্ন আশ্রয় আছে ।আরো ১০ মিনিট দাদা । পাবলিক টেলিফোন টেলিফোন জীবন । এইবার থামলাম । জল আর সেতু । জল আর সেতু নিয়ে থামলাম । আমার তাক থেকে একটা জেগে থাকো জেগে থাকো ভাব । জলের কথা ভাবতে ভাবতে বেড়িয়ে পড়লাম । এখন রোদটা ৪০-এ নেই । তাই রোদের জ্যামিতি নিয়ে মৌবন দেখছি ।মৌ নিয়ে আর একটা শব্দ মনে এলো মৌতাত মৌতাত । আমার বাড়ির সামনের রেল লাইন পেরোলেই অনেকটা দূর । এই দূর শব্দটি আমার দূরত্ব-র নির্ভরশীল ।বাকিটা শীতলগোত্রের প্রাণী । লেকের পাশ দিয়ে হাঁটলে অন্য বাতাস সোচিনের প্রথম ২০০ করার মত ,লারার একটা হুক সর্ট । লেকের পাশ দিয়ে আমার ঘুরে বেড়ানোগুলো সিনেমা দেখেছে ।এখন আপনি ভাবুন গোলপার্কের মোড় ।রামকৃষ্ণমিশন ।রামকৃষ্ণমিশন পেরিয়ে কিছু চায়ের দোকান বসে আছে । গাছের ঢাল থেকে চায়ের পাতা---একটা পাঁচ নম্বর বাস হুস করে চলে গেলো । স্কুল যখন পড়তাম তখন এই গোলপার্কটাই কত দূরে ছিল । এইতো ক্লাস টেনের পরীক্ষার পর আমি,সুতপা,সিরিন এই চায়ের দোকান ছাড়িয়ে লেকের মুখের দোকান থেকে ৫৫৫ কিনে ছিলাম ।লুকিয়ে স্মোক করার একটা আনন্দের ; “টু ব্ল্যাক ডগস” যেমনি একটি মদের দোকানের নাম । ছোটবেলার এইসব মুহুর্তগুলো খুব আপন আপন লাগে । এখন আর বিয়ার খেতে ইচ্ছে করে না । সিরিন পুনাতে,সুচেতা জে-এন-ইউতে । আমি এখন ও শহর ছাড়িনি । টিউশানির মত ; খুনশুটির মত ---মাথার উপর থেকে পাতা ভেসে আসে—গাছের আর্কের ভিতর দিয়ে ভ্যালেনটাইন ভ্যালেনটাইন হয় । এই শব্দটা বেশ রসালো । শব্দ ভেঙে সিজলার বেড়িয়ে আসে।আবার আমি স্বাদের দিকে ফিরে আসছি । ঝোড়ে ঠান্ডা হাওয়ার ভিতর—আমি লেকের একটা পাড়ে বসে দেখি ওরা প্রেম করে রোদ্দুরে ; চোখের ভিতর তখন চোঙের খেলা । আমি পা দিয়ে পা দিয়ে কাদা মাখি ; কিছু কার্পেট শ্যাওলা পরিচয় সবুজ হয়েছে আর কেউ কেউ এক হয়ে পতাকা ওড়াচ্ছে । এটাও একটা জমায়েত । জমায়েতে ইণ্ডিয়ান ওয়েলের ছায়া আসে । সাউথসিটি ও । ওদের বাক্সের ভিতর শুনেছি জোনাকি থাকে । জোনাকি বিভিন্ন রকম আলো ভিজে গেলে ভিকিরা আসে ; ভিকি যে একটা কুকুরের নাম আমি জানতাম না । বিস্কুট খাচ্ছে সে ।ওর চেন থেকে ছায়া ওড়ে উথাল পাতাল জামাগুলো হাওয়া নিয়ে খেলে যায়; উপত্যকার ছাঁচ নিয়ে কেউ আসে ; কেউ আবার পাখিদের ঘর হয়ে যায় । পাখিদের ঘর মানে সাপের প্রবেশ । গাঢ় কিছু লেগে থাকে মুখে ঃ
তোমার নরম নরম আলো আমায় পথ দেখালো
এই লালঘূর্নি আমাদের বুদ বুদ,আমি ভীষণ অসহায়
কাঠির ভিতর দিয়ে সকাল হাঁটছে ; ভোরবেলার বিন্দু লেগে আছে আকাশে ।
বসে থাকতে থাকতে চা-অলা এলো । আমার পাশে তিনটে মেয়ে বসেছিল। ওদের গল্প শুনছিলাম । আমি এইরকম-ই একা লেকে বসে থাকে । একটা অস্থির স্রোতের মত ; মটর মটর লেগেছে লাল-নীল-কালো টপের ভিতর । একজন আমাকে পিছনে রেখে বসেছে । তার কালো স্কার্ট থেকে পীঠ ও কোমরের বাদবাকী আমার খুব ভালোলাগছে ।জিন্স থেকে গোলাপি রং-র কিছু স্তর--; আমি খুব মনোযোগ দিয়ে ওদের আড্ডা শুনতে লাগলাম ।কিছু ফিতে দিয়ে বুক ধরা আছে ; একটি মেয়ে তার জিনসের পকেট থেকে প্যাকেট বার করলো । তারপর প্যাকেট থেকে পাতা বার করে কি সব কাটলো টাটলো।একটা বড় সিগারেটে ভিতর ভরলো ।সিগারেট খাওয়ার পর তারা উঠে চলে গেলো ।কিছুটা ধোঁয়ার বুলি নিয়ে একটা ট্রেন এলো । আমি গাছের পিছন দিয়ে বিস্ময় ও গোলক আঁকলাম । লেকের জলে ছায়া পড়ছে গাছের । আর গাছের পিছন দিয়ে বজবজ লোকাল । আমি ট্রেনের পিছন পিছন দিয়ে দেখলাম মেঘ করেছে । ঘড়িতে আটটা বাজে । হাওয়ার পাল্লা ভাড়ি । মেঘের পাশ দিয়ে আমি একটা রাগবি খেলার ভিতর ঢুকে গেলাম ।এরপর বৃষ্টি এলো ।জলের মিশে থাকা পা থেকে আলো টানি ।আলোর ভিতর দিয়ে রাত এলো ।
৫মে । ২০১০।

When you come to me, unbidden,
Beckoning me
To long-ago rooms,
Where memories lie.
Offering me, as to a child, an attic,
Gatherings of days too few.
Baubles of stolen kisses.
Trinkets of borrowed loves.
Trunks of secret words,
I CRY.” ; [" When You Come”] Maya Angelou

ঘরের মধ্যে থাকলে অনেক কিছুই মনে আসে । এই ধরুন চেয়ারে বসে আছি । আঁকশি ঝুলছে দরজায় । এইবার টেবিলের সামনে চেয়ারটা টেনে আনলাম । আয়নায় আমার কাগজের ছবি হয়ে আসে । একটানা লিখতে গিয়ে মোবাইল হারিয়ে ফেলি । একজন,দুজন---এইরকম করে তোমার ফোন আসে না। আমি দু লাইন আবার লিখলাম । তোমার ফোন ব্যস্ত ।অনেকবার ট্রাই করার পর,ছেড়ে দিলাম । খুব খারাপ লাগছিলো । যখন একা থাকি তোমার কথা ভাবি । দূর থেকে সাউথসিটি দেখতে পাই । ওটা আমার দার্জিলিং-এর মত—কানের ভিতর নেপালি ছেলে গান গেয়ে যায় ; শীত শীত মুখ হয়ে বৃষ্টি আসে আর আমার ঘরে এখন আলোর কায়দা । এই আলোটা ছাড়া না ছাড়া খুবই কঠিন ;যেমনি আমি কিভাবে বেঁচে আছি সেটা ট্রামকে জিজ্ঞাসা করলে কিছু রোদ গূটিয়ে টিং টং শব্দের জাগলারি হবে ।যেরকম নদীদের ও বয়স বাড়ে । তারপর খাল হয়ে যায় । আসলে ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পর পলি পরে । ড্রেজিং হয় । কখনো হয় না আবার । গড়িয়ার স্টেশানের আগে একটা ব্রীজই আমার কাছে এরকম বিস্ময় নিয়ে আসতো । এমা! এরকম বলতে যে আমি একটা ফাটাফাটি তৈরি করতে থাকলাম সেটাকে পকেটে পুরে শহরের জল বইতে দেখি । আমার ছোটবেলা ঢাকুরিয়া,যাদবপুর পেরোলেই মাঠ,গাছ ইত্যাদি আদর্শ চিত্রকল্প দেখতে পেতাম । কেন জানি না এখন সব বাড়ি এসেছে ।বাস,লাইট পোস্ট আর সহর দেখে আসার মেজাজ নিয়ে ফোন চেক করি । একটা কোকিল কাকেদের বাসা খুঁজে না পেয়ে গজ গজ করতে করতে চলে গেলো । জলের ট্যাঙ্ক থেকে পৌরকল এইরকম ক্লাসিক লিখতে লিখতে কিছু পাতা আর খোলে না ।আমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা অ্যাপ্রুভ করে কেউ কেউ ; ঝিলমিল ঝিলমিল আমি গানশোনা মন নিয়ে খাটালেরা শহর ছেড়েছে । তাদের কাদামাটি নিয়ে যারা খেলে বেড়াতো তাদের চোখ ভরাট করেছে কম্পিউটার । আবার ফোন বাজলো । রেশ্মি ফোন করেছে । কিছু বেকার আলসের উপর থেকে দেখে সৌমিরা অনেকদিন এপারা ছেড়েছে । ওদের দোতলা বাড়িটার জায়গায় একটা গ্যারেজ-অলা ৫ তলা এসেছে । কিছু কুকুর গরম মুখে করে মেঘ ডাকছে ; বাকিগুলো সময় নষ্ট । ব্যাটমিন্টনের র্যা কেটে কবে ঝুল পড়েছে । কয়কেটা বস্তির ছেলে এসে শূণ্যস্থান পূরণ খেলছে । ওদের না কি খেলা নেই ; যাদের আছে তারা রুটিন বানাছে । হয়তো রুটি নেই বলে কিছু খোপ জমে আসার সেক্টর যার পাশ দিয়ে ট্রেন যায় । এইতো কিছুটা দূর থেকে আমি উঁচু উঁচু ন্যাজ্জ পাঁচিল দেখি । মেট্রোর ব্রীজ দেখে আমি মাটির নিচের কথা ভাবি ; সেই সব জলেদের কথা ভেবে হয়তে জেলে হয়ে যাই---মাঝিদের নিয়ে একটা ফ্লিম ফেস্টিভ্যাল হবে । চশমার নিচ দিয়ে আমাদের তলানির আঁচল কিম্বা গিটারের ট্রিগার বলবে শহরের টিউমার হয়েছে । আজকাল হাজার প্রোয়জন হলেও দরজা কেউ খোলেনা। এসব আহ্লাদ সব টব হয়ে গেছে । আমি যেখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম । ধরুন ১৯৯৭ সাল । সেই সময় আমাদের পাড়ায় আড্ডা বসতো । এবাড়ির রান্না ও বাড়িতে যেত । সুনয়না,পিয়াসিদের সংগে আমাদের অখন ভাব আড়ি । “সেক্স”-এর মানে আমরা বুঝিনি । দেহজ-তত্ত্ব ইত্যাদি ব্ল্যা ব্ল্যা—হেব্বি ভয়ের কিছু সিগারেট এইরকম তারপর বড় হয়ে আলাদা হয়েছি । বুঝেছি এটা ন্যাপকিন,এটা যৌনতা,এটা ফুর ফুরে----বৃষ্টি আসে । ব্লাউজের তলানি ফেরারী খাম । হয়ত আকর্ষণ কিম্বা অন্য যন্ত্রনা ।অভিকের বিয়ে হয় । মৃত্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না । পুকুরেরা বেড়ি লাগানো থাকে । তাসের আড্ডায় আফজল আসেনা ।আই-পি-এল হয় । ব্যারিস্তার হোডিং দেখে কিছু কফি অপেক্ষা করে । রাতের মুখে হাত দিয়ে পাকা পাকা হারিকেন কিছু লাইট হাইজের মত কিছু দ্রবনীয় নয় এরকম হরফ নিয়ে নাইটক্লাব আসে । মদ খেয়ে জুয়া খেলতে ইচ্ছে করে । আমার পায়ের ডগায় ভৌ ভৌ এমন মায়াবি কাউকে ভালো লাগে । কি বল্লেন পরকীয়া ? কি অপেন –সোসাইটি ? আমি হাসলাম । ওপেক ওপেক হাসলাম । তুমি শুনলে কপেগ । হা হা হা । আমার সামনে দিয়ে তিনটে মেয়ে চলে গেলো।আমি স্যারিডন স্যারিডন এমটেক এখানে আর গালি দেওয়া যাবে না বলে আর কলেজের ক্লাস,টিচারসরুম,গসিপ,হুইসিল এইসব নিয়ে রাজনীতি দেখলাম না । শুধু মিছিল লিখে দেখি ২৩৪ বাসটা আসেনি । মিডীয়া লেখা আছে । লেলিনের মূর্তির নীচে আমার ব্যাগটা টেনে এক থাপ্পর । শালা । খুন করে দেবো । ভয় পাই । ভয় নিয়ে ১০টার পর বাস কমতে থাকে । ১০ টা না বলে রাত দশটা বলা ভালো । কেউ কেউ শরীর বইয়ে হাত নাড়ে । ট্যাক্সি -----!!! রেট কত? এসি না নন এসি ? দূর এতে চলবে না । আপনি পার্কস্ট্রিটে চলে আসুন । অতোটা না আসলেও “স্কুল গার্ল,কলেজ গার্ল---” সবুজ আলো জ্বলে । আপনি শুধু আশ্রয় খুঁজুন আর আড়াল কোড়ান ।যাতে অন্ধকারের নাম না আসে আপানার ঘরে । এবার শেয়ালদা স্টেশানের বাইরেটা দেখুন । অনেকে গল্প করছে । কি বল্লেন সমকামি ! পাড়ার মাসিমা বল্লেন “কি লজ্জার ! কি লজ্জার “---আসলে লজ্জা কথাটাই অপরাধবোধ আর আমাদের মেকিমোচ্চপ থেকে উঠে এসেছে । ফলত যারা আমাদের মত নয় তাদের এইরকম অথবা বা ব্ল্যাক লিস্ট করে “অপেন-সোসাইটি” বা নুডিস্ট কলোনি নিয়ে ধ্রুবক লিখছি । এদিকে একটা ও আলাদা নেই হলে খুব বিপদ । সব্বাই যদি পীঠে ব্যাগ আর বাইক কিনে “দিল মাঙ্গে মোর” হয়ে । আহা তাহলেই ইস-কাবন ; রুবলের মত ব্যাপার । বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে গত জন্মের ভ্রণ । আবার বাইরে থেকে । মানে আমার বাইরে থেকে কে যেন বিরক্ত করে গেলো । আমি ধরতে পারলাম না । এই মাত্র ফস্কে গেলো । এরপর পরের পেজ খুললাম । আমি দেখছি একটা অহেতুক দীর্ঘ কিছু বাঁশি আর বালিগজ্ঞ স্টেশান যাকে কিনা স্টেট বলে টের-রিজম বলে আমি রিজিডিটি কিম্বা টাটা সেন্টার বলছিনা । রিয়া,রনিদের আমি আমগাছ দেখিয়ে বলি এটা কি ?উত্তর নেই হয়ে আপাতত রায়চকে । গভীর কুমিরেরা কিয়স্কো দেখছে । একটা গোলসভায় লোকভীড় । প্রান্তিক প্রান্তিক প্রান্তিক---দেবলিনার কথা মনে আসে । অবসর আসে পেঁয়াজের মত । বাসা থেকে গোলাপেরা সেণ্ট দেয় । “এ” লেখা বাজার আসছে বিজ্ঞাপনে । নিউচ্যানেলে কেউ ডাকতি করেছে বলে শুনিনা শুধু ট্রেডিং হচ্ছে আর আমি কাগজ পড়ছি ।
চব্বিশ চব্বিশ লিখেছি দেওয়ালে
বারুদে মিশেছে ঘাম ;
জিশান বলে একটি হোটেল হয়ে যায়
ব্রীজের উপর থেকে রকেট দিয়ে টানি মহাকাশটাকে
রুমির জন্যে প্লিজ আনিয়ে দাও বলে,কেঁদে ফেলি
আমার নেশার ঘোর ;বে-আব্রু বাদামখোর বেড়াল
বড়দের গোল গোল বিষ নিয়ে আন্দাজ নিয়ে শহর খুঁড়ছি আমি ।



১১ই মে । ২০১০
আমার বাড়ি ছিলো এত পর্যন্ত । জাহাজ ঘাটা বলতে পারেন । জাহাজ দেখেছি আমি আন্দামানে যেতে যেতে । জলের উপর কেমন আলো ছেয়ে আছে । আচ্ছা আমাকে দেখতে পাচ্ছো । তোমাকে লাল পাজামাতে দারুন লাগে ।এই দারুন লাগাটা বাড়ি থেকে পালাবার মত । অবশ্য আমি অনেকবার পালিয়েছি । আমার সব কিছুর খারাপ থাকা থেকেই আমার পালানো একটা স্বপ্নের মত । আসলে স্বপ্নের মধ্যে আমরা যা যা পাই তাকে কোন দিন দেখতে পাবো বলে সকালটা রিদিমিক লাগে । চায়ের জলে চিনি মেশে । দুধ আস্তে আস্তে সকাল আট্ট হয়ে যায় । একটা কুকুর তার পা চাটে । ঝিমলি স্কুলে যায় । আমার বয়সটা অনেকটা বেড়ে গেছে ভেবে ছাদে উঠে যাই । দূরে চটকল দেখবো বলে আমি টিভি টাওয়ার দেখি । আর মালগাড়ির বদলে ভিড় ট্রেন দেখি । তোমার লম্বা চিঠিতে তুমি আমাকে এক বিদেশিনীর লেখা পাঠাও আমি পড়তে থাকি । পড়তে পড়তে চাদের আলসে জাপ্টে ধরি যেরকম এই শহরে প্রহম তোমায় জড়িয়ে ধরে ছিলাম । আমার জানলা থেকে মুখ বার করে থাকে “লেটা র হোম ” কবিতাটা । আমি চিৎকার করে পড়তে থাকি ; বার বার পড়তে থাকি ঃ
FOR ALL WE KNOW

Every now and again, then yet again, science floats up
out of her silence. Parallel Universes, she whispers, or
String Theory, Uncertainty Theory or Newton's Laws of Motion.
Some poets, painters, and dancers and drummers look up
from what they've been doing to tune in. Tell me about it,
they sometimes think, but, knowing, don't say a thing.
To know or not to know - this is the kiss, the lick to cherish
and woodshed for the moment light shines on all we know.
[ Written by Al Young ]
সব সময় বাসনের শব্দ,ভ্যানের শব্দ,এরোপ্লেনের শব্দ-----এক শব্দের ভাসানের থেকে আর একটা শব্দের উৎপত্তি । আবার কখনো আমরা দেখেছি যে অনেকগুল শব্দের মিলেও একটা দারুন অনুভুতির সৃষ্টি হয় । এইবার চলুন আমরা শেয়ালদার স্টেশানের দিকে, যাই । এখন আমার ঘড়িতে ১৯।৩০ বাজে । শেয়ালদা মেনের মুখে লেবুঅলারা বসেছে । ঠিক তাদের উল্টোদিকে ব্রীজ । যার তিন হাতের একদিকে মৌলালী,আর বাকিদুইদিকের একদিকে কলেজস্ট্রীট ও রাজাবাজার । ব্রীজের নিচে ও আপনি একটা আলাদা কলকাতা পাবেন । আসলে বাজারের ভিতরের ও একটা গন্ধ আসে ।এই গন্ধ নিয়ে জেরক্সের দোকান,মিষ্টির দোকান,রিচার্জ শপ---দোকানের মিনিবুক হয়ে আছে ।কোনো একটা দোকানের রেডিও থেকে রবিবাবুর গান বাজছে ।আপনি আর একটু এগোলে সিঙ্গারা ভাজার গন্ধ পাবেন । এই গন্ধ ও গন্ধের মাদকীয়তাই কখনো মাছের চপ,ফেবারিটের চা,কফি হাউসের আড্ডা,প্রেসির চত্ত্বর,রাজাবাজারের মোড়,কলেজস্ট্রিট্র বইবাজার,মেসবাড়ির উত্তর কলকাতা । যেখানে শ্যামবাজার মেট্রো যাবার রাস্তা দিয়ে পুরোনো পুরোনো বাড়ি,বাড়ির রোয়াক,আমোদ প্রোমোদ,হেদোর লেক,বিডন স্ট্রীট ,গ্রামাফোন,জোরাসাঁকো—এই ভাবে প্রত্যেকটা রাস্তা,রাস্তার মোড় ফুটপাত আপনার মধ্যে নাম লিখে গেছে । যদিও আপনি ক্যাফে কফি ডে কিম্বা ব্যারিস্তা দেখতে পাবেন কিম্বা সোনির সো রুম । নোকিয়ার বিশাল বিজ্ঞাপনের নিচ দিয়ে জল জমে উঠবে । একটা এক্কা গাড়ি মাঝরাত মাঝরাত বলে ঝাড় লণ্ঠণে হয়ে যাবে । জিলিপির স্বাদের ফুর ফুরানি নিয়ে আপনি দেখবেন একটা টানা রিক্সায় কোন একজন অপরিচিতা আপনার মন নিয়ে চলে যাবে । তবে আপনি বলতেই পারেন যে, পূজোর সময় প্রচুর ঘুরেছি । প্রচুর । আসলে এই প্রচুর কথাটা আপেক্ষিক । খুবই আপেক্ষিক । আপনি চাঁদনি চকের মেট্রো স্টেশানে দাঁড়িয়ে আলো ঝোলা বাস,গিটার বাজানো একজন ছোকরা,কালো জিন্স পরা একটি মেয়ে,পানের দোকান,কম্পিঊটারের যন্ত্রাদিবিক্রির মিনিমল—এই সব পেরিয়ে দেখবেন আকাশের গায়ে ময়লা পড়েছে । কিরকম একটা কালচে লাল ছাপ । জানেন এখনো মেঘ করলে খুব ভালো লাগে । মেঘ যখন রাতের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিয়ে আসে । আলতো ঠান্ডা ঠান্ডা হাইফেনের মত দল ভারির করা হাওয়া ঠোক্কর দেয় । ডেকারস লেনের খাওয়ার দোকান গুলোর পাশ দিয়ে বার,বার পেরিয়ে অনেকগুলো মুখ পেরিয়ে দ্রুতগামি বাস আর বাস পেরিয়েই মেট্র স্টেশান—রাত সাড়ে নটা পেরিয়ে গেলেই হলো । মেট্রো আর পাওয়া যায় না । ইডেন গার্ডেন্স থেকে যেটুকু অন্ধকার যার ভাগ করে নেয় ,অথবা যে সব ক্লাবের ক্যাম্প, রেড রোড---একটা লালবাতি লাগানো গাড়ি ফুটপাতে শুয়ে থাকা একটা বাচ্ছা যাকে সারা সকাল আপনার জামা টেনে টাকা চাইবে,তার চোখে আলো ফ্যালে ময়দানের দিকে ছুটে চলে । তখন আলো বলতেই পার্কস্ট্রীট । আর তাড়া বলতে বাড়ির ফোন । টালমাটাল ছায়ার আড়ৎ থেকে থিতু হতে থাকা ভিড় সাইবার ক্যাফের দরজা বন্ধ করে । কাগজের পাতারা এ ওর গায়ে হেলান দেয় । এড়াএড়ি করে দাঁড়ানো ফুটপাতের দোকনেরা জিরোনোর জন্যে রেসকোর্স-হ্যারিরা উড়ে যায় ফ্যাতাড়ুর শহরে । নেই ট্রাম লাইনে অহেতুক একটা পাগোল হিসি করে—কি সব হাত দেখিয়ে বলে । পাগোলদের একই ইউনিফর্ম । বেশি রাত হলে ওরা রাত পাহাড়া দেয় । আমাদের হুস হুস ফুস ফুস ফ্ল্যাট,সেমিকণ্ডাক্টার মার্কা বোধ , হ্যালোজেন আলো, ক্লাবজাগা কব্জি,লম্বা প্রোপোজাল,বিশ্বাস বিশ্বাস হারানো ককটেল,হয়তো কেউ বাড়ি এলো না,কারুর বা মাঝরাত নার্সিং হোমে গেলো । এই সবের তোয়াক্কা না করে একটা মারুতি হুস করে চলে গেলো। গাড়ির জানলা থেকে মদের বোতল রাস্তায় লাফাতে লাফাতে সেকেন্ড হুগলী ব্রীজ দেখে,মনুমেন্ট দেখে,মিউজিয়াম দেখে,চিড়িয়াখানা দেখে---এই সব ভাবতে ভাবতে ৯বি বাস চলে যায় । এই চলে যাওয়া কোড়াতে কোড়াতে রাসবিহারীর মোড় এফিটাফ লেখে । অথচ জানলাটা বন্ধ ।বড় বড় টাওয়ার থেকে সিগন্যাল আর কালো কালো তারের মাথা থেকে কেবিল,টেলিফোন ইত্যাদির সুর বেজেছে ।
এই সুর বাজার রাতে আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন ব্রীজের নিচে,রাস্তার মোড়ে কিছু অচেনা মেয়ের মুখ । যাদের সামনে গাড়িরা দাঁড়াচ্ছে । আর গাড়ির কালো কাঁচ থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে আমরা দেখছি আমারা বড় চুপ করে আছি । এই চুপ করতে বয়স বাড়ছে । এই বাড়ন্ত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ানো আল আর আলের উপর ফুলের বাগান,হাজরা মোড়,রিচি রোড---হাতের ছাপ লেগে আছে ইলেকসানে । আসছে সপ্তাহের সিনেমা,আকাদেমির নাটক,রককৃত জেনারেসান এক্স—ভাদিলাল,ক্যামেলিয়ার কফি শপ,টিনেজ পত্রিকা,বরফের জল---মোম গড়িয়ে ওঠা লোড-সেডিং---প্যারেডের মিছিল,রেঁস্তরা, মিলেনিয়াম পার্ক,সোনার দোকান,ফোরাম,রাজারহাটের বড় রাস্তা,স্যাটেল কার---কাছে আর কাছে এসে কেউ উঁচু হয়ে ওঠে ।আর এইভাবে ক্রমাগত বিবর্তন,আর বিবর্তনের ভিতর আমরা হারিয়ে যাওয়া ফিরে পাওয়া ও আবিষ্কারের মধ্যের “দশ ফুট বাই দশ ফুট ”—এই অ্যাক্সানের কোনো শেষ নেই ।শধু রূপান্তর আছে ।আর এই রূপান্তরের সময়ে নিয়ে হেঁটে চলার সহর, আমার কলকাতা ।

boi

সেলসম্যান ও ৩সি/১



রঙ্গীত মিত্র


















উৎসর্গ ঃ আমার বন্ধুরা ও অগ্রজদের ।
















দড়ি দিয়ে দড়ি দিয়ে সব জোড়া হয় ;
কিছু রং তাড়া করে চলে ।
একটা ফোড়িং যেমন ফুলেদের চেনে
অনেক মুখোশ দেখে,ভয় লাফ মেরে দেখে
আসলে ,আরামের আলো,শহরে বসন্ত ছড়িয়েছে ।


রঙ্গীত মিত্র
১৯ এপ্রিল,২০১০












আড্ডা/রঙ্গীত মিত্র

আবোতাবোল বন্দুক কিনেছি ।
তাতে গুলি চালালে,বেলুন বের হয় ;
বেলুনের ভিতর ওরা হিলিয়াম গ্যাস রেখেছে
রোদের জটলা থেকে কিছু হাওয়া ফিস ফিস করতে করতে ঘুর পাক খায়
ঘুর পাক খেতে খতে পার্ক দেখি ; পার্কের পাশের চায়ের দোকানে আমাদের আড্ডা ।


















মেয়ে/রঙ্গীত মিত্র

বোতলের ভিতর জল আছে ; জলের সঙ্গে মদ মিশলে
দুটো রং দেখি
যারা আমায় ৫৩ ফুট উঁচু একটা বাড়ি ঃ
আমি একটা সেড দেখি ; বাস-স্ট্যাণ্ড বলে মনে হয়
বাঁশি মুখে নিয়ে বাঁশিওলা রাস্তা পারাপার করে
কিশোর কুমারের গান শুনতে পাই,পানের দোকানে

একটি ডার্কব্লু জামা পড়া মেয়েকে দেখে টেবিল ল্যাম্প বলে মনে হলো,সে আমার দিকে আস্তে আস্তে আসতে লাগলো ।














টাটা-সেন্টার/রঙ্গীত মিত্র


দুটো ছায়া ; ছায়ার মধ্যে আলোকে দেখি
যেমনি একটি নারীর পাশে আর একজন পুরুষকে,দেখবার ইচ্ছের অভ্যাস আমাদের ছিল এবং আছে
এইবার বিন্দাস উত্তর এলো ;
একাডেমির সামনে তোমাকে আরো দুজনের সঙ্গে দেখি
ফোন করলাম ; এই ফোন করাটাও একটা ভাবনা
এই ধরো আমাদের অনুভুতিগুলোকে সবার থেকে আলাদা করলাম
তোমাকে সব্বাই ভালো বলল ; তুমি এই মিনিট পাঁচেকের ভালোতে প্রশ্ন করলে
ও লজ্জা পেলে
একটা ট্রেন বেরিয়ে গেল ; আমি বাড়িতে তখনো ও ঢুকিনি
আমাকে কিছু বোঝাবে বলে সে মেট্রোরেলে চলে গেলো
তার হ্যাঙ্গ-ওভার নিয়ে ওভাবে ভেবো না ; টাটাসেন্টার-এর মাথার উপর জ্বলা লাল আলো উপর মেঘ জমছে ।












যন্ত্রপাতি/রঙ্গীত মিত্র

সাপের মত ;
বেড কভার থেকে এইরকম ডিজাইন দেখি ।
এইরকম অনেক মানুষ থাকে
রোদ থেকে ভাজার আওয়াজ আসে
বাতাস,বাতাসের কারুকাজ করতে করতে,কাঠের টুকরে আর তার লাগানোর যন্ত্রপাতি দেখি ।
















রুমাল/রঙ্গীত মিত্র
১।
অক্ষরগুলো তুলে নিলেই
মেঘ আওড়ায় ;
তাস ছড়িয়ে থাকে
কিছু ছাই রং আকাশে আসবে বলে
যার সবকটাই লাউ চিংড়ি আর আমের আচার
পয়সা বাজিয়ে কে যেন গান গেয়ে যায়
বুকের ভিতর খচ মচের মত দরজাটা নড়ে ।
২।
ছোট থেকে বড় এইভাবে সাজানো ;
এফ-এক্স বলতে আমি ভুলভূলিয়া বুঝি
বুক পকেটে লম্বা এস-এম-এস ;
যাকে আমি ভূ-গহ্বর বলি
একটা পায়রা,পায়ে বিকেল নিয়ে উড়ছে ।
৩।
টানা শব্দ আমায় খিদে শেখায় ;
ঝুন-ঝুনি নিয়ে রোজগার করে,।
একটা বসে আঁকো বসে আঁকো ;
এই “বসে আঁকো” আমি আগেই শুনেছি
তর্ক করে তুমি চলে যাওয়ার পর,তোমার রুমাল পড়ে থাকে ।

বিধান-সভা এবং আমাদের লোকায়াত দিন-যাপন
রঙ্গীত মিত্র

ফানেল । ফানেলের উলটো দিক রাখা আছে ।
মিশকালো মাঠ ; দূর থেকে সহর দেখা যায়
যদিও বাজারে উঁকি মারে ; দু-একটা ফ্ল্যাট পত্তর
শিস দিয়ে যায় ; মাথার চুলের রঙ ; রঙেরা এইমতো হয় ।
লাইনে চাটাই পেতে আলো বেগমের গান শোনে ।
বুনোনদী থেকে নালা টানা থাকে,নালার পাড় দিয়ে মন্দিরের রাস্তা

অনেক দোলের পর ভীনদেশী তুমি,
উলু বাজল,
নিমগাছে চাঁদ পেড়ে,
মহুয়াকে দ্যেখে,
সাহস হয়ে যেতে থাকে ।





পর্যটন/রঙ্গীত মিত্র

হেলান দেওয়া আছে ; কারুর সার্ট আমার দেওয়ালে ঝোলে
বার বার কেউ চুপ চুপ বলে ;
কবরে সামনে যেমনি দেখেছি ।
মোহরকুঞ্জের সামনেটা প্যারি-কমিনিউন হয়ে ওঠে ;
ওথেলোর কথা মনে পড়ে
“ডিভাইন কমেডি” পড়িনি ।
অনেকদিন বাদে মনে পড়ে
বড়দের কথা না শোনাটা ও ভুল হয়েছে
পাওভাজি খেতে খেতে ব্রীজ দেখি ;
গিটার নিয়ে একটি ছেলে আপন মনে গান গাইছে ; গানের কোনো রেকর্ডিং নেয়ে ; আলোদের জন্যে রাগটাকে জমিয়ে রেখেছি।








নেচার-পার্ক/রঙ্গীত মিত্র

পিলার ;অনেকগুলো পিলার ; পিলারের উপর
পানকৌড়ি দেখতে গিয়ে ভেলপুরি খেতে ইচ্ছে করে
আসলে তখন ও সিগারেট-টা মুখ থেকে ঝুলে আছে
যেরকম আঁচল টাঁচল থাকে ; সবে বয়স বেড়েছে এইরকমবোধ
চা-অলা ৫টাকার চা নিয়ে আসলো সূর্যের দিক থেকে

মোড় পেরিয়ে বাঁদিকে যেখানে বোর্ড দাঁড়িয়ে থাকে,পারিয়ানা পরগণা
রু নিয়ে আওয়াজের ঘুঙরু ক্ষেত থেকে বাড়ি হয়ে,তোমার কাছে আসছে ।










সাদা রং / রঙ্গীত মিত্র
খুঁটি দিয়ে রোদ ধরে আছে ;
একদল লোক এইরকম প্যারেড করে
একটা ভোডাফোনের দোকান বাড়ির নিচ থেকে
আরামবাগ ও মনজিনিসের পার্থক্য লিখছে ।
বাস-স্ট্যান্ডের উপর সিমেণ্টের চাঙরের নিচে
কিছু স্কুল

যাদের ঘারের দিকে আঘাতের চিহ্ন

এখানে
সৌনক জমায়েত হয়ে থাকে

আমার হাত থেকে সাদা
রং নিয়ে চলে গেল ।
লেক/রঙ্গীত মিত্র

হাওয়া উড়ছে ;
টেবিলের উপর ম্যাঘি-নুডুলস ।
কাগজের ফুটো দিয়ে আমি অনেকটা
গ্যালিলিও গ্যালিলিও লিখে রেখেছি ;

সুইমিংপুল জুড়ে রেশ্মি হাত ঘুরিয়ে
জ ল দিয়ে একটা হ্যান্ডবল খেলছে ।


লেকের ভিতর একলা হাঁটলে, মৃদু গলায় তোমার গান শুনতে পাই ।





বুমেরাং/রঙ্গীত মিত্র

কাপড়গুলো ভাঁজ করে রাখা ;
সকালের দরজাটা খুলতেই ইচ্ছে করে না ।
একটা গাছ যেমনি মাঝ শহরে বসে
কেরোসিনের গন্ধ পাই ;
কে যেন নরম করে রেখেছে ; বিছানার ওপাশে
পিঁয়াজ খুব ভালো লাগে ।
গ্রামাফোনে বাজে : “ কতবার ভেবেছিনু….”
চুপ করে আছে ।
তিস্তার ফোণ আসছে না ;
এখন শুধু শূণ্য নিয়ে খেলা ।

ঘোররোদ নিয়ে আমি ব্রীজ ব্রীজ হয়ে পিচজাঁতাকল আর সবুজক্লু নিয়ে, রাস্তায় বুমেরাং দেখছি ।



চাকা/রঙ্গীত মিত্র
চাকা ; দুটো ।মাত্র দুটো চাকার মধ্যে
[ঘুম] স্টেশান হয়ে আছে ;
আমি বেজন্মারোগ নিয়ে আসি ।
কিছু কিছু আলো জ্বেলে
পর পর
চেয়ে নিয়ে আসে ;
আসলে,অনেক সময় প্রিয়,প্রিয় জনের খবর ও
ধরা ছোঁয়া এদিকের ওদিকে
কিছু হাওয়া ধাক্কা আর আওয়াজ দিয়ে
ফেলে রেখে যায় ।





সূচনা /রঙ্গীত মিত্র

বাতাসের অনেক হাত পা থাকে ;
অবশ্য অন্ধকার হলে,হাতপাখা লাগে
সৌ্রভের সিক্সার মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি
ট্রাই-শব্দের অর্থ যে এইরকম
ডিলে ফ্যাক্টারটাই আমাকে বলে দিয়েছে

স্টিমার কবে ছাড়বে ? লাইন ইত্যাদি মন্দিরের সামনে দিয়ে শুরু হয় ।
















বোতাম /রঙ্গীত মিত্র

২টো বাজলেই কাউকে কাউকে কিছু কথা পাঠাতে হয় ;
কিছু সিগন্যাল খাম হয়ে জমে থাকে ;
তারপর আগুন দিলে জ্বলে ;
কিছু কিছু উষ্ণ বলে রং দিয়েছি
অবশ্য বোতাম টিপে দিলেই সব কিছু হয়

আমি শুধু বোতামকে ভাস্তে দেখছি জ্বলে ।















গল্প/ রঙ্গীত মিত্র

“কোনো একটি কারণের সঙ্গে নারীর যোগাযোগ”
কিছু স্বপ্ন এরকম-ই ফেলে যেতে হয়
কালো জিন্স দেখলে আমি একবার তোমার কথা ভাবি
এরপর হর্ণ নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখাটা দুবার বদলালো
সুগার এন্ড পাইসের দোকানে গোল গোল মুখোদের দেখি
আলোর হাতলে থেকে আড়ালে গাড়ি দাঁড়ায় ; না বোঝার “ল”-অনেকটা
ভয় নিয়ে টুপি উড়ে চলে ; আইস-ক্রিমের ভিতর চকলেট ইত্যাদি নিয়ে গল্পে মেতে উঠি আমরা ।














বার্লিন থেকে গ্যালাপাগ্যাস ও বানান ভুলের তিথি উৎযাপন
রঙ্গীত মিত্র
বেলেঘাটা থেকে বেলজিয়াম পর্যন্ত একটি নল স্থাপন করা হয় । নলের দু’মুখ দিয়ে বিপরীত দিকগামী ২টো গুলিকে ছুটতে বলা হলো । এইবার,গুলিগুলোর জাত,যৌনতা,শিক্ষাগত যোগ্যতা এইসব নিয়ে বিধান-সভা গলল ; বিধান সভার মতো ইইইয়া বড়ো বরফের চাঁই দেখে বিবাহিত চানক্যরা বল্লেন টাই-টানিক, যদিও বি-ধান বলিয়া রামদেব ঘটিত বস্তিপ্রসূত একটা বস্তুর বাস্তবিক ব্যবহারের অর্থনীতি আছে।এইভাবে সব কিছু পিছিয়ে বেগুন না খেতে পেয়ে আরব্য রজনীর ছোটদের চিন্তাশক্তি বিষয়ক সনাতন মার্কা বিজ্ঞাপনবিমুখ ম্যাঘিনুডুলস----এরপর চোদ্দ লাইন পরে পরীক্ষক বুঝতে পারবেন করিনা কাপুর কেন পশ্চিম বাঙলা (মধ্য) শিক্ষা পর্ষদে পড়াশুনো করেন নি ।অতঃপর বোঁ বোঁ করে মাথা ঘুরলো । এইমাথা ঘোরা নিয়ে চিরুনি,জামদানি,সাউথ সিটি লেখা পায়। আমি অবশ্য নিজের কথা বলে চিংড়িমাছ হয়ে যাই,গাছে। এই যেমনি প্রথম নিজের ছায়া আবিষ্কারক ফাহিয়েন গোত্রের কোনো বাঁদরর মতো এফিটাফ দিয়ে ধানের “কোল্ড স্টোরেজ” বানাবো । তবে আমার গোয়ালের বদ-মাই-শি নিয়ে হয়তো কোন রূপকথা লেখা হবে না । তা হবে না তো,হব্বে না । তাই আমি লিমিট সার্কেল আঁকতে থাকলাম,এরমধ্যে গোলক ধাঁধা জিজ্ঞাসা করিল “ রমনীর আগমন হইবে কি ?’ এই প্রশ্নে স্বয়ং সৌ্রলোক শিকার পূর্ব ও পরবর্তী অধ্যায়ের ১০০ আলোকবর্ষ পাতার ১২/৩ মিলি মাইক্রোসেকেন্ডের ১/১০ দেখলে বুঝতে পারবেন, ১৯-এ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে , মহান যাদবপুর নামক স্থানে,রাত্রি ৮-ঘটিকায় লেজ থেকে একটি মহিলা “পেন” দিয়ে গেলেন । তা আমি ছোট থেকে কচি । কচি থেকে পরিবেশবালক ঃ গ্রীনহাউস এফেক্ট পড়ে বলেছি আমেরিকা আমি পড়বো না/কলকাতা আমি চুমু চাই---আহা ! গানওয়ালার স্বপ্ন বিভোর সেই দেশকাল,যদি দ্বেষ আমার ও আছে,খানিকটা শূণ্যপ্রেমের মতো ।

এইবার কাটটু ঃ”গণনা” । গণনাকে দেখেলে পাহারের কথা মনে আসে । আমাদের বাড়ির দেওয়ালে কে২ আছে । কে২ আছে মানে ওই ডেক্সট্রপ আর সেক্সজবের মতো একটা পোস্টার । আমি প্রবল মোহিত হয়ে দেখি একটি অটো মেয়েকে তুলে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে কিম্বা এক হাত অনেক হাতের সঙ্গে মিলেছে,আমার হাতের লেখার মতো পাগলামো বা বিভাজন নেই অথবা রামকৃষ্ণমিশনের বিকল্প এখনো যুবভারতীতে মোহনবাগানের রিজার্ভবেঞ্চে আসেনি ; শুধু পিছনের দরজা দিয়ে গোলাজল মহানিষ্ক্রমণ থেকে ২১ তারিখ নিয়ে এসে চোতা বার করে লিপস্টিকে চার-মিনার ধরায় ,যদিও SEZ-কথিত বিশ্ববাওয়ালের বিদ্র চাকরি,চাহিদা নিয়ে পুরষ্কাড় আর ফ্যাশনের কিঊবিজম নিয়ে বেড়াল ডাকছে।যদি ও মানুষ কম পড়েছে,আর জ্ঞানের বি উড়ে গেছে মৌচাকে,পেট্রোলের ট্যাঙ্কে “পি” করে দেয়ে বায়োডিজেল আর আমার বান্ধবী ইন্ডেক্স পড়তির দিকে দেখে স্বর্গযাবার ১০০ উপায় পড়ে “রেড আই” এফেক্ট ও “গোরিলা ওয়ার” নিয়ে কেমিক্যাল ইজ্ঞইনীয়ারিং-এর ঘ্যাম ছড়াচ্ছি ন্যাপকিনে আর বন্ধুদের মগজাস্ত্র দিয়ে ক্লোজাপ হয়ে ওঠে,্যডীও বে-নজির ভুট্টো খেতে থেতে,এইসব অন্ধকার আস্তাবলে আর হারিয়ে যাওয়ার লাগাম খুঁজতে খুঁজতে,এই বিলুপ্তের লুপ্ত হওয়া পর্যবেক্ষণ হচ্ছে সময়,এ বিষয় সংজ্ঞা উৎপাদন আমার কর্ম নয়,অত-এব আমরা একটা রম্য রচনা লিখবো ;
মোনালিসা কোথা থেকে এসে বলে গেলো, রচনা দত্ত ও গদ্য রায় আজ বিবাহ ।সেই নিয়ে আবার আমাদের সামাজিক গতিরেখা পথচিত্র দেখে ।

ভিতর
রঙ্গীত মিত্র

শুকনো জলবায়ু ;জলবায়ুর বাল্ব
শতরূপা,নিজের কোনা বেছে,স্মোক করছে
গ্রিল ধরে থাকা দেখে বাউল বাউল লাগছে
দেশের দূরত্ব কত---এক কাপ চা
শেষের হেডলাইন লেগে কালো হয়নি আকাশ
কিছুটা বুকে লেগে উতরে উতরে দ্রুত
প্ল্যাস্টিক হয়ে গেলে ফ্যানা জমে থেকে
নুন,হলুদ,এসির শব্দ,চুরুট
গিটারের তারজমে ; গুচ্ছ ফুলের স্বাদ
আমি লেগে ; কাঠ পিঁপড়েরা মুখে করেছে পৃথিবী

বাইরেটাকে বড় ধরতে ধরতে,খোকাকে ভুলে চলে গেছে,ভিতর ।








ট্র্যাফিক পুলিশ/রঙ্গীত মিত্র

সিগারেটের আলো টর্চের কাজ করে
কাল মধ্যরাত জেগে ছিল লেপের ভিতর
যদিও বিলেত থেকে সান্তাক্লসরাও বাড়ি ফেরেনি।
রাত ১০.৩০-এ ও ওষুধের দোকানে লোকজন আছে ;
ক্লাস সেভেনের সুমিত তার নোটসের খাতা জেরক্স করছে
আরো দীর্ঘ কিছু বাজারের জন্যে কেউ কেউ গাড়ির জন্যে বাসস্টপে
রাজারহার্ট নিউটাউনের বাস থেকে
সৌমির,এইসবে,বাসাতে ফেরা । অফিস থেকে বাড়ি ফেরা অবধি অনিকেতের ফোন আসেনি
দেওয়ালের যিশুর ছবির নিচে
বাজার রাখা
মেয়েদের নেশা করতে নেই বলে ,
কিছু লোকানো আছে
এরকম অনেক কিছু দেখতে দেখতে কারণটা জানা খুব দরকার

ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে,রুবির মোড় ।





সহর
রঙ্গীত মিত্র

আমি ঢূকেই দেখলাম
আগাছা জন্মেছে ;
এদিকের চোখতোলা স্নায়ু ঃ
সংসার থেকে চেনা মুখ হাত ধরে
অচেনা স্রোতের ।

উপত্যকা
রঙ্গীত মিত্র
জ্বালা শুধু আমার নয়,শরীরে স্নান করে
কোনো রং নরম লাগে
মোরেমের মতো শাড়িতে তুমি
সবাইতো সেজে আসে;আমার মতো হয়
আমাকে কিছু অভয় দিয়েছিলে বলে


উপত্যকা খুঁজি আমি ।



অবিশ্বাস ও তার কারণ
রঙ্গীত মিত্র

আদরে আবদার লেগে আছে শরীরে ;
কখনো শুষ্ক লাগলে
বৃষ্টির ছবি দেখি
এপ্রসঙ্গে আমি জানাই যে
আমার কম্পিউটারে তুমি উঠে আসো
নেশায় তোমায় আরো আমার লাগে
বেআব্রু হয়ে যায় ছায়ার তুমি
বাকি সব অবিশ্বাসের জন্মের কারণ ।








অপেক্ষা
রঙ্গীত মিত্র


সমস্ত “ভি” আকৃতির অর্থ
আমাদের জন্যে বসে আছে
দারুণ দরদ হয়ে বিকেলে তুমি
তোমার স্কার্ট
জিন্সের আড়াল
এখানে বেকহ্যাম খেলে গিয়েছিল
এর থেকে আমার বেশি মনে নেই
অনেক দিন ধরে তোমায় লুকিয়ে দেখেছি আমি
সেই সব ঢিল মারার কথার ফিরে আসার জন্যে


অপেক্ষা করছি ।






উৎস
রঙ্গীত মিত্র

আবহাওয়া আভাস দিয়েছে
কার্বন ঘনত্ব কমানোর কথা শুনতে পাই মৃত গাছপালার কাছ থেকে
আজকাল সব কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেখে
ন্যাচারালিস্ট হতে ইচ্ছে করে
কিম্বা
সব ডেফিনিশান বদলে দিয়ে,উৎস নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা দরকার।














ফুটপাথের গা দিয়ে একটা হলুদ রং বসে আছে ;
রঙ্গীত মিত্র
এইরকম গতির আলো দুদিকে প্রবাহমান ;
বুকের মধ্যের ঘুম নিয়ে টেবিলে গান বাজচ্ছে
এখন কলকাতা এইটুকুই
এরপর
আর
কেউ
যাবে
না ;

একটা মেয়ে তার বাইক-অলা বন্ধুর কোমড় জরিয়ে দেখছে নার্গিসেরা কালো কাঁচতুলেছে ; কাঠখোট্টা আওয়াজ লাল নেই
জরিফ অথবা ময়না তদন্ত শেষ যেম্নি হয়নি,ল্যক-মে লিক লিক করছে ; ক্রয়দানা নিয়ে একটি বেকার,নিজেকে বোঝাতে বোঝাতে অদৃশ্য হয়ে
গ্যেলো ।



স্কুলছুটির দিন কাল
রঙ্গীত মিত্র
তারে সময় সাজানো আছে ;
বৃষ্টির জলের মতো পড়ে ।
বৃষ্টির গা বেয়ে মেঘেদের ছায়া নিয়ে কুকুর হেঁটে যায় ;

স্কুলছুটির আওয়াজগুলো আকাশ দেখানো-অলার পিছন পিছন

রেললাইনের সঙ্গের ছবি হারিয়ে ফ্যেলে,বাটির দিকে তাকিয়ে থাকে ।
চোখ
রঙ্গীত মিত্র
কাগজের ঠোঙা উড়ছে ;
লেটার বক্সে ৩দিন নেই আলো
কয়েকটা গুবরে পোকা মরুভুমি ভেবে
পোকাদের সঙ্গে তর্ক করছে

রোদ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর,চোখের ভিতর বেল্ট খেলা করে।

12ন ং
রঙ্গীত মিত্র

স্লেজ গাড়ি নিয়ে কুকুরেরা চাঁদে চলে গেছে ;
পাঁচ টাকার কয়েন নিয়ে এক্কা দোক্কা খেলছে
শীতকাল ।
শেষ ট্রাম চলে যাবার পর, দ-ই-এর গন্ধ এসেছে চাদরে
আমরা ব্ল্যাক বর্ডির ভিতর থাকলেও, হোলি খেলছে অতিবেগুনি রশ্মিরা ।

টুকুন ও তার টিউটার
রঙ্গীত মিত্র
অনেকগুলো বাঁশ জমা হচ্ছে ট্রাকে ;
চায়ের কেটলি থেকে রাত সরেনি ।
এই দিক থেকে উঠলে মাঠ পাওয়া যাবে
গাছেদের যাতায়াতে মানুষেরা মাথা দেখা যায়
গোলগাল চোখে বরফের গ্লুকোজ জমে
গ্লুকোজের গ্লাস ভেঙে দেবো বলে
বিকেলের পকেট স্মার্ট হয়ে যায় ; টুকুনের টিউটার আসে ।

র্যা ম্প /রঙ্গীত মিত্র
অনেকগুলো পকেট হয়ে গেছে ;
একা রাস্তা হয়ে গ্যেলে পানের দোকান হয়ে যায় ;
ইয়া বড়ো একটা ডাস্টবিন দেখে বায়োলজি পড়াতে ইচ্ছে করে
বাসের জানলা থেকে মোনালিসার টিকিট নেওয়া কন্ডাক্টারকে দেখে
সুজোগ নেওয়া বলে
কারণ স্টাফ সিলেকসান কমিটিতে আমার নাম নেই
নেমপ্লেট মন্দিরে লেখা আছে ;
গাছের তলা থেকে মৌলালি হয়ে যায়
আসলে সবাই খুব স্যাডো প্র্যাকটিস করার সময় দেওয়াল দেখে
আর আমাকে দেখে কুকুরেরা রেগে যায়
ওদের নালিশেরা ফেলে দিয়ে যাওয়া ব্যাগের কাপড়
যদিও সব কিছু হয়ে যাওয়ার পর সহজ লাগে
চায়ের পাতা জমে থাকে ।
বাজার শেষ হবার পর ঘুঁটি সাজিয়ে দেখি এরোপ্লেন উড়ে যাচ্ছে
ওকে কেউ লাইনে দাঁড়াতে বলে,কিনে দাওনার আবদার করে না
একটা আবর্তন থেকে কয়েক রত্ন দূরে “র” হয়ে পাথর দেখছে
এখনো ফাস্ট সেকেন্ড হওয়াটা জয়েন্ট এন্ট্রাস হয়ে গ্যেছ,
মেঘ সিনেমা হলের সাথে পপকর্ণ না হলে,বিয়ারহীন
ওষুধের পাকামিগুলো হোডিং হয়ে স্মার্ট হয়েছে
ডি-এন-এরা ছেলে মেয়েদের তুলনায় তাদের মাবাবাকে
ফরেন এক্সচেঞ্জ,নাইটলাইফ,পেজ-থ্রির র্যােম্প বানিয়ে দিচ্ছে ।
রূপকথা ও বিকেল বেলা /রঙ্গীত মিত্র

ঘোঁড়া ; দুপায়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি ঘোঁড়া
পিছন ঘুরে তাকালো ।ওর টাক মাথা থেকে কিছুটা
নির্জন মোড়
যাতে কলেজ চলে
আমার সামনে দিয়ে একজন লোক চলে গেলেন
কিছু কিছু অদৃশ্য মানুষ
সিনেমার নাম নিয়ে
বড়ি বানায় ।
আমাদের ছাদে এরকম শুকতে দেওয়া
আচারের সংখ্যা
৩৯ ডিগ্রী তাপামাত্রা নিয়ে
থারমোমিটার ও বিকেলের অপেক্ষা নিয়ে বঞ্চে বসে
আছে ।








দৃশায়ণ ও উৎপাদক / রঙ্গীত মিত্র
আমার কানের উপর দিয়ে
শীতকাল বয়ে যায় ;
ইথিওপিয়ায় এমন দ্যাখা যেতো বলে আক্ষেপ করতে দেখেছি ;
আমাদের ঘরে ঢুকে পড়লেও তাই তাড়া করি
যদিও আমি একটা চারচৌকো বাক্সের ভিতরে আসি
আমার এক-বাক্স-জীবন
যা কি না বালতির শব্দের থেকেও মধুর

আমি সব সময় পায়ের শব্দ শুনতে শুনতে লিস্ট করি
কি করতে হবে
এবং শেষে
প্রভাব খোঁজা
এই নিয়ে দ্রুত কিম্বা বিলম্বিত হয়ে আছি
আর কাক্-তাড়ূয়ারা অ্যাণ্টেনা চেপে পগার পার করছে,১২টি মাস ও ইত্যাদি ।










গাছ রঙ্গীত মিত্র ম্যানিপ্ল্যান্টের স্বপ্ন দেখতো যে ছেলেটি আজ সে গাছ হয়ে গেছে ;
আকাশে বাজির ফুটপাথ দেখি আমাদের সেই মৃত বেড়ালের মুখ দেখতে পাই যদিও আমাদের মুহুর্তরা ভীড়ে মিশে গেছে স্টেশানে ;
ট্রেন ছাড়ার পর দরজায় ঝুলতে ঝুলতে আমার
সিঁড়ি, নেশার মতো ছবি হয়ে আসে
এখন মাল্টিপ্লেক্স চাঁদনি চক,ইউরোপ উঠে আসা শরীরে
শোয়েবের গাছ হতে ইচ্ছে করে আমার ।




সকাল ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

ধরা যাক আলোর স্কোয়ার
আসাম থেকে আসা তোমার চিঠি ;
আমার নিজেকে আবার হারিয়ে ফ্যালার ভয়
মুখ থেকে উঠে আসা তুমি দীর্ঘ বিপদ,
অন্ধকার সমানুপাতিক সময় ।
নদীরা চামচিকের মত ঝুলছে
এখানে চামচিকেরা নদী হতে পারে না ঃ
কারণ বাজারের বিকট ঘুম
চামচের চিরুণির ধ্রুব ;
আমি নাকি সময় কাটাচ্ছি
সারাদিন আমি খালি বকাবকি বজায় রেখেছি ।








ইনার আই ঃ নিউমার্কেট থেকে যাদের লেখা ফলকে নেই /রঙ্গীত মিত্র

নদীর নাব্যতা নিয়ে জাহাজেরা তিমি হয়ে আসে
বয়ার পাশে নদীর ফিসফিস শোনা যায়
হাওড়াব্রীজ ডুবছে বলে বোকার মতো

বাবা-মা’র অবসর খোঁজ
তবে একটু বয়স হলে
সব কিছু পারা যায় না
হয়ে গেলেও,দূরে চলে যায় না
হাওয়ার ধাক্কায় স্রোতেরা কথা বলে
কাঠের জিনিজ সব অ্যালুমিনিয়াম হয়
কাগজের দোকান থেকে বিগবাজার অবধি সেইসব লাইন
সাদা থান,মিলেনিয়াম পার্ক,মোনোরেল,বার-কাম-রেঁস্তরা ইত্যাদি দেখে যায় ।







আউট পুট : অন্য শহর

আমাকে ৫দিন ৫ সেকেন্ড ঘুম দিয়ে যে চাল পেটের সন্তান ডেকে আনে
এই সব স্বপ্ন দেখবে বলে পয়েজন খেকো চিল মদ ভেবে খেয়ে নিল ঝাঁক
আমাকে গোলাবারুদ ভেবে ভাবি আমি একবার আকার আনবো বলে
বুঝিনি কি আচার লেগে আছে কামানের গায়ে ;
কোশ্চেনে লেখা হয়ে যাওয়া মেঘলার পদাবলী নাকি পাঁচালি তাই না জেনে আমি রাস্তার মাশরুম
চিৎকার করে যাই ;প্লেন আরো নিচে নেমে ওড়ে ;আমাদের বাড়িটাকে হোয়াইটহাইজ কিম্বা ফ্রন্টপেজ বানাবে বলে,চড়ুই-টা নিয়ম করে ব্লুজ শিখেছে ;আমি সেই আলপথ দেখিনি বলে
গ্রীনহাইজ এফেক্ট লিখি আমাদের মাথায়,এইশুনি জল পাওয়া গেছে,আমাদের স্বপ্নের আউটপুটে।

রঙ্গীত মিত্র












রোব্বার
রঙ্গীত মিত্র

এর পর আবেগ বুঝিনি ;
ঠায় সেই দাঁড়ানোর বাস-স্টপ
একটা হিজিবিজি চলে গ্যেছে বলে
আমার প্রতিচ্ছবি দেখি সাহসী আমাকে
এমন প্রশ্নের পর সীতাকে বুঝেছি আমি,আমাদের মায়েদের চোখ থেকে
যদিও আলাদা বলে যারা লাইন হয়ে যায়
হোয়াইট মিশ্চুপের গিমিক লেগেছে ভেবে
আমাদের অস্বীকার হয়ে যাওয়া বিগতদিনচিত্র

অসম্ভব উৎসব রোপন করেছি সম্পর্কে আগুয়ান দেওয়াল ভাঙে রোদেরসই
বুনোট আবেগ হয় ; অযথা ঝামেলা ; পাথরের শব্দ হ্য হেরে যাওয়া
ডূমূর কিম্বা ঝুমকোলতা ; আমাকেও সজীব হয়ে দেখানোর জারণ,নোটবূক লেখে অজন্তা-ইলোরা কিম্বা রোব্বারের জিলিপি খাওয়া ।













বেন্টিং স্ট্রিট


রঙ্গীত মিত্র

সব ঘুম হয়ে যায় ;
ঝিমন্ত ধ্রবতারা--সেলাই করেছি, আকাশে

বৃষ্টি ভেজার
উত্তর পাইনা

ক্রমশ হাঁটছি,বেন্টিং স্ট্রিট ধরে ।


আবহাওয়া
রঙ্গীত মিত্র

প্রভাবিত এই সকালে
বিরক্ত করে ;
মিস্টির দোকান
স্কার্ট ওড়া মেয়ে

আমাদের মহিলামোহল (গোপনীয় থাক )
রাজনীত,বেপরোয়া আবহাওয়া পরিবর্তন, তুমি মাকে বোঝা ও ।




আমার বান্ধবীদেরকে
রঙ্গীত মিত্র

আমাকে আড়াল করেছে মেঘ ;
তোমার সঙ্গে যৌনতা দেখছি ।
এখনো এই হৃত বসন্তের দেশে
পিয়াসি রঙা স্কার্ফ দেখেছি ;

আমার জন্যে নয়

তোমার,তোমাদের জন্য খুব চিন্তিত আমি।











সংবাদ ঃ গভীর চলাচল ও সভ্যতা বিষয়ক তর্ক

রঙ্গীত মিত্র



১।

নীল আমার প্রিয় গায়ক

আরণ্যক আমার চোখ হয়ে

ট্রেন আমার ক্লান্তির ফিনিক্স ;

গ্লিসারিন সাবানের আমার পৃথিবী

তুমিতো বলবে আমি আর লিখতে পারি না ।

২।

মাথার ভিতর দিয়ে বাস চলে যায়

এক্তাকাপুরের সিনেমা;

সহন ক্রয় করেছি এমন



হাইতুলে আছে আমার ইয়াদ

পেহেলা মুলাকাৎ ।



৩।

আমাদের দশ হাত বাজি

পকেত ফাটার শব্দ

বিশ্বাস ঘাতক আমার পরিবার

কালো আর লাল স্নানের

ঢপ মেরে ঘুমচ্ছে দ্যাখো ।

৪।

আমার জাহাজের দূর আবহাওয়া বন্দর

আমার জন্মদিনে উদ্বাস্তু উপহার

আনন্দ কেন? আমার শেষ যমুনা দর্শন

এভাবে শুকিয়ে যায় এমন তুমি হে ; তোমার কাছে

খেলে যায় মহাকাশ ।



৫।

অনেক লোকে মধ্যে তোমায় পৃথকরা যায়

আমার অনৈতিক আর-ডি-এক্স ;

পড়ায় মন বি.এস.সি হয়ে আছে



কি আছে তোমার মন্দির বানানোর



আঙুরে রস তোমার স্তন থেকে পাই ।



৬।

অ্যাতটা ভাববে বলে শরীর ঝুলে ওঠে

আগাম ইলেকসানের ভাত



হামাগুড়ি দেওয়া

জল

আম্রমুকুল



৭।

অশ্লীল কিছু বাল্ব ;

বিপ্লবি অঙ্গিকার

ক্লিক করে যায় ক্রেডিট কার্ড

তাছাড়া বাজার হাট,রান্না,কান্নার ডোভার লেন

স্কার্ট পড়া মধ্য তিরিশ,নেশার পুরুষ,বাড়িওয়ালা,বসের রুম নম্বর-১২ ।



৮।

জন রাইট

রাইসের দাম

মানুষের মর্গ



প্যাশান পড়লেই

সমাধান বিক্রি আছে ।

৯।

নবম আমি পুড়ছি

আমার যৌন সৎ হওয়া

মিশর হয়ে যাবে,আলোড়নেরা

তাকান আরো ৩৭৭

ডাস্টবীনদের কথা লেখা থাকবে সংবিধানে ।





১০।

ভয় লাই গো বাবু

আমাদিগের জয় হব্যেক ;



পালাবার কুন পথ

দ্যাখছি না



উঠান পানে খিদে এসে বসেছে ।



১১।

ওষুধ নেই ;

ডাক্তার নেই ;

নোরা জোনস নেই

কাল ইসরোর খবর শুনে বুঝলাম দেশ ভদকার মত এগিয়েছে

ঝালর লাগানো সভ্যতা এতদিন বাদেও তোমাদের আমার বেয়াব্রু লাগে ।














ছায়া/রঙ্গীত মিত্র

আমার এই বাড়ি আমারই একার সম্পদ ;
সাড়ে দশ-টার ট্রেনে তোমায় দেখি রাই সুন্দরী ;
"বালা নাচো তো দেখি "
যেটুকু তুমি হয়ে আছো
ছায়াগুলো সেখানে
শুকনো হয়ে
পড়ে আছে ।

পিয়াসি/রঙ্গীত মিত্র

হলুদ রঙা টপ পড়েছিলে ;
চিল্কা হ্রদ আঁকবো আজ বলে

তোমার কালো জিনস

আমার
একলা উত্তেজনা

পানের দোকান ছাড়িয়ে পিয়াসিময় সাধ
সব সময় তোকে অন্য-রকম লাগে ।




কফ/রঙ্গীত মিত্র

আমার সামনের দিকে খবর
আত্মাকে খুঁজে পেতে গিয়ে
ভজন শুনছে চোখ " আহা মরি কি বাহার "
আমার প্য্যান্টে দাগ লেগেছে
তোর নাম

গলায় কফ লেগে,শিরা লেগে আছে সব ।


সকাল ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত

রঙ্গীত মিত্র


ধরা যাক আলোর স্কোয়ার

আসাম থেকে আসা তোমার চিঠি ;

আমার নিজেকে আবার হারিয়ে ফ্যালার ভয়

মুখ থেকে উঠে আসা তুমি দীর্ঘ বিপদ,

অন্ধকার সমানুপাতিক সময় ।

নদীরা চামচিকের মত ঝুলছে

এখানে চামচিকেরা নদী হতে পারে না ঃ

কারণ বাজারের বিকট ঘুম

চামচের চিরুণির ধ্রুব ;

আমি নাকি সময় কাটাচ্ছি
সারাদিন আমি খালি বকাবকি বজায় রেখেছি ।

পাখিদের ঘর বাড়ি
রঙ্গীত মিত্র

আমাদের গড়পরতা ঘুম নেই ;
কোন এক ফেরিঅলা নিয়ে চলে গেছে ।
এভাবেই পেণ্ডুলাম চলে ;
বরং অনিয়মিত নিয়ম কানন ।
নিরাময় হবে বলে, চাল থেকে রোদ ঝরে পড়ে
নদীর শব্দ শুনতে পাই ;
আমার বাড়ি ফেরার ডাকের মত
পাখিদের ও ফিরে আসার ঘর জেগে থাকে ।


রাজসভা
রঙ্গীত মিত্র

প্রজাপতিরাও আমাদের আড্ডায় আসে ;
আমি অবাক হয়ে ভাবি এত আওয়াজ কেন চারিদিক !
ডক হয়ে যাওয়া রাত ৯টাকে জমিয়ে রেখেছি ;
একটা অচেনা গলায় আমাকে হুমকি দিয়েছে বলে আমার খাতাগুলো,
কি অদ্ভুত সেনানীরা অবহেলা হয়ে বড় কীটনাশকের অভিযোগ নিয়ে
পাতাখোর বাঁশিঅলা, সেন্টিমিটারে মিলিয়ে যাচ্ছে বুঝি
এরকম এক একটা সুযোগ মুখ হয়ে যাও,বক্তিতায় মাইকে শুনি
বাড়িতে অবসর হয়ে ফুটবল খেলে যায়,আমরাও একলা হয়ে যাই
দিল্লি চলোর পথে গুপ্তস্রোত আসে,উঠে যায় সব

আমিও স্বাচ্ছন্দে থেকে,কিছুটা আচ্ছন্ন থেকে প্রজাপতি দেখি

গহ্বরে রস জমা হয়,
রাজসভা থেকে বেড়িয়ে আলোদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি
আমি ।



ঋ-কারান্ত
রঙ্গীত মিত্র

আমার আকাশ ব্ল্যাকডোমেনের ডোম।
এসব না কি ভ্রমের মতো লেখা
গুজরাট হয়ে যায় আমার ধুলো;
এলো চুলের ধানের নব্যদান
চোখ-খুলে তুই দ্যাখ

সব ঋ-কার হয়ে যায়।

ঋ-কার দেখি
ঋ-কারে সন্দেহ
ঋ-কারে আমার ভয়।

ঋ এর ভিতর ঋ
মন্সুন এসেছে আমার ময়রা পাড়ায়।




মেটামর্ফোসিস ঃ ক্রিয়া ও বিক্রিয়ার নির্ভীক নিয়ম ভাঙার রাজনীতি থেকে

রঙ্গীত মিত্র

১।

মহুয়ার মুখ থেকে সিগারেট উড়ে যায়

সৌমিলির মুখে

এরপর কাউন্টার নেবো না

তোমাকে অনেকবার চুমু খেতে ইচ্ছে হয়

বিশ্বাস করো

যদিও তোমার অন্য চাহুনি



একলা

দাঁড়িয়ে আছি অনেক বছর ।

২।

সমস্ত মহিলাদেরকে অপূর্ব সৃষ্টি বলে মানি ;

তুলিমুখ লেপেছি শরীরে

আমার আকর্ষণকে

স্নেহ করে

আমার সম্বন্ধের কারণ ।

৩।

ভাবনাহীন ;

প্রায় পরিদের দেখি

রিয়ার্সাল চলে,খিস্তি খাই

আমার যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত

ডেটাস্ট্রাকচার গড়বে,তোমরা সকলে ।

৪।

মৃত্যুজ সময় ;

জন্মকাল ;

নগ্ন হয়ে থাকি না কেন আমরা ।

তোকে সব বলতে গিয়ে ও ঘাবড়াই

জিনস,স্কার্টে,তোকে দারুন মানায় ।

৫।

সেক্স স্টোরি পড়ি ;

আরো আমার মতো ছেলেরা যা যা করে

তোকে নেশা করতে দেখলে,ভালো লাগে

কি করে গ্রহণ যোগ্য হব,তোকে

কিভাবে বোঝাই !



৬।

তোকে দেখেছি অনেক ;

প্রতিদিন নতুন লাগে

তবু এক সঙ্গে অনেক

সহজীবন,সব ভাষায় আছে

একবার তুমি,নিজের ক্থা বলো ।

৭।

প্রলোভন ;

সময়ের থেকে এগিয়ে অনেক

সবার বিরক্ত আমরা

এইভাবে নতুন গ্রহ বানাবার ডাক আসে

আমারা তামাম নিয়ম বদ্-লে ফেলবো,ঔরস !


ফ্যাশান প্যারেড
রঙ্গীত মিত্র

গামছায় আলো লেগেছে ;

আলোর ভিতরে যত্রতত্র হাত দেওয়া হলে
অন্য কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়

যদিও মহাকাল আগে মহাকাল শব্দের সাহস ছিলো না

এখন ঘামছাও ফ্যাশান প্যারেডে যায় ।

চাহিদা
রঙ্গীত মিত্র


মজার মুখ ও মুখোশ আছে
যদিও ফন্টে ও নন্টে ফোন্টের সম্বন্ধে
পাদানি
আমাকে কোতোয়ালি দাও

ই০মেল আইডি দাও,আভা ।

ডিক্সানারী
রঙ্গীত মিত্র

বেজন্মা পাখিদের নাম জানি না ;
সারাদিন রেল-লাইন শুনি আর ভাতের শব্দ
আমার আগের জলে ভিজোনো
আমার পেট ভরে ওঠে
ভালোশব্দ আমি ডিক্সনারিজুড়ে মানে লিখেছি ।










আমি,আমার শহর এবং জানলা
রঙ্গীত মিত্র

জানলার নাম দিয়েছি ইনাম হুসেন মল্লিক । জানলা বলতে আমি ভাবনাকে বুঝি ।জানেন এই জানলাই আমার বেঁচে থাকা । যখন খুব আওয়াজ নেমে আসে,সকালের মত একটা হলুদ পাখি এক্তাকাপুর না সেজে ভিক্টোরিয়ান লিটারেচার পড়ে আমার পাশের বাড়ির রিমলি—-আহাঃ ভাইব্রেশান মোডে আছে আমার চিরকাল; কে যেন ভোর ডেকে নিয়ে যায় ; ভোরকে ভোর ডাকে । কাল সুমি ফোন করেছিল । ১২ তারিখ ওর বিয়ে । আর দেখুনতো আমার কম্পিউটারে বাউল ডুকেচে ।আমার মার এই চিন্তা যে আমি এখনও এই সময়কে আমি বুঝলাম না ।আমি হয়তো অবুঝ,কিছ-ই বুঝি না---ন্যাকা ! আমাকে আড়ি বলে প্রেম চলে যায়---গুপ্ত ঘাতকের হাত আমার বন্ধু হয়ে ওঠে,আমি ভুল বুঝি ,ভুলের পর ভূল ।আমি আমাকেই জানি না,কলকাতা কি লিখব? ফেসবুক খুলে দেখি আসরাফ,মকবুল,ইমতিয়াজ লিখছে তাদের পাড়ার কথা । আর আমি ফালতু হয়ে চলি,রোজভাবি আর করব না,তবু নেট-লগিং করি;আমার হাতে আমার বন্ধুর স্তনের ছাপ ।আমার ঢাকা যেতে ইচ্ছে করে ।ইস্টবেঙ্গল আমার প্রিয় দল ।রবিবাবু,চন্দ্রবিন্দু,জেমস,অর্নব শোনা হয়ে রামধনু মারছে হার্বাট । আমাকে বিরক্ত ক্রয় করে ;অসম্ভব লাগে ।এই যেমন কাল রাতে তোমার আগুনে আমি নিজের মৃতদেহ দেখলাম । ভয় হলো । আজ সকালে কাগজে পড়লাম ১০টা লাশ পড়েছে ।বিশ্বাস করুণ আমি না ভরসা রাখতে পারছি না ।এখন মহাপুরুষ = সেলিব্রিটি ।

আমার ফ্ল্যাট চাই ।আঁতেল বান্ধবি চাই ।দেওয়াল লিখছি স্লোগানে ।এইরকম এক কয়লা খনি আমার ক্লাউন-জীবন ।আমাকে নাকি গিটার দেবে ।কি একটা বিগবস হয়ে গেল ।ফেটে যাচ্ছে সূর্যের বর্ণমালা । আয়না থেকে ও স্বপ্ন রাস্তায় । আমার লজ্জা করে-কেউ যদি মালের দাম,কেউ যদি সত্যি কথা বলে । আসলে আমরা আশ্রয়ের ভন্ডামিতে বিকল হয়ে আছি ।আর আমি একগাদা পাগোলের প্রলাপ লিখে বলছি,নদী দ্যাখো ।

পরশু বাড়ি থেকে সকাল ৬টাতে বেড়িয়েছিলাম।শ্যাওড়াফুলি যাব । একটা ৫-নম্বরের বাস ধরলাম ।স্বপ্ন দেখলাম সুমি আসবে ।আমি ওর বাড়ি যাব ।ওর বাড়িতে সত্যনারায়ণের পূজো । জানেন সেদিন ফোনে বাবুঘাট দেখলাম ।গঙ্গার জলে স্নান দেখলাম । অনেক মানুষকে একসঙ্গে দেখলে খুব ভালোলাগে ।বিশেষ করে যখন অভিযোগ জমা হয় আমার বারান্দায়,তখন আরো ভালোলাগে ।ফোন কি বলছিল,আমি শুনিনি ।

হাওড়া-স্টেশান ঃ
বাস এসে দাঁড়ায় । আবার সুমির ফোন । সুমি আসচে না।অথচ আমার যে ট্রেনের টিকিট কাটা ।দুর আনকোরা সব ! আসলে জানেন তো আমার সব কিছুতেই গুলিয়া যায়।হাওড়ার স্টেশান থেকে আমি দৌড়ালাম আমি ।পকেট লাফাচ্ছে ।আবার ফোন অভীর ফোন ।
“আমার সংগে যাবি “?
“তুই চলে আয় “
“কত নম্বর বাস ?”
“২১৫/১”
টাওয়ার নেই ; লাইন কেটে গেলো ।
পুলিশ বুথ,বাজারের হাত,মেয়েদের ভীড়,পাবলিক টয়লেট,সাবওয়ে,বাস-স্ট্যান্ড পেরিয়ে,আমার ২১৫/১ বাসে ওঠা,যদিও এখনো ঠিক ঠিকানা কেউ জানেনা ।পচ্ছন্দের সব কেমন ঘোলাটে থাকে । মাথার ভিতর শ্যামবাজার,সোভাবাজার,মেট্রস্টেশান এইসব ঘোরে ।বারবার জিজ্ঞাসা করি,এইবার সেন্ট্রাল মেট্রস্টেশান,এইবার আসবে আমার বাস-স্টপ।এবং নিয়ম দিয়ে সময় এলো । আমি মেট্রোর সামনে ।অভী আসছে । একজন লোক বাস থেকে নেমে আমায় মাল কোথায় পাওয়া যায় জিজ্ঞাসা করে চলে যাওয়া নিয়ে গ্রে-স্ট্রিট থেকে অভী এলো ।সামনেই নাকি সোনাগাছি ।তবে শ্যাওড়াফুলি যাব কেন?৩-নম্বর বাস গেলো,সুমির ফোন হাঁটলো আমাদের মধ্যে ।এখানে পাগলামো আমার ইউরোপিয়ান ওপেন ।আমি যাব না ।অভী খুব বলল।শেষে অভীর একটা কবিতা শুনলাম।দারুন লাগলো ।
বাড়িতে ফোন করে বলেদিলাম আমি আসছি।অভী টাটা বলে পড়াতে ছুটলো ।মেট্রো চড়ে রাসবিহারীর মোড়ে আসলাম । তারপ্-র সোজা গড়িয়াহাট ।।এইরকম রিপোটিং লিখতে আর ইচ্ছে করে না।প্ল্যাস্টিক ও এ শহরে বোঝে ওর রাজনীতি আছে ।কোনো খাওয়ার দোকান দেখছি না।রাস্তা ভুল করছি । আর ফোনে সুমির সংগে এক সাউথ-সিটি ঝগড়া করছি । আমার আর ভালো না লেগেই বেদুইনে ঢুকে ৯৫টাকা বিল করে স্পেশাল বিরিয়ানি খেলাম । আবার রিপোটিং আর ডায়লগ । আমার চোখ সরে যায় যে দিক দিয়ে লাল-টপ সিগারেট ধরায়,সবুজসার্ট লাল-টপের কোমরে হাত দিয়ে নাটকের টিকিট কেনে । আবার ইনাম হয়ে ওঠে আমার জানলা।জানলার কোনো ফিক্সড ফ্রেম নেই ।আমার শহর জানলা হয়ে গেছে আর আমি ধুলোর আড়ালে,এক-পা রোদ নিয়ে কাটাকুটি খেলছি ।

শিবমন্দির/রঙ্গীত মিত্র

দু-পায়ের ফাঁক দিয়ে শিবমন্দির দেখা
যায় ;
কেঁচোকে দেখলে মালগাড়ির কথা মনে
আসে
আমার দৃশ্যগুলির সামনে বারে বারে
মালগাড়ি চলে আসে
এই মালগাড়ি চলে আসার কারণ-টা
আমি,নিজেই জানি না ।





সারকিট থিওরি/রঙ্গীত মিত্র

মাথার ও সারকিট থিওরি আছে ।
জন্মদাগ বহুতল হয়ে ওঠে ;
আমার খাতার আংশিক আলোয়
নারীর
উল্টো পিঠ দেখে সোহাগের
অনুভূতি হয় ।
শুনেছি, অন্ধকার কোলে বসে থাকে ;
এইভাবে মানুষ হয়ে
ভিক্টোরিয়ায়
ঘড়ির বিপরীতে
যাব ঃ
পা সিনেমার পোস্টার রিলিজের কথা বলে।











অ্যালার্ম ক্লক /রঙ্গীত মিত্র

গোল গোল আঁকি বুঁকি আছে ;
চোখ থেকে শিশিরের ঘুম ভাঙে
এদিকে অ গতকাল জমে আছে
যদিও বিছানায় বৃষ্টি পড়েনি
তবু
বণ্যার কথা অ্যালার্মক্লক হয়ে গ্যেছে ।

চারলেনের টেবিল/রঙ্গীত মিত্র

আমি একটা চারলেনের টেবিলে বসে
এখানে কোন ব্যস্ততা নেই বলে
যেগুলো আগে অনুভব করা যেতো না
সেগুলো প্রক ত হয়ে ওঠে
যেমন সুইচ অফ করা ; এসির শব্দ ;
ঋষভ,জানিস
চোখ কচলিয়ে লাল হয়ে
যাবার
দেওয়াল লাগে
আকাশগুলোকে।

এইরকম আমাদের মধ্যে
৪২০ আর ২৪০-এর
বিরোধ,ছড়িয়ে আছে ।

স্বপ্ন ও আমি/রঙ্গীত মিত্র

১।
বাসের ছায়ার উপর ট্রাম হয়ে
অনেক যাতায়াতের পর
সিগন্যাল জমেছে ঃ
যেখানে অপু রেললাইন দেখতো !
২।
আমাদের বাড়ির ছাদের অ্যান্টেনা আছে ।
যখন কোকিল ছিল না
এরকম আলাপ নেই রাস্তায়
তোমায় দেখে ছিলাম ;
বেশ হরকে গিয়েছিল আমার পা ।
৩।
উল্লেখ্য সম্পর্কের ও ঘুম পাওয়া
বাদামি বাতাসের গন্ধ,মিশে যায় ;
কোথাও বালতি জেগে ওঠে
এইরকম রসায়ন বলতে বলতে
স্বপ্নের রণপায়
আমার স্বপ্ন পায় ।


রেপ্লিকা/রঙ্গীত মিত্র

রং কেনার যন্ত্র কিনেছি সারা রাত
যেমন খোলা আর খোলসের পার্থক্য থাকে ;
এই বলে , ” আমাকে কি বলতো জানিস ? ``
লেফট অ্যান্ড রাইট শুনি
ঢাকা থাকলেও পৃথিবী ও তার রেপ্লিকা দেখা যায় ।

যাকে নিয়ে আমারা এত মজা করি/রঙ্গীত মিত্র

বসে থাকায় কিম্বা ঘুমের ভিতর ও আমি দেখি আমাকে নিয়ে কেউ মজা করছে ;
একজন সদ্যমা”র হাত ধরে কিছু একজন
এই একজন
এই একার
এই আমার
এই রকঅন

আগের লাইনগুলো সব নিভে যাছে ।





সানিয়া মির্জা/রঙ্গীত মিত্র

দেখলেই,আমি দাবা খেলি ;
খেলুড়ে উল্কি আঁকি ; এখন সম্পর্কের কথা বল্লে
আমি তক্তা দেখি
যদিও বেশি লোক বোকা নয়
বিশ্বাস করুণ

সানিয়া মির্জাকে নিয়ে আমার কাসপারভ স্বপ্ন ছিল ।

ল্যাটিস/রঙ্গীত মিত্র

নেই বলে বাল্ব জ্বলে না ;
চুলের স্তুপের ভিতর দিয়ে ট্রেন যে
খুব সঠিক তা জানার ফোনের ফোন
বুঝলাম না ;
না না আমি এত খারাপ হতে পারিনা
তুমি চলে যাও অথবা অন্য কিছু বলতে পারিনা

দুজন মানুষ(দুর থেকে আমার তাই মনে হয়) নিজেদের ল্যটিস নিয়েছে নেচারপার্কে ।




চিহ্ন/রঙ্গীত মিত্র

যে কখনো গাছকে গাছ বলে নি
কিছুই সে খুঁজে পায়না ।
ভয়টাও বিভিন্ন নামে আসে,
ট্যাবলেট পড়ে আছে ;
লাফাও লাফাও তা বলে কি ভালো ডাল থাকবে না ।
আমি কি নীল রং ডাউনলোড করে যাব ?
বিদেশীগান শুনছি ।
এদিকে অনেক বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছে ;
প্রমানের জন্যে ও ওরা সময় দিতে রাজি নয়,
যেম্নি যৌনলেখা অথবা রোজ অনেকজন টুকে রাখি
যে কখনো আকাশকে হত্যা করেনি
নিজেদের মত চিনেছে মাটিকে
পিঁপড়ে দেখে আরশোলা বলেছে
হিসি করে ফেলেছে তার প্যান্টে ।
যার শুধু অভিযোগই প্রাপ্য,
চাবি হারিয়ে বসতকাল উড়ে যায়
কয়েকটি চাতাল বেঁচে থাকার মত
যেখানে বাইসন নিয়ে উপনিবেশ বানাবো ।
আরো অনেকগুল ছবি তুলে রাখবো
যেমনি পিরিয়ড মিস হয়েছে
ভাইরাস ঢুকেছে ,
আর আমি টঙে বসে তাস,খালি আর কিছু চিহ্ণ দেখি ।


ভোরের দুধের দোকান/রঙ্গীত মিত্র

শরীরের কোন কোন অঙ্গের ঘুম
সক্কাল সক্কাল ট্রেতে যেমন রোদ্দুর সাজানো
পাতা ঝরে গেলে কালো আর হলুদ রং
পিছন দিয়ে ঘুর ঘুর করি ; বড় ঘড়ি থেকে আরো একটু
নিউমার্কেট চিকেন মাঞ্চুরিয়ানের গন্ধ : একটি মেয়ে কালোরঙা জামা আর তার মাথায় সাদা স্কার্ফ

কয়লা,কেরোসিন তেল এইসব দুধের দোকানের ভোর হয়ে আছে ।

আগুনের দিক থেকে/রঙ্গীত মিত্র

কাঁধ থেকে জামা ; জামার খুব গভীরে
বেলুন ঝুলছে ;
লেগে লেগে থাকা এম্নি কফিশপ হয়ে যায়
বেগবাগানের মোড়ের থেকে দূরে জিশানের রোল খেয়ে ছিলাম
কোথায় যেন লেখা ছিল “ রক অ্যান্ড রোল”

লিটমাস পেপার লেগে থাকে ; চেচনিয়ার খবর শুনি যেখানে একটি মেয়ে যুদ্ধের বোঝা নিয়ে থাকে ।

অই যে একসঙ্গে গান গাইছে কারা, আর বিশাল ব্লটিং পেপার নিয়ে একটি পারসেলে সময় ভর্তি হচ্ছে ।


ডিজিট্যাল কিছু ও আমার অন্যান্য
রঙ্গীত মিত্র
ডিজিট্যাল
কোনো সময় নিজেকে নিয়ে ছায়া হয়ে যেতে ইচ্ছে করে । আমার ছায়ারা এমনিই হারিয়ে যায় ।বাতাসেই নাকি সব থাকে । আসলে আমি একটি জলের কল পেলাম । জলের নিচে দাঁড়িয়ে গঙ্গা গঙ্গা বল্লাম ।
শুনলাম ঝুম্পার বর মারা গেছে । খুন হয়ে গেছে । এই সময় রাজনীতি কথা মনে পড়ে । ১৩% ডাইনলোড হয়েছে ; লাগেজের অনেকটা বাকী । বাকীগুলো বাড়ি হয়েছে ; যাদের কোন উত্তর দেওয়া ভাষা ও ভালো ও এটা অনেক ভালো ; ভাঁওতা ! এই ধরুন আমি এক্স করতে চাই অথচ রবার ব্যান্ড দিয়ে কিছু দেওয়াল ঝাঁকাচ্ছি ; শুনছেন আভিয়ানো পুলা বিস্তেরাগান । আমি তিন্টে গোদ্য ; যে আছে সে না ও থাকতে পারে ; ববডিলান ববডিলান
কি হবে কি ভাবে জমিয়ে
আমার খাতার ফ্যানা ঝরছে
এখানে জেরক্স করে তুমি কি ভাবে পরীক্ষা দিলে ??
আমি দেশপ্রিয় পার্কে দাবার ছক হয়ে যায় । কিছু কিছু লিস্ট ঠিক করি
১।কাল কোর্টে যাব ;
২। চাকরির অ্যাপ্লাই করবো ।
৩।আর কোনো দিন-ই আমি বাড়ি ফিরবো না ;
রাস্তা বেঁকে গ্যেছে
এখন ১২টা বাজে । প্লিজ আমার সামনে এসো না । এরকম ভাবতে ভাবতে গঙ্গার জল দেখলাম।আমার কলেজের প্রফেসারসদের দেখলাম ; জিম-মরিসনকে দেখলাম ; ইনামের কবিতা শুনছিলাম অর্জুনদের ছাদে । কোন কবিতাটা যেন ? কোনটা ; বাড়িটা ঠিক সাততলার হবে ।একটা বাড়ি আর একটা বাড়ি দিয়ে বোঝানো সহজ ; আমি ছাদে বসে দেখছি দূরের জানলায় একটি মেয়ে ; আমার না রংটা বড় ইইয়া ইয়া হয় । আবার বলছি যেখানে হোডিং আছে সেখান থেকে শহর ইস্তেহার লিখছে ; হা হা কি বল্লেন ? আরে জোরে বলুন ;হুম ; বিষয় । এইবার আমার কথা শুনুন ঃ
“Eyes kissed by sunlight

Doors open beyond
the third horizon

You carry love in your lunar body
Your body of rainbow, silence and piano

My nails slowly turn
into white seahorses

Sounds of water water water water sound water

Earth magnets
calling the goddess
in beauty, love
and sapphire stones.


Grey nets of love.

Jewels on your
gentle, naked, electric
body

Heart of light
Heart of the pterodactyl
Heart of sunshine
Heart of death
Heart of the native ox
Heart of wild honey” [Piano for S. ] [Inam hussain mullick]



বিকেল নং


বিকেল ; পাঁচটায় যতটুকু উমু উমু হয় ; ল থেকে লিখে ফলছে একটা ঝোল ৯ দশমিক এক ; একটা বাড়ির আলসে ভাঙা ছাদের উপর চিলের লাইন ; লাইন করে তারা চড়ুইভাতিতে যাচ্ছে ; আমার ফোনে এখন ও কোন সুনন্দা আসেনি । অথচ বসে আসে । আমি আলো ধরে বসালাম ।জিম মরিসনের লেখা আমি নেট থেকে ফ্রিতে ডাইনলোড করতে পারলাম না ! ওগুলো কেবল তোমাদের হাতেই থাকে ; এই লিখতে লিখতে প্রচুর ঘাম হলো ; সব শাপের মতো দুলছে ;আলসেতে কমলা রং ; সুর্যকে রোদে শুকোতে দিয়ে কিছু সবুজ রক্ত হয়ে আমি আরো কিছু লেখা পড়লাম ; জয়েণ্ট বানালে ভালো হয় ; উফ ! একটি মেয়ে বল্ল ।
হ্যাল ;
হ্যাল ;

বাওয়াল !!







মোবাইল-সমাজ


আমার মোবাইলে ২য় এস-এম-এসটি এসে থেমে গ্যেলো ;যেম্নি জোকারদের দেখলে লোকজন করে । আল্পস দেখছি ;শুক্তোর মত সন্ধ্যে এলো ; একলিটারের দুটো কোল্ড-ড্রিং-স আর তার জুত-সই নাম । আমি বদলে ফেলেছি ? দাদা কেমন ল্যাগ্লো ? আকাশের দিকে তাকিয়ে আবার কিছু দর্শন । কিছু ভিত ফুটপাথ ; অতিপরিচ্ছন্ন মানুষ যারা ঢেউতে ঢেউতে ওড়ে আমার জন্যে তুমি কি আর ছবি আঁকবে না ।লে লে বাবু ; ছাদের উপর একটি কালো কাঁচি আর আমরা ; কেউ কেউ জানলো না ; আবার আসবে বলে অদৃশ্য হয়ে যায় ; একটু ডুব দিয়ে অনুভব করো ; আরো লাফ দিতে হবে । আজ নয় আমার যে অ্যাজমা আছে ?আসমার ইমেল পাইনি ; তুমি কোথায় থাকো বলে ছবি তুলতে পারবো না ? আমাকে আঘাত করো বলে একটা পাখি জ্যামিতি লিখে চলে গেলো ; বাঁশি বাজাচ্ছিলো স্বদেশ ; ওর লেখা শুনছিলাম।একটা দরজা খুলে রাখলেই কেমন অস্বস্তি লাগে । আমি কাল রাত ১১টাতে বাড়ি এসে দেখলাম রেঁস্তরায় লাইন তখনো কমেনি । একটা সেলোটেপ পকেট থেকে পরে । আমার মাসিক খরচ হাসিল করার যায় না । গড়িয়া হাঠ থেকে আমি হেঁটে বাড়ি ফিরি । বাড়ি ফিরে কেন কবিতা লিখি তার প্রমান ও ইত্যাদি ; আমি জানি না বাহির ও অন্তর আমার বন্ধুর হয়ে আছে ; শাবলের শব্দ শুনি ; একটা কয়লা খনি আমাকে ডেকে যায় । কোনো একটি মেয়ে স্কুটি কিনে অথবা আমার সামনে দিয়ে উড়ে যাওয়া গাড়ি,শুঁডিখানা যেখানে কাউকে আগে পাওয়া যেতো ; এম্নি জল ঢেকে উধাও ; উধাও আমি তুমি আমরা প্রত্যেকে । ছাপাখানার সামনে দিয়ে কিম্বা এক একটা ট্যানারি----অন্ধকারে আরো ভালো লাগা যায় বলে দড়ি বেঁধে যে নিজেকে কিছু বলে না ,ওরা বলেছে বাউলদের কাছে যাবে ; ওদের বাড়ি অনেক আগেই বিক্রি ; চাকরিটা পায়নি ; আসলে সব সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করলে হয়না । এরপর ফুল চন্দন—ফুল আমার পলাশ গাছ ; আমার বাঁকা কব্জির থেকে মনোরেল চলে ; কিছু কিছু বাতিঘর নিভিয়ে দেওয়া হয় ;নীলার মত কেউ কেউ আসে ; আমার দেখাকে নিয়ে বলে স্বপ্ন দেখছি । তারপর এইরকম ভাবে দাঁড়াও । হ্যাঁ ঠিক এইরকম । না হলেই,স্যার রেগে যাবে ।





কফি-হাউস ঃ


কফি হাউসে ডি-এস-এর সংগে দ্যাখা ; আমাকে বল্লেন আমি ভালো লিখি ;এইসব কলেজে বলা যায় না ; যাবে না ; যায় না কোথাও ।একজন আহতাশ লোক ;তার ঘর থেকে যন্ত্রণার ঘ্রাণ বেড়েছে যেমন খবরের কাগজে থাকে ; এর আগে আমি ২৫+৩=২৮ পাতা লিখেছি ; আসেনি হয়তো । গাছতলায় ; ঠিক ওরাই বলে দেবে । আমি আবার রবীন্দ্রসদনের সামনে দাঁড়ালাম ; তোকে বল্লাম কি রে আমাকে দাদা বলবি না ; দাদা ? দাদা ? চুলের পিছন থেকে সিগন্যাল বদলে যায় ; আন্দাজ থাকে না নুন চিনি কতটা দেবো ?আমাকে ডিপ্লোম্যাট বলে বাস চলে এলো ; পা দিয়ে জল নিয়ে খেলি ; একটা ট্যাক্সি অনেকদুর বলে আমার কাছে কেউ আসে না । আমি শুধু খাওয়ার ছড়িয়ে যাই,খেতে খেতে শেষ অবধি আমার আর দ্যাখা হয় না ; বাড়ি থেকে হুট করে ফোন আসে ; কেউ দেখে ফেলবে বলে নিষেধকে আস্তে বারণ করেছি । ড্রি্মারসের কথা কেউ বলে ।কত দিন শুয়ে আছে ; আলোদের জেব্রা অথবা জিরাফ বদলায় ; কিছু কিছু খুব ঘন হয়ে এলে রাহু কেতু এরপর পুলিশ সামলায় ; সবেতেই ডিল ও ঢিল আছে ; আবার পচ্ছন্দ আর না পচ্ছন্দ আছে । আমাকে অনেকে অনেক কিছুই বলে । আমার ইচ্ছে অনুযায়ী আমি মিশি । নিজের সম্বধে আমার একটা ধারণা আছে ; ধারণার নাম দিয়েছি স্বপ্ন ; এই তুকতাক দিয়ে ঘুম ভাঙে এগারোটার পরে । রোল পেতে ভাত খাওয়া হয় । কোন তারা নিচে এসে উপরে আসে না ; দৈবমতে এরকম হয় । সব সময় পিতাই পরম এরকম প্রোমোচলতে থাকে ; আমি ৩৭এ বাসকে ৩৭৭ পড়লাম ; মিডিয়ায় যেতে গেলে আমার সামনে একটা হায়েনা সরি ওটা আয়েলা পড়ুন ; এই দেখছি আমারা দিন-রাতে সভ্য হচ্ছি ;যদিও লুকিয়ে ফেলেছি ; আমাদের মত করে শিকল পড়ছি ; ঘাস জমির উপর দেখছি শুয়ে কত সিমেন্ট—এর পর ভুলে গেলাম ।এর পর থেকে গল্প বানাই ; জলে যেমন আমারা বৃষ্টি ভাসাই ; মার্তিজ ; মার্তিজ ;মার্তিজ ; আর একটা গ্লাস হয়ে যাক ;মাটির ভাঁড়ের থেকে জোরালো কিছু নেই ; আমার ড্রয়ারে এরকম ছড়া ছড়ি কাপ,ডিস,গ্লাস ও ব্যবহার ; এইবার হাত ঝেড়ে উঠলেন তিনি। কেন লিখি ? কি জন্যে লিখি?? কেমন লিখি---লিঙ্ক ফেলিওর হচ্ছে ; আমি পাপেট সম্বন্ধীয় কবিতা পড়লাম ; একটা নয় প্রচুর ; হা হা ব্লগ পাত্তাচ্ছি ; কি রকম করে যেন একটা সম্পর্ক হয়ে গ্যেলো ।এখন আবার ঋতুগুলোকে আলাদা করা যায় না । অনেক সময় ধরে বিশেষ কারুক উত্তর না এলে মহাজাগতিক কিছু ডাকে । মজা পেলেন ? নতুন একটা লেবুর জল,নেশা—আর আমি কিছু লিখলেই হয় না ; মতামত দিতেই হবেই ; সব্বাই ব্যস্ত ; ভুল বাইপাস ;নিচ দিয়ে দেখ কত ইয়োরোপ নেমেছে ; আহা ! বয়স্ক বাড়িদের এরকম দেখলেই ভালো হয় ; আমি ডাইরি লিখব না ; লুচি খেতে খেতে এইরকম ঠিক করেছি । পোগো দেখছে আমার বাড়ির লোক । সবাই সবার কথা নিজেকেই বলে না ; আমি শুধু শুধু সেক্টার ফাইভের সঙ্গে তর্ক করলাম ; আর জানে যারা জি-আর-ই দিয়েছে !উফ!!!!!!!! জিগরি জিগরি দোস্ত । গরুর দোকান । হোলটাইম ।



পাপড়ি চাট ও আলাদা কিছু


দুটি পাফ নেওয়া চাই ; কি পাপড়ি চাট ?? তার ও আবার বিভেদ বিবাদীবাগ স্বপিংমল—আরো নিও কিছু ; জিও জিও জিও ; একদান দিয়েছি । সেলাই-এর পর জিন্স আর তাপ্পি ; তন্দুরি হচ্ছে ; আমার কাছে একটা কুকুর এলো ; তারপর ভ্যানিস । ম্যাজিক দেখাছি । আসলে ডিম্যান্ড এন্ড স্যাপ্লাই ; হারিয়ে গেলো ; গোল্লা । একদম ১০ এ শূন্য । যেগুলো ওড়ে পতাকা ভেবে উড়েছি ; বিয়ার ছড়িয়ে আছে পিচের মত ; পচামানুষ দাদা ।
আমার পাশ দিয়ে একটা গাড়ি চলে গ্যেলো ;
আমি ২০০০ বছরের পুরানো কিছুর আলাপে থাকলাম ;
আমার সামনে ত্রিনিদাদ,গোয়া---হাজারো প্রশ্ন ।





ঘর্ষণ ও আমরা


ঘর্ষণ উৎপন্ন হয় । আমি গলফ খেলিনি । আমার অনেক কিছুই না হয়ে আছে । রিডগুলোকে ঠিক করতে গিয়ে একটা পাগোল ডিজিট্যাল হয়ে মাছ ধরছে ; এইরকম লাল এসে যায় ; লাল ; বেগুনি ; পায়ের নিচ দিয়ে নীহারিকাদের দেখি ।






নাবালক/রঙ্গীত মিত্র

বুকের নিচ দিয়ে আলো চলে যায় ;
আমার দুমুখ দিয়ে অস্ত দিতে দেখেছি
আঁচলগুলোকে;
রোদের ও ঘুম পায়
মাথার ভিতর গদ্যের যাতায়াত চলে।



















ছায়াপার্বন/রঙ্গীত মিত্র


মোবাইলের ভিতর মারাদোনারা ফুটবল
খেলছে
এই পাড়াতে অনেক ইলেক্ট্রন ;
এখানে চুড়ুইরা বাসা বাঁধেনা
নান্দনিক বলে কিছু নদী
স-ওদা করে যায়
সিগারেটের না বাড়া দামে
নাম্বারের শরীর

গড়িয়ার স্টেশান আস্তেই আমাকে ট্রেন থেকে
সরে সরে
ছায়া হয়ে
যেতে


হলো ।


হারানো রসিদ
রঙ্গীত মিত্র

আসলে মুখ ভর্তি ধোঁয়া নিয়ে একটা লোক আমাকে উঁকি দিলো;
আমি অবুঝ পড়ছি
টিটেনাসের জীবানু রাস্তায়
যে নীল-গিরি হিলস ভূগোল হয়েছে
আবার দোল এলো
বাদার বোন থেকে ভূতের দল
কলঙ্ক-র অর্থ যারা যারা জানে তাদের কে এক লাইনে থাকতে বলে
ঋণ নেওয়া ৭০-র ছবি
জিউ

আজকের
মোচাকে
চাকরের অভিনয় করছি।




চায়না ম্যান
রঙ্গীত মিত্র

চায়না ম্যান বলে যারা অধিক প-রিচিত
সমুদ্রের ক থা বলে,তারা
একা ঘুম নিয়ে জাগি
জাহাঙ্গীর জাহাঙ্গীর মনে হয়,নিজেকে

এভাবে ওল্টাতে ওল্টাতে
অমলেট হয়ে যায়,
কিম্বা

স্তনের ফাঁক দিয়ে আলো দেখা যায়
সিঁড়ির ধাপে ধাপে লাড্ডু লেগে থাকে
চু কিৎ কিত কিৎ খেলে যায়
অপরিচিত পাগলামো
হাতে
বাউল ধরে
২০ ২০ হয়
নিধুবাবু ও হয়
গনেশ এভিনিউতে ১৪ তারিখের জ্যাম নিয়ে,বাজার বিজ্ঞাপন ও রোল-মডেল নিয়ে
আর একটা সিনেমা বানাবো সিনেমা বানবো প্রিতি ও করিনাদের ছবি হয়
নাইট ক্ল্যাব ও ইলেক-সান হয়

আর বিস্ফোরনে ৩০জন মারা যায় ।



হলুদ শহর সোবজে থাকা্র,সমঝে থাকার সমজদারির যেপিজি ইমেজ
রঙ্গীত মিত্র
উৎসর্গ ঃ আমার বন্ধুনিরা
দৌড়বাজ এসে পৌঁছায়নি ;
শিঙা ফুকছে,যুদ্ধযাত্রীরা ।
কাজকর্ম স্তব্ধ হয়নি বলে
ঘড়ি ধরে ঘোঁড়ার নাল পরানো,বাথরুমে যাওয়া,তোমাকে ফোন করা
স্বকাম ইত্যাদি
পিঙ করে উধাও হয়ে যায়
উপরের জানলায় আলোর কাঁচ লাগানো আছে,টিনের প্লেট বলা যায়,ক্যান ও
ঝন ঝন শব্দ শোনা যায় ,
সব কিছুর কন্ট্রোল সিস্টেম জেনে আছে
যেমন শরীরের আবরণ {“স্তন যোনিবোধ,যৌনাঙ্গ}
প্রোয়জন;ফিতে হলে আরো ভালো হয়,তোমাকে দেশপ্রিয়পার্কে চুরুট খেতে দেখা যায়
৬-বছর সজীব থেকে মুছে যাওয়া,যৌনআয়নঘুম,খুব সৎ
তাই স্ক্রিনভোর চোখ রাখে,খিদে পায়,সাত তারা সাত দিন,ইয়েস ম্যাম,ইয়েস স্যার,নরফক্স আর গর্ভনিরোধক পিল ।

কাপড়
রঙ্গীত মিত্র

ব্যাগের ভিতর থেকে পেন্সিল বার করছে ;
যতদুর জানি স্বাদা রং অর্ধেক করে যায়
কয়েকটা
কালোকিছুর
সাথে
মেশে
এই নিয়ে জিনোমের শুরু
কড়িবরগার নিচে তাস,রোব্বার ফ্লিম,মদের বোতল,আর জামা কাপড় ওলটানো আছে ।



বায়নোকুলার ; বসন্তময় হয়ে ওঠো নির্ভীক,বিচলিত না করে,বিরক্তসফলগুল্ম
রঙ্গীত মিত্র

আমার বৃষ্টিবেলার স্মৃতি ; মেঘের নামের মোমিন পুরের বাড়ি
তোমার স্পর্শে ভিজে যাওয়ার শব্দ
রান্না করে---যেখানেই উপাখ্যানের শুরু
মনের ভিতর সময়,ডেকে যায় ।
তবু,আর কত বিতর্ককান নিয়ে ,গুগুল খুঁজে চলি
এমন আন্তরিক ছিল না আগে কখনো,তালগাচের পুরাতনী টাল-মাটাল
বদলানো শহরের জেব্রাক্রসিং-এ,আজকাল,ওল্ডটেস্টামেন্ট পূর্ববর্তী নারীদৃশ্যর পরবপার্বন ।

ব্রীজ
রঙ্গীত মিত্র
কিছু স্তর সাদার প্রলেপ ,

৫৮ নম্বরের পরের দাগটাই যখন ৬০ :

এইরকম একটা রোলের ভিতর লোকারণ্য ---সব সময়
এক একটা মানুষ স্মৃতির অতীত ।

বাজার বসে থাকা ফুটপাতে, কলেজ পড়ুয়া দুটি মেয়ে
আসপাশের গাড়িরা ঝুলছে, যেভারে গাছের দড়িতে আগুন লেগে থাকে

আমি নরম কিছু একটা খোঁজে ,ব্রীজ নিয়ে হাঁটছি ।
অর্থহীন ঃ ঋতুপথ
রঙ্গীত মিত্র

আমাদের তথাগত সাতপাঁচ যৌন
ল্যাঙগোট পড়ে আছে
প্রথা চরিত
আমকে ভয় দেখি ও না ।


হারনো লিখন িভড়ের বক্রতা
বিক্রি হয় ঃ
মহানেরা নগ্ন হতে ভয় পান
অথচ সব নগ্ন হয়ে থাকে ।

অনেক যোনির স্বাদ
বিভ্রান্তির বিশ্বাসঘাতক সহচর সহচরি
কিম্বা বন্ধুত্বের
দুর্বলতা !
পরাজয়য়
সাফল্যের বিবাহ

বাতুলতা ।
নকল ।
শালা!
ইচ্ছে হলে ও
অঙ্কের নিয়ম ।

অনুর্ধ চল্লিশের সঙ্গে
দেহ সংযোগ
অসভ্যভাবজাগ্রত
সব কিছুর,শী্র্ষে,দাঁড়ায়ে



নামতা মাখা ঘুম উল্টে-পাল্টে খাক
সহর জামিয়তেরই,এবার দরাজপুরে

শাঁখ
বুনো মোহিষ
বড়ই
দেরাদুন
রোদের খই
তোমার দোকান মোমেন্টাম
কোয়ান্টাম নারী
আমার কাছে চ ।




পাঁচ ভূতর ভয়
নগ্ন শলাকা
পলকা ফন্ট সাইজ
পড়ছে,বলাকা ।
বিন্দু বিসর্গ
পানের পর্ব
সন্দেহ আর প্রতিবাদের নামে
হারিয়ে যাওয়া সুখ
এইবার বুঝুক
ঠকানোর বাজার সরকার
তাঁবেদারের সংঞ্জা
নিয়ম অবঞ্জার
অবতার মাত্রার পরিবর্তন...।

k¤Ü eu n¡¢¿¹ Q¡C
l‰£a মিত্র

­q ¢e¢jÑuj¡e p§kÑ
¢e×f«q ;
Bj¡­L n¡¢¿¹ c¡Jz

l¢hh¡l-2
l‰£a মিত্র

Ahp­ll në öe­mJ
¢hR¡e¡l Bs¡­m
ü­fÀl ¢m‰ ¢hi¡Se
­k±e f­u¢¾VP L­l
­kM¡­e qm¤c GZ ¢e­u HL pç¡q L¡S
S­j b¡­L ­pC ph e¡ Ll¡ Be¾c-Ae¤i¨¢a

­k¡N¡­k¡N ;

Bjl¡ c¤S­e ­Mm­a b¡¢L,¢e­S­cl j­a¡ez


l‰£a মিত্র

Ha O¤j ­e­j B­p,
p­¾cqfËhea¡
f¡ul¡l X¡e¡
ah¤ f¢lhaÑen£m q­u,HLf¡a¡ ­S±m¤n
Bj¡l ü£L¡l¢š² :
Bj¡l j¡­ul ­Q­u,­LE ­eC Bj¡lz









h¡¢s
রঙ্গীত মিত্র

iueL i¡­m¡ HL¢V pL¡m, ¢aa¡p e¡­j
Bj¡l h¡¢s ;nq­ll ¢h­Lm ­ha¡m
VÊ¡­j
Vl¡p Qœ²f­b i¥m L­l ­qy­V­R¡ a¥¢j,

fa¡L¡ hu¡u

meÚ¢XÊ,L¢gnf,­j­u­clh¡y­L,B¢j HLm¡ z
Sm qu ­l¡c
­l¡c qu Sm

­q¡¢Xw p¡ya¡l
e£m m¡m gm

a¡J ¢g­l B¢p z
i¡P¡­Q¡l¡ B¢j
Bj¡­cl h¡¢sz














c¡e
রঙ্গীত মিত্র


­m¡i qu M¤hz­m¡i h¡­l¡u¡e¡
e¤­e hqj¡e,­e¡ea¡ ­p¢¾VÊ­NËX z
p¡l¡¢c­e
i¡¢h,
¢cm-¢c-Ju¡e¡ z
p¤¤­a¡ p¤¤yQ f¡

Bej­e p¡a-BV …¢e

­c¡am¡ h¡l¡¾c¡

­e­j Bu a¥C,Bu HMe C

­pC Øj«¢a ¢Mm¡e
e¡ k¡Ju¡ ¢Q¢W
h¤­e¡
hÙ¹¥¢V
jl¡m
q­u k¡Ju¡
­M¢m

HLc¡e z



¢e­S­L ¢e­u f¡Nm¡­j¡ L­l¢R /রঙ্গীত মিত্র

na fËh¡m ࣭fl l¡S¡ z
je S¡N¡¢eu¡
f¡N¢m p¤¤S¡a¡z

­M­a Q­m k¡Ju¡ fËql
¢i­S k¡Ju¡ p¡d,¢i­S ­l¡î¡l
­fË¢j­L j¤M,i£oZ L¡al
E­s k¡Ju¡ f¡a¡,qm­c Li¡l z

­j­e e¡ ­eJu¡
f¡s¡ fs¢n
­h¡dq£e B¢j
HL¡ ­qy­L k¡Ju¡

R¥¢Vq£e
j¤M
l¦¢Vq£e
T¥V
q¡C­X¡S
p¤¤l
éÉ¡P­l¡S
V¥l
h¡lq£e LÓ¡h ;LÓ¡hq£e l¡a;


¢e­S­L ¢e­u f¡Nm¡¢j L­l¢R,­h¢eu­j z




j¤ýaÑ/রঙ্গীত মিত্র

­h¡eN¡ l¡a q­u
V¥l q­u k¡Ju¡ ­cJu¡m
LjÑ¡ q­u
Øf¡jÑ q­u k¡Ju¡
a¥¢j;
­a¡j¡l j­a¡
A­eL j¡e¤o,f¤l¦o j¡e¤o Q¡uz
l¡N Ll­m ¢fËuaj¡
­k±e­L¡lL
d¡l ¢c­u¢R
­V¢hm ­f¢¾p­m z
NËÉ¡¢i­Vn¡e j­el ¢ial,hm¡L¡ ¢g­l
B­p--H¢gV¡g ¢mM¢R,
g¡y¢Lj¡l¡l M¡a¡u
A­eL Aˆ Bj¡l h¡¢L B­R
A­eL h¡¢L z
¢qhË ­mM¡ ­k S¡j¡l ­Ù¹¡œ ¢e­u
BN¡j£ n£aL¡­m
a¥¢j
BL¡l q­u
BL¡n¢X­f­X¾V


pj¡d¡e f¡C¢e HM­e¡,Hje¢L ­L¡­e¡ j¤ý­aÑl z




p¡C­LÓ¡e l¡Sfb/রঙ্গীত মিত্র

l¢hepeœ²¥­p¡ j¡LÑ¡ h¡CLzQ¡y­c f¡ ­f¢l­u¢R Be­L¡l¡
HLV¡
LÓ¡pl¦j--LmL¡a¡u ¢NV¡l h¡S¡­e¡ Se­mee ;
SÉ¡¢LQÉ¡el¡ ­pC ph ­j± q­u
¢pN¡l ¢LeÚ­a q­u ­R¡Ll¡ H­N¡¢m J­N¡¢m q­u
L¡lM¡e¡h¡¢s ;
c¡¢SÑ¢mP
ea¥e ­fË­jl j­a¡

Bj¡l Bh¡l j­e f­sz

hup ­hYf A¢gp f¡s¡ ;

Bj h¡N¡­el ­Q¡l f¤¢m­nl ­Mm¡
­Sl¡­Slh¡l ­ShË¡œ²¢nP
lPhcm¡¢e h­Pl ­hc
f¡LÑ¢ØVÊV : H-¢V-Hj H ­f¡L¡l

j¤M

Jj¢e­a
p¡Eb¢p¢V ; ¢Q¿¹¡ L­l¡e¡

j¡b¡u HL VLÑ ­m­N­Rz

f¡m¡­a c¡Jza¥¢j f¡m¡­a c¡JzHi¡­h a¡y­hc¡l
­L¡ô-¢XÊPp
Bj¡l p¡C­LÓ¡e l¡Sf­b...z




জীবন-যাপনঃএক পাতা থেকে তিন পাতা পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

ওরাংওটাঙ বলতে পারেন ।কিম্বা ফুন্টসেলিঙ ও হতে পারে ।এই ধরুণ আমার আর আমাদের মধ্যে ইয়াবড়া গ্যাপ ; তাহলে আহ্লাদে আটখান হয়ে জান । ভালোলাগার অথৈ জলে এইভাবে শপথ করতে গিয়ে দেখি আমার সহর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে ; আমি অর্থহীনের মতো প্রলাপ গাঁথছি ।এইবলে আকাশের দিকে তাকাতে গিয়ে দেখি আকাশ একটি ছেলে নাম ;আসলে আমার কোন এক্তিয়ার নেই ; এমা! মিঠে গলায় গাইছো কে ? আমি তাকেই খোঁজার ইজ্জত নিয়েছি ।
আমার সামনের গ্লাস লেগে আছে বিতর্ক ; এখন শুধু তর্ক করার সময় ।আচ্ছা,কবরে গেছেন ? কবরে?মাঝরাত কেমন হয় ! রেডরোড ,রোদের কালিকলম,মোপাসার চোখ---নিউমার্কেট,হিপির গলির ক্লান্ত চরস,নাইট ক্লাব হয়ে যাওয়া রান-ওয়ে,নতুন গান---হামি খেয়ে পুলিশ ছুটে আসে ।মদ শুকছে পানুর ছবি,ন্যাপকিন,কন্ডোম,দেরিদা
প্রভৃতি।বিস্কুট নিয়ে টিনটিন চলে গেলো
অবন ঠাকুর,আবোল তাবোল,এফিটাফ।জনলেনন,বাদল সরকার

এইসব ভাবতে ভাবতে চায়ে চুমুক দিয়ে দেখচি আমার সামনের ফ্রেমে প্রেম আছে

নেই শুধু বিশ্বাস বোধ; আমি আমার বন্ধুদের নিজের কথা বলতেই পারি না;মোশা এসেছে ;মসিহা টাইপ ; তাই তাই
তাই
মামাবাড়ি যাই
এ ভেবে লাওন কিং দেখা লবটুলিয়া খ্যাত দেবদাস মহানগরের অযান্ত্রিক আমরা
৩৫ বছর হয়ে গেলে ও অবাক হই
কিভাবে সাবলিল নেশায় তুমি
উদাহরণ ঃ মেয়েদের পত্রিকা ;
মেয়েদের জামা কাপড়

সবেতেই দারুন মানান সই তুমি ।
লোডশেডিং-এর পর ঃ
বাথরুমে গিয়ে খেয়াল করি আমার যৌনানঙ্গের সাইজ বেড়েছে
কানের ভিতর অন্যমন
না এইবার প্রতিধ্বনি হয়ে উঠুক দাহ্য সব ঋতু

বীজরোপনের পরে তোকে দেখতে ইচ্ছে করে
এখানে গাছেরা হিসি করে
মায়ের মুখ থেকে ঝরে ওঠে নেশা
ব্রা-র গন্ধ আমায় মহিনসময় ;
বয়স বাড়লেও খুব সবুজ সাজা হয়ে ওঠে টাটাসেন্টার
আর আমার খুড়োর কল গোছের ওপেন-সোসাইটি
মাইরি বলচি ওসব হব্বে না ! ফোট । ফতোয়া আসে ।
সেন্সলেজহীন একটা বাল হয়েচে ; নতুন একটা কিছু চাই ; একঘেয়েমি লিখতে গিয়ে বাপে খিস্তি দেয় ; সমাজ চোখ রাঙায়
আর আমি
ভেল্কি ছাঁচে বাজার দেখি

বুঝলেন সব ভাঁওতা ; দেখনদারি,মারুতি,সেক্সিমাগি

ফ্লিম-ফেস্টভ্যাল !

মুখের স্বাদ খেয়েছি ;সেক্স করার ইছে প্রবল; অরকুট ফেলে
ঝাঁ চক চকে সেলিব্রিটি
খচ্চর দেখিয়াচি জেব্রাবোনে
আমার লেখাও শালা
আগুনে শালবোনে
ভাই
বোন
না—মহিলা পুরুষ বিভাজন না করা নিউইর্য়ক

না ভুলে গেলাম এরপর কি লিখবো ? চন্দ্রবিন্দু না আমার বাপের চালচলন ; দা-উ-দ লেগেচে চারকোনা
বড় ধন্দে আছি
দন্দ্বে আছি
আমার পিছনে ফিস ফিস বিরক্তি ।বানচোদ ! আমাকে বোঝে না-এরকম মক্স পাগলামো করা যাক ;
কিম্বা মাইকেলসনের ইকুয়েসান,নিভিয়ার স্ট্রোক আমাকে বাড়ি ডেকো না ; শালা,ঠকে আসছি !দৃশ্যক্লপ,দূষন,
উষ্ণরমন
আকৃ্তি দেখি
বদলানোর স্বপ্ন দেখি
এখনো তুমি নালিশ করো
ক্রিম;বার;পানের দোকান;পসরার অপ্সরিরা ;
নতুন বম্বেবাজি,জ্ঞান ;কুকুর ;খবর;ফোন;ফোন;গোপনিয়তা দেখে ফেলা
পারা না পারা
ডট ডট ডট
প্রচ্ছদ,ভয় পাই ; ইতিহাস ;ভূগোল ;অপরাধ ; পোকার গন্ধ ; চাপিয়ে দেওয়া
একটা নিজের লড়াই হয়ে ওঠা কলাম চাওয়া,যাতে কিনা এম-টেক না ঠেলে একটুস ঢাউস ঢ্যামানাবিহীন জীবন
হওয়া যায় ।
প্রণালীয় গোপনীয়তা এবং আমরা,আমাদের অন্যান্য
রঙ্গীত মিত্র

১। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম
কিম হয়ে,
যাওয়া
ইমামের বাড়ি
মা এসে চলে যান

বরফ পড়ে না ---শুনছি আলাস্কায় জমি পাওয়া যবে ।
২। মোটরের
মৃত্যুজ ভুয়ো ;
বেনিয়মে মহাকাশ আমার হাত
এ ভোটে জিতবে,লাক্সারি আড়াল

ভয নেই ;ভয় নিয়ে

আমাদের জীবনযাপন।
৩। এ নিয়মে আমাকে অমর করেছে ;
আসামীর মতো সীমান্ত পার করে
ভালোবাসা কযেক প্রকার
বৃষ্টিমন প্রলয়,আনবে কবে !
আমাদের স্বপ্নের ঝুলি
তোমাদের হাড় থেকে আমার ও উঠে,যজমান,আলোক প্রণালী দেখাই ।











৩সি/১
রঙ্গীত মিত্র

মেঘলা হয়ে রাখা আছে ;
কাপড়ের হুকের ভিতর
রাত রয়েছে ।

আমি কাল সারা রাত
তেল নিয়ে
আগুন জ্বালানোর অভ্যাস করেছি

একটা ৩/সি/ওয়ান বাস গড়িয়াহাটের মধ্যরাত লিখে যাচ্ছে ।
ক্রেডিট কার্ড
রঙ্গীত মিত্র

আমাকে একটা দূর্গ বানিয়ে দাও ;
জেলের ভিতর ফুলের বাগান দেখি
চেয়ারে মাঝে মাঝে ঘুরপাক খাই
এইভাবে বাতাস বয়ে যায়
সে কি এখনো ফেরেনি
ভিমবার দিয়ে মুছে মুছে ফেলি
মাটিগুলো ধাতু হয়ে আছে । ধাতব সব কিছুর ক্রেডিট কার্ড কাটি ।

টোটা
রঙ্গীত মিত্র

আমার বাড়ি ব্যাঙ্কের কাছে ধার দিয়েছি
এই জমিটাও দিয়ে দেবো ।
তোমার বাড়ির এসির বিলের সমান
যাকে আমার নিজের ভেবেছি
বাসের টিকিট ওড়ে টোটার মত ।





ঘুমের পিছনে
রঙ্গীত মিত্র

রিক্সায় বসে তুমি । তোমার বন্ধুকে আমার খুব ভালো লাগে ।
একটা অটোর সামনে দাঁড়িয়ে হাই তুলছে
কালকে যাকে খুব ইয়ালো মনে হলো
কিম্বা মদের দোকান
যেখানে মারপিট করেছি
যেখানে লেবেল ক্রসিং থাকে

তুমি ঘুমিয়ে পড়লে,তোমাকে সব কিছু আমি জানিয়ে দেবো ।


ট্রাম-লাইন
রঙ্গীত মিত্র

চলে যাওয়ার পর টেনে টেনে
রিপ্লেস করার পর
আমি দোতলায় উঠে,এসির দেওয়াল দেখলাম
যেমনি পাতা ভাঁজ করা থাকে

একটি মেয়ে মুখে মেকাপ করে,স্টুডিওতে ঢুকে গেলো
বেরুটের
একটা বিকেলে কাদা কোড়ানো স্কুল শেষ
আমায় বলে দিল ঃ ওই দিকে ট্রাম-লাইন ।
গুটিকতক আমার নামের পুঁথি
রঙ্গীত মিত্র

বারোর ক্লাসের হিংসা শিখেছি
তোমার নামে গুটিয়ে আছে হার
যাকে বিস্ফোরণ বলো ;
আমি অটোর সামনের সিট দেখি
ঘড়িতে একটা তেত্রিশ । গর্ত দেখে পা লাফিয়ে চলি ।

মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

ছবিঅলা
রঙ্গীত মিত্র
ক্রিমকেকার বিস্কুটগুলো ফিসপ্লেট দিয়ে
টেনে নিয়ে টেনে নিয়ে , দেখাবো
মেট্রো সিনেমায়
১>ব্রাইটনেস ঠিক নেই ;
২>কালার কারেসান ?
৩>রেজলিউসান নিয়ে আমি ১০০০ বার বলেছি । এইচ ডি ? পাখি ঢুকে গেলো ফ্রেমে ; এইবার মেষেদের ভীড়

সারাদিন আমি জমে থাকার ছবি তুলছি ।

পরবর্তী,অক্ষরে
রঙ্গীত মিত্র

লিফটা খুব খারাপ যে উঠছে আর নামছে
লিফট এখন ৬ তলায় ;
এইরে আমি ৮ টিপে বসে আছি
ছাদ থেকে আর একটা ছাদ দেখা যায়
চন্দ্রবিন্দু এসে যায়,তার পরবর্তী অক্ষরে ।





বারড্যান্সার
রঙ্গীত মিত্র
জল লেগে আছে কলের মুখে ;
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
এক ন্যাকড়া দিয়ে আটকানো আছে ।
যেমনি দুপুরে তুমি নেলপালিশ লাগাতে
এইরকম একটা রঙিন বোতলের ভিতর আলাদিনের গল্প
এখন কাকে যে সেলুট করবো ,বুঝতে পারছি না ? আমার বন্দুকের হিলপারমোড়ে সুন্দরী বারড্যান্সারকে দেখছি ।

গুটিকতক আমার নামের পুঁথি
রঙ্গীত মিত্র

বারোর ক্লাসের হিংসা শিখেছি
তোমার নামে গুটিয়ে আছে হার
যাকে বিস্ফোরণ বলো ;
আমি অটোর সামনের সিট দেখি
ঘড়িতে একটা তেত্রিশ । গর্ত দেখে পা লাফিয়ে চলি ।

মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

ছবিঅলা
রঙ্গীত মিত্র
ক্রিমকেকার বিস্কুটগুলো ফিসপ্লেট দিয়ে
টেনে নিয়ে টেনে নিয়ে , দেখাবো
মেট্রো সিনেমায়
১>ব্রাইটনেস ঠিক নেই ;
২>কালার কারেসান ?
৩>রেজলিউসান নিয়ে আমি ১০০০ বার বলেছি । এইচ ডি ? পাখি ঢুকে গেলো ফ্রেমে ; এইবার মেষেদের ভীড়

সারাদিন আমি জমে থাকার ছবি তুলছি ।

পরবর্তী,অক্ষরে
রঙ্গীত মিত্র

লিফটা খুব খারাপ যে উঠছে আর নামছে
লিফট এখন ৬ তলায় ;
এইরে আমি ৮ টিপে বসে আছি
ছাদ থেকে আর একটা ছাদ দেখা যায়
চন্দ্রবিন্দু এসে যায়,তার পরবর্তী অক্ষরে ।





বারড্যান্সার
রঙ্গীত মিত্র
জল লেগে আছে কলের মুখে ;
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
এক ন্যাকড়া দিয়ে আটকানো আছে ।
যেমনি দুপুরে তুমি নেলপালিশ লাগাতে
এইরকম একটা রঙিন বোতলের ভিতর আলাদিনের গল্প
এখন কাকে যে সেলুট করবো ,বুঝতে পারছি না ? আমার বন্দুকের হিলপারমোড়ে সুন্দরী বারড্যান্সারকে দেখছি ।

ভুলে যাওয়া
রঙ্গীত মিত্র

খুট খুট করছিলাম । আসন্য ভোটের রং আসেনি ।অহং নিয়ে ঢেলে দিলে আমাদের বেড়াতে
যাওয়া শেষ । কেউ বলে উঠলো ঃ তুমি বানিয়ে লেখো ? খ্যাক খ্যাক
ওয়েলডান । ব্র্যাভো ।জেমস লং সরণি দিয়ে যাও,সোজা---হ্যাঁ এই দিকে ।
পঞ্চাননকে পিছনে ফেলে ওয়েস্ট্র্যান ক্লাসিক্যাল,অনুবাদ করো ; আমার চোখে সূর্যের ডিম
বাধ্য করেছি ভ্যানের উপর পতাকা লাগাতে ; পাথারে লেগে আছে
এইবার জল শেষ হলে মাথা যন্ত্রণা করে,বাইকের পিছনে একটা কুকুর
তুমি যা করবে,তার ফলশ্রুতির দিকে চুটকিতেই পিয়ানো বাজাবো। তারগুলো ক্লিপ দিয়ে আটকে ভুলে যাবো দরজাটা খোলা আছে কি না ।

সকাল নিয়ে আর কবিতা লিখবো না
রঙ্গীত মিত্র
আমি তো ভয়েই থাকি ;
টুং টাং ডেকে যায় দুধের গাড়ি
সেই দুধছাপ নিয়ে কাপড় ওড়ায়
কাপড়েরা আকাশে লেগে থেকে
আমি প্রতিদিন খেয়াল করি
তোমার আকাশিরঙা জামা ঝুলছে জানলায়
কালকের বৃষ্টিরা ফুলে ঝুলে আছে ; সেই ফুল তোমায় দেবো বলে,সাতসকালেই ঘুম ভেঙে গেছে ।

জানি না কিসব লিখে যাচ্ছি আমি
রঙ্গীত মিত্র

আমি একটা পয়সা মাটি থেকে তুলে দেখলাম
চোখ জল ধুয়ে আছে ।
ওরা যেদিক থেকে আমাকে মোড় বল্লো
দুটি মেয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে র্যাখগিং-এর পোস্টার
সলিলমামাকে দেখেছি,আমাকে দোতো বলতে বলেতে পাগল হয়ে যেতে
পাগলামিতে যার ৭০ পেয়েছিলো,তাদের জন্যে সাদা রঙের গাড়ি আসে
সলিলমামা,রেললাইন না বলতে পেরে সাঙ্ঘাই রেডিও শুনতে শুনতে চন্দনের গন্ধে ভাসিয়ে দিল,বাড়ি ।
রঙ্গীত মিত্র
১।
কত দিন বিছানা না থাকলেও আমারা লুকোচুরি খেলেছি
একদিন,২৪ঘন্টা ;

এখন আমার সব থাকা সেই সব বিছানার তল্লাশ করে ।

২।
মেয়েরা উড়ে যায়,
অচেনা নাম্বার থেকে
ফোন আসে

এভাবেই বিচ্ছেদ থেকে আলো আনা শুরু হয় ।

৩।
কিছু দৃশ্য শুধু দেখবার ;
গোপনে দেখবার

পরিচিতি সন্ধান করে ।
৪।
অনেক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে খানিকটা আলোড়ন
বেশকিছু পিছনের দরজা যা আমি দেখিনা
আতরের গন্ধটা তুমি হয়ে যাও ।
৫।
নেশার ঢেঁকুর আসে পাড়াবরাবর
এইবার ১৯ পেরোনো সব উপলক্ষ আসে
কাউকে কেউ অথবা কেউ কাউকে ডেকে নিয়ে যাতায়াত হয়
আলোর চাদরে ভিতরবোধ আসে
শীতকাল সব সময় থাকলে ভালোলাগে ।
মাউথঅরগান ও “অনন্ত”কিশোর/রঙ্গীত মিত্র
আমি রাত এগারোটায় ও, দুজনকে দাবা খেলতে দেখি ।
গড়িয়াহাটের মোড়ে লরির মত অটো ;
সেক্টর ফাইভ কত দূরে,বন্ধ দোকান মার্কা এরকম ।
আমার বাড়ি অনেকটা ফ্ল্যাট পেরিয়ে
ঝিনুক খুঁজছে তোমার মোবাইল নাম্বার ।
ইনাম এখন শিলং-এ চলে গেছে ;
খুঁটিতে অন্ধকার লাগিয়ে কাদের য্যানো স্লোগান
আর মাউথঅরগান বাজানো সেই ছেলেটিকে দেখতে পাচ্ছি না
কিছু বিষাক্ত কুকুর কুয়ার ভিতর অদৃশ্য হয়ে যায় ।

জলস্তর/রঙ্গীত মিত্র
কবর । কবরের একটি ছেলে তার মার সঙ্গে ফুল দিতে এসেছে ।
তোমার মাথার উপর বিকেল আসলো বলে,পাখিরা অবাক বাতাস দেয়
ধূপকাঠি থেকে অমৃত উঠবে বলে আমি গিটার,কানের দুল দেখি
রামেরলীগ লেগে আছে রুমালে ; অনেকদিন তোমার গান শোনা হয়নি
পাবের সামনেগুলো অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে
ওখানে সমুদ্র পাবে ; ডানবস্কো পেরিয়ে মোমোর দোকান ; এদিক দিয়ে খুব ঘুরতে ভালো লাগে
আমার আদুরে বেড়াল তারের উপর থেকে বাষ্প ওড়ায় । সকাল জলস্তর ফেলে, আমাদের রাস্তায় ।

মর্নিং ওয়াক/রঙ্গীত মিত্র
একটা বয়স থেকে আমি শুধু অনুবাদ করি
১২ ক্লাসের পর যেমন কলেজ দেখতে বেরোনো ।
লিস্টে লিস্টে নাম দেখে যাই ;
তুলোঅলা ডেকে যায় ;
আমি ভাসমান বীজদের দেখি

আমি হাঁটছি । নিজেকে ববডিলান বলে মনে হয় । সাদা চামড়ার পাঁউরুটির ভ্যান আসে
দৌড় প্র্যাক্টিস করতে করতে খেয়াল করি কাঠের আগুনে শিকের মাংস ঝলসানো হচ্ছে ।

ছাদ
রঙ্গীত মিত্র
আমার নেই বলে আনকোরা ক্রয় করে গেছে ;
কেউ কেউ অহেতুক জল ভেবে রং দিয়েছে ।
আমিতো প্রভূত অহংকারি বলে,রস পান করি
আমাদের দরজায় ওল্টানো পাঠ
আমি আলোর ফ্লিম নিয়ে আঠা লাগাই
বরং দূরে চলে যাবে খুব দুঃখ নিয়ে
টুকি টুকি ডেকে যায় আমাদের সাথে
আমার ও যে ঘুম পায়
রুম জুরে বেকারজীবন
সেই সব মধু নিয়ে ফিরে চাওয়া গুলো
আবহাওয়া মাপে ; এই লিখে আমি জল দিয়ে ছবিদের ছাদে শোকাতে যাই ।
সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
অপূর্ব
রঙ্গীত মিত্র
কিছু টুকরো শব্দ জলাশয়ের হয়ে থাকে ;
আমাদের বাড়ি থেকে একটা নালা জলে মেশে
বিড়ির পোড়া অংশ থেকে বোঝা যায় ঝোপের আড়ালেও যাতাযাত ছিল ।
আমি ভোর নিয়ে জল ছুঁয়ে আসি
জলের কারবার থেকে অদৃশ্য পারা খেলে যায়
সেই সব ছাপ দেখে বাঘেরা গন্ধ ছড়িয়ে আছে
কাদার ছিদ্র থেকে আমি মহিলাদের দেখি ; অপূর্ব তোমার চোখে লেগে আছে ।
অন্দরমোহল
রঙ্গীত মিত্র
ফিতে থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে আমাদের জব্বর কিছু ;
কিছু লোক আমার মৃতদেহকে ইউরিন্যাল ভেবে হিসি করে যায় ।
হাতিরা যেরকম মাঠে চলে এসে বাজি পটকা দেখে
এইরকম দেবলিনা টাইপের একটা নিউজ করলাম
আমাকে বলা হল ১২০০ শব্দ আমি জিম মরিসন বলাম
আমি আমার সব নিয়ে পরীক্ষার অর্থপুরাণ বানাচ্ছি ।
ফাঁসুড়ে এসেছে আমাদের অসুখের ভিতরে ।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র
ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।


আমার দেখে রাখা মুহুর্তরা
রঙ্গীত মিত্র

কীছু ঝলক দেওয়ার পর বুঝলাম বৃষ্টি হয়েছে
তেরঙা কিছু কার্ননের নিচা তোমাকে দাঁড়াতে বল্লাম
তোমার মাথার উপর দিয়ে পাখি মেঘ ও সভ্যতা উড়ছে
আমি লজেন্স না কি বড়দের কিসব খেতে খেতে
দেখি জলকণারা তোমার উপর দিয়ে জমে শস্যদানা
এইরাস্তা দিয়ে এখনো গড়ুর গাড়ি যাতায়াত করে ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।








স্ক্রীন থেকে সহর পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

দৈব দৈব বলে শেকল লেগেছে ;
ঘরের শিকল বয়স্ক তাই
গোদরেজ ফোমের মত ;
কিছু পুতুলের জামা পরানো বাকি
ওদের যৌনতা সম্পর্কে কেউ কিছু না বলার চোখে আঙুল
এর বেশি সব ভগবান জানেন ; আমার ভিতর শুধু পাশের জানলা
জানলার প্যাশান ট্যাশান---সিগারেট কেমন খেতে অথবা এই পত্রিকা কেটের ছবি আর যেন কে ছিল,নাম ভুলে যাওয়া তুলে আমার অনেক দেখা ; বার্টন টিপতে টিপতে কম্পিউটার খুলি ; খুলি গুহার নাম শুনেছি ; তোমার লকেট লেগে আছে দেরাজে ; পরিণত কিছু আমার ঝুলির ভিতর ক্লাস টেন ; ইংলিস ক্লাস ; ঋতাম্যাম ; ছবি চলে ; আমি হাত ধরে থাকি ; আমার তৃষ্ণা নিয়ে মধুকর ডিঙা কিনে নিয়ে আইন বানানোর না মানার আকাশ তুমি ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।

স্ট্যাম্প
রঙ্গীত মিত্র
গিটার বাজানো মেয়ে বিকেলের রং-তুলি নিয়ে
কি শহর দেখো তুমি হাতের ভিতর
“হাই-ও-কো” “হাই-ও-কো” বলে একপাগোল গেয়ে যায়
তার গান নিয়ে সব নিয়মের দিক দিয়ে ভাবি
হিতরো এয়ারপোর্ট হয়ে যায়
আমাদের গায়ে এখনো স্ট্যাম্পের আলো লেগে থাকে ।





বয়স
রঙ্গীত মিত্র
চোখের নিচে বৃষ্টির-আঙুল লেগেছে
মিহি কিছু স্পর্শ পাই ;
আমি পা দিয়ে পা দিয়ে আমি রণপা দেখি ।
উজ্জ্বল উজ্জ্বল চাকতিরা ২৫ কিম্বা ৫০ পয়সা
আমি লৌহ-তপ্ত তার দিয়ে আটকানো আছে
আমি ময়ূরকে দেখি ; টিকটিকি দেওয়াল থেকে দেওয়াল পর্যন্ত
ফসফরাসের প্যাস্টেল দিয়ে ঝাড়বাতি এইসব নিয়ে বয়স্ক হয়ে যায় ।

রিং
রঙ্গীত মিত্র
খয়ের ছড়াচ্ছে পানঅলা ; পানের দোকানের সামনে দিয়ে ট্রাম লাইন ;
লাইনের সীমানা পেরিয়ে বাড়িদের দেখা যায় ।
দু একটা বাস নিজেদের পরিচয় বলে
এই পরিচয় দিতে দিতে চব্বিশঘন্টা দেখি
রায়েদের বাড়ির পাশের বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে । ইব্রাহিমদের বাড়ির নিহত দরজায়,রিং লাগানো আছে ।
নামতা
রঙ্গীত মিত্র
বোর্টের গায়ের দড়ি লাগানো । আমি তোমাকে একটি কুকুর নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে বুঝলাম
রাত এসেছে
ব্রীজের নিচটা কেন আমার চায়ের দোকান
আমি একটা মাঠ খুঁজে পেতে নিয়ে তোমার যাদবপুর ডায়াল করি
একটা গিটারের খোল নিয়ে বারুদেরা ওড়ে
তুমি সাতটায় আসবে বলে বাইকেরা হোস পাইপ ; আর আমি নিজের মত একটা হচপচ
আওয়াজ নিয়ে শুধু কি সব দেখি আর নামতা ওড়াই ।
ছাদ
রঙ্গীত মিত্র
আমার নেই বলে আনকোরা ক্রয় করে গেছে ;
কেউ কেউ অহেতুক জল ভেবে রং দিয়েছে ।
আমিতো প্রভূত অহংকারি বলে,রস পান করি
আমাদের দরজায় ওল্টানো পাঠ
আমি আলোর ফ্লিম নিয়ে আঠা লাগাই
বরং দূরে চলে যাবে খুব দুঃখ নিয়ে
টুকি টুকি ডেকে যায় আমাদের সাথে
আমার ও যে ঘুম পায়
রুম জুরে বেকারজীবন
সেই সব মধু নিয়ে ফিরে চাওয়া গুলো
আবহাওয়া মাপে ; এই লিখে আমি জল দিয়ে ছবিদের ছাদে শোকাতে যাই ।
সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
অপূর্ব
রঙ্গীত মিত্র
কিছু টুকরো শব্দ জলাশয়ে হয়ে থাকে ;
আমাদের বাড়ি থেকে একটা নালা জলে মেশে
বিড়ির পোড়া অংশ থেকে বোঝা যায় ঝোপের আড়ালেও যাতাযাত ছিল ।
আমি ভোর নিয়ে জল ছুঁয়ে আসি
জলের কারবার থেকে অদৃশ্য পারা খেলে যায়
সেই সব ছাপ দেখে বাঘেরা গন্ধ ছড়িয়ে আছে
কাদার ছিদ্র থেকে আমি মহিলাদের দেখি ; অপূর্ব তোমার চোখে লেগে আছে ।
অন্দরমোহল
রঙ্গীত মিত্র
ফিতে থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে আমাদের জব্বর কিছু ;
কিছু লোক আমার মৃতদেহকে ইউরিন্যাল ভেবে হিসি করে যায় ।
হাতিরা যেরকম মাঠে চলে এসে বাজি পটকা দেখে
এইরকম দেবলিনা টাইপের একটা নিউজ করলাম
আমাকে বলা হল ১২০০ শব্দ আমি জিম মরিসন বলাম
আমি আমার সব নিয়ে পরীক্ষার অর্থপুরাণ বানাচ্ছি ।
ফাঁসুড়ে এসেছে আমাদের অসুখের ভিতরে ।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র
ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।


আমার দেখে রাখা মুহুর্তরা
রঙ্গীত মিত্র

কীছু ঝলক দেওয়ার পর বুঝলাম বৃষ্টি হয়েছে
তেরঙা কিছু কার্ননের নিচা তোমাকে দাঁড়াতে বল্লাম
তোমার মাথার উপর দিয়ে পাখি মেঘ ও সভ্যতা উড়ছে
আমি লজেন্স না কি বড়দের কিসব খেতে খেতে
দেখি জলকণারা তোমার উপর দিয়ে জমে শস্যদানা
এইরাস্তা দিয়ে এখনো গড়ুর গাড়ি যাতায়াত করে ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।








স্ক্রীন থেকে সহর পর্যন্ত
রঙ্গীত মিত্র

দৈব দৈব বলে শেকল লেগেছে ;
ঘরের শিকল বয়স্ক তাই
গোদরেজ ফোমের মত ;
কিছু পুতুলের জামা পরানো বাকি
ওদের যৌনতা সম্পর্কে কেউ কিছু না বলার চোখে আঙুল
এর বেশি সব ভগবান জানেন ; আমার ভিতর শুধু পাশের জানলা
জানলার প্যাশান ট্যাশান---সিগারেট কেমন খেতে অথবা এই পত্রিকা কেটের ছবি আর যেন কে ছিল,নাম ভুলে যাওয়া তুলে আমার অনেক দেখা ; বার্টন টিপতে টিপতে কম্পিউটার খুলি ; খুলি গুহার নাম শুনেছি ; তোমার লকেট লেগে আছে দেরাজে ; পরিণত কিছু আমার ঝুলির ভিতর ক্লাস টেন ; ইংলিস ক্লাস ; ঋতাম্যাম ; ছবি চলে ; আমি হাত ধরে থাকি ; আমার তৃষ্ণা নিয়ে মধুকর ডিঙা কিনে নিয়ে আইন বানানোর না মানার আকাশ তুমি ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।

স্ট্যাম্প
রঙ্গীত মিত্র
গিটার বাজানো মেয়ে বিকেলের রং-তুলি নিয়ে
কি শহর দেখো তুমি হাতের ভিতর
“হাই-ও-কো” “হাই-ও-কো” বলে একপাগোল গেয়ে যায়
তার গান নিয়ে সব নিয়মের দিক দিয়ে ভাবি
হিতরো এয়ারপোর্ট হয়ে যায়
আমাদের গায়ে এখনো স্ট্যাম্পের আলো লেগে থাকে ।





বয়স
রঙ্গীত মিত্র
চোখের নিচে বৃষ্টির-আঙুল লেগেছে
মিহি কিছু স্পর্শ পাই ;
আমি পা দিয়ে পা দিয়ে আমি রণপা দেখি ।
উজ্জ্বল উজ্জ্বল চাকতিরা ২৫ কিম্বা ৫০ পয়সা
আমি লৌহ-তপ্ত তার দিয়ে আটকানো আছে
আমি ময়ূরকে দেখি ; টিকটিকি দেওয়াল থেকে দেওয়াল পর্যন্ত
ফসফরাসের প্যাস্টেল দিয়ে ঝাড়বাতি এইসব নিয়ে বয়স্ক হয়ে যায় ।
রিং
রঙ্গীত মিত্র
খয়ের ছড়াচ্ছে পানঅলা ; পানের দোকানের সামনে দিয়ে ট্রাম লাইন ;
লাইনের সীমানা পেরিয়ে তবে বাড়িদের দেখা যায় ।
দু একটা বাস নিজেদের পরিচয় বলে
এই পরিচয় দিতে দিতে একদম চব্বিশঘন্টা দেখি
রায়েদের বাড়ির পাশের বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে । ইব্রাহিমদের বাড়ির নিহত দরজায়,রিং লাগানো আছে ।



মহাকাশ
রঙ্গীত মিত্র

আনপড় গ্যালারিতে আলো ফেলে লোকজন
প্যাকেটের চিপস খায় ;
গার্ডার লাগিয়ে আমি স্ক্রীন বড় করি
অন্ধকার থেকে গাছপালার ডাল
একটা বিকেল লেগে গ্যেলো বলে
গোদরেজের ফ্রিজ কেনা হয়নি
আসপাশটা সরিয়ে দিয়ে কমন ভোঁ ভোঁ লাগে
অস্পষ্ট হলেই,আমি ত্রিনয়ন তুলি দিয়ে টানি
আমাদের বিছানার উপর অন্য কেউ,
যার সন্ধান করার জন্যে
মারকিউ-২৩ কে মহাকাশে পাঠাচ্ছি ।

এক পা উঠে দাঁড়ালে

বৃষ্টির ঝলসে দিয়েছে বাড়িটাকে । আলো টিউবে জ্বলছে রাত্রির । গাঢ নীল জামাটার মত এখন ঘড়ির সময় । উত্তেজিত উত্তেজিত ।
সমুদ্র লেগেছে মুখে । অনেকগুলো স্রোতকে নিয়ে এলে ঘরে । আরে ঘর কোথায় । ঘরের বাহির ও একরকম ঘর ; আমি নিজেকে বার করে নিয়ে আসতে গিয়ে দেখলাম দেবদূতেরা আমার পিছন পিছন আসছে ; সিগন্যাল থেকে কেউ পতাকা নাড়ালো

আমাকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে
যুদ্ধে যাওয়ার আগে যেরকম
আমাদের মজাগুলো গুলির মত একটা হারেম বানায়
গ্লাস টেবিলে উপুর হয়ে পড়ে আছে---খনি মজুরের মত আমার বাতাসে তোমার ইস্তাহারে ।

রুমাল যাকে নিয়ে ২৬ জুলাই দেখি/রঙ্গীত মিত্র
১।
মানস সরোবরে
তিনি টেলিপ্যাথি করছেন ;
সিজ ফায়ারে আমি একা দাঁড়িয়ে ।
তোমার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে সূর্য ঝুলছে ;
এখনো প্রশ্ন ছিলো বৃষ্টি আসবে কি না !
জল নিচে পড়ার আগে সুতো দিয়ে
সুতো মানে বিশাল কোনো গার্ডার দিয়ে
ঝরে ঝরে পড়ছে ;
পিঁপড়েরা মাটির কলোনি থেকে কয়লা তুলে আনে
পার্কস্ট্রিটে আমি আলু পটলের মতো তোমার দাম করি
টিপে দেখে কতটা নরম ? কি জাতের ?
প্রজাতি শব্দটা বিজ্ঞান সম্মত;
আমার বাবা,আমার স্যার অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এরাই জানে ।
রাজাবাজারের দিক থেকে আমি অটোর ছুট দিয়েছি
কার্পেটে কার্পেটে বিফ কাবাব লেগে থাকে ;
আমি লেটার বক্স খুলতে গিয়ে দেখি চিঠি জমে আছে
চিঠি----চিঠির ধুলোর মত হ্যাপিডেণ্ট ।
৩ঃ০৪-এর পর শুভায়নদা ফোন করেন ;
চন্দনের এস-এম-এস-এর আগে
“রাত কি অগ্নি” ডাউনলোড হয় ।
আমার মাইক্রোফোন কাজ করে না
আমি জাদুকরের হাতের তালুর ভিতর তোমার ছবি দেখি...।
২।
টোপাজ পড়ে আছি ।মূর্তি উন্মোচন করতে গিয়ে বলি ঃ ও মেয়ে

মেয়েটির সংগের ছেলেটি কে? কানের দুল থেকে প্যাণ্ট্যালুন্সে শুভকে দেখি

কাল যাদবপুরে এক দাদারর ফোন পেলাম ; একটি মেয়ের পিঠ দেখা যাছে

ওই পিঠ থেকে আর একটু গাছের শাল,পর্দা নামালেই দেখা যায় বলে পাখিদের ভিড়ে
আমি কিয়স্কো দেখি । যেম্ন তুমি শহিদ মিনার দেখো ; আপসে নেমে যায় চোখের উচ্চতা
উভচর এরকম হয় ; মাছেদের জলযান নেই বলে ওরা বালিতে শুকোয়ে
ব্যাগের মধ্যে যারা অনুভব শুকোয়ে
চামড়ার মতো বাইপাসে আমি জল ছেড়ে দিয়ে অনেক গাড়িকে সায়েন্স-সিটি গিয়ে
শরীরের মালভুম,পাঁজর উপত্যকা----এই তুমি সেদিন পাশে বসে ছিলে না
একদিন একদিন আমি কচ্ছোর দিকে চলে যাবো ; নুন জমে বরফের মতো
প্রগাঢ় রোদ আনে
যেমন ট্রেনের চাকার ঘোরা ;

দুটো পা ঘোরোয়া যতদূর...
বঁর্শি ?

লে হালুয়া
জাহানারাকে আমি কাগজের মিল পাঠাই
কাঠের গুদাম পুড়ে গেছে । দমকল ক্লু-এর মত ।জল আর আগুনের পার্থক্য নির্নয়ক ।
৩।
ইনাম শিলং গেছে । সনেটের মেল পাই না ।
২৬শে জুলাই আমি প্রথম ট্যাবলেট দেখেছি
মেক্সিকো যাকে আমি খেলতে দেখেছি
আইলিগ বাইচুং আমার ;
আমার শহরে মারাদোনা এসেছে
তোমাকে দেখছি দাদা, স্কুলে পড়াতে
আমি
ম্যাগ্রাথকে
দেখি ;
ঐশর্য রাইকে রায় বানিয়ে আমি ওয়েব ক্যাম খুলি
ফাঁকা বোতলে মসৃণ শরীরে বাড়ি উঠে যায় ।
৪ ।
জল থেকে চামচ উঠছে নামছে
কালো হাঁস
সাদা হাঁস
আমি সীমানা মাপছি ;

পুরোনো স্রোত থেকে যখন মাছেরা উঠে আসে
ওদের ডিম আমি ইকোলোজি করেছি
আমি
ডেটা কার্ডে
কোনো নেট ওয়ার্ক নেই ।
৫।
আমি যেমন একটা স্কেলের দিকে
স্কেল দিয়ে রং এর “র” দেখে
আমার বানানের “ত” টা “ৎ” করে দেয়
বারের টেবিলে পেঁয়াজের বাতাস
পিয়াসির মেল পাই ; ফ্রণ্ট পেজগুলো লাটিমঅলাদের কাছে
জিপ্সি এক গাইকা দেখে আমি রুমাল ছঁড়লাম ।
ইলেকসান / রঙ্গীত মিত্র
কোনো সময় আমি অনুভব করি যে আমার আত্মা খুব রুগ্ন
মায়ের মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে তোমার অফিসে আসি
তোমাকে দেখতে পাইনা ; বেগুনি জামায় রোদ লাগিয়ে আকাশ লাগোয়া কোনো বাড়ির মেয়ে
আমায় ভেঙচি কেটে ইকিড়-মিকিড় খেলছে; ও খেলা খোকোর মত
বিশেষ কেউ খেলে না ; সাইবার ক্যাফের এসি থেকে রিক্সাঅলা পর্যন্ত শপথ নিচ্ছে ভোটবাক্স
আমি অভিনয় করছি , এইবুঝি ওদের স্পাই এসে,ব্যাগের ভিতর ঝলসানো শরীর রেখে,কিসব আমাকে নিয়ে যাবে।


অট-সেভ
রঙ্গীত মিত্র

গ্লাসটা উবে গেলো ।
জল পড়ে আছে টেবিল ক্লথে
যেখানে মোমের দাগ
“ইউ ডু নট নো” একজন বাচ্ছা মেয়ে বল্লো
আমি রং লাগিয়ে জবরদস্ত শেষ হয়েছি ; অটো সেভ হয়ে যায়,বাড়ির পালক ।

তরল
রঙ্গীত মিত্র


বাঁদর এসে আয়না দেখছে । আয়নার ডায়মেনসান নিয়ে গুল দিচ্ছে
রাতে না কি আমার আর তোমার মধ্যের দূরত্ব কম
তুমি সেও ভুলে যাবে বলে আমি দু বছর লিখেছি
দাউদেরা এখানে ভালো থাকে ; ভালো থাকার পল্টন থাকা দরকার
গালবাজিয়ে কে আমার হারেম বানিয়েছো ?
আমি আমার দিক তাকিয়ে পাহাড়কে দেখি
একই দোষের প্রাচুর্য ;আমাকে কপি করে তুমি বোতলে ভরলে । তরলের কোনো দিক দেখতে পাইনা ।



প্রকাশিত
রঙ্গীত মিত্র

আমি পিছন থেকে পৃথিবীকে দেখি ; বক্স বক্স । অভ্র দিয়ে পৃথিবী লেখা আছে । তুমি কাল রাতের পর থেকে ফোন করলে না আমার পিঠ দিয়ে আকাশ টেনেছি । সবার না কি এরকম অভিজ্ঞতা আছে
রামের গ্লাসে যেমনি চাঁদের ছায়া
তুমি বৃদ্ধ হয়েছো । পাওডার লেগে আছে । এত কাক কেন ? জানলা নামিয়ে আমরা লোফালুফি খেলি ---সে এক এলাই ব্যাপার
বালিশের নিছে অ্যাশট্রে আর খাটের নিচে মদের বোতল
পিলের ফয়েল পড়ে আছে । আমারা আস্তে আস্তে শরীরের লুকোনো অংশকে প্রকাশিত করছি ।



ঋ-কারান্ত
রঙ্গীত মিত্র
আমার আকাশ ব্ল্যাকডোমেনের ডোম।
এসব না কি ভ্রমের মতো লেখা
গুজরাট হয়ে যায় আমার ধুলো;
এলো চুলের ধানের নব্যদান
চোখ-খুলে তুই দ্যাখ

সব ঋ-কার হয়ে যায়।

ঋ-কার দেখি
ঋ-কারে সন্দেহ
ঋ-কারে আমার ভয়।

ঋ এর ভিতর ঋ
মন্সুন এসেছে আমার ময়রা পাড়ায়।

বায়নোকুলার ; বসন্তময় হয়ে ওঠো নির্ভীক,বিচলিত না করে,বিরক্তসফলগুল্ম

রঙ্গীত মিত্র

আমার বৃষ্টিবেলার স্মৃতি ; মেঘের নামের মোমিন পুরের বাড়ি
তোমার স্পর্শে ভিজে যাওয়ার শব্দ
রান্না করে---যেখানেই উপাখ্যানের শুরু
মনের ভিতর সময়,ডেকে যায় ।
তবু,আর কত বিতর্ককান নিয়ে ,গুগুল খুঁজে চলি
এমন আন্তরিক ছিল না আগে কখনো,তালগাচের পুরাতনী টাল-মাটাল
বদলানো শহরের জেব্রাক্রসিং-এ,আজকাল,ওল্ডটেস্টামেন্ট পূর্ববর্তী নারীদৃশ্যর পরবপার্বন ।

গৃহকোণ
রঙ্গীত মিত

জলের আঁচলে আমি বালি
বালি লেগে আছে
ইঁটের থেকে
বালির ফুল
জল নিয়ে বহুদূর থেকে
এ বাড়িরা ও বাড়ি যাইয় ।


বয়স
রঙ্গীত মিত


ও হো সস বেশি লেগছে ;
একটি মেয়ে রেডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে
আমাকে জিজ্ঞাসা করলো ঃ নেতাজী স্টেডিয়ামটা কোথায়

হাল্কা গোলাপি রং-এর পিছনে

মাঠ হয়ে,আমি ধর্মতলার দিকে যাবো ।




আমার বান্ধবী
রঙ্গীত মিত

পকেটের ভিতর গর্ত থেকে একটা লোক বুঝিয়ে দিলো
বাথরুমের গাছ আছে এরকম দেখাতে গিয়ে
বন্দুক দেখলাম ; মেয়েদের দিক থেকে পুলিশ ফাঁড়ি
একজন পুলিশ বাসের থেকে ঘুঁষ নিচ্ছে
আমি ১১।৪৩এর রাতে,আমার বান্ধবীকে আমাকে পাঠাবো বলে,কাপ সাজাচ্ছি ।


বৃষ্টির পর
রঙ্গীত মিত্র

হরিণ ঘুরে বেড়ায় ;
ওদের পান পরাগ দেবো,এই রকম ভেবে রাখার সময়
একজন ঘরোয়াগোছের বউদিকে সিগারেট কিনতে দেখি
আমার সামনে দিয়ে একটা ট্যাক্সি ধাক্কা দিয়ে যায়,অন্ধকারকে
ট্যাক্সির ভিতর খুব কাছাকাছি থাকা একটি মেয়ে ও ছেলেকে দেখি
আমি পেট্রোল্পাম্প অবধি গিয়ে দেখি টলছি
একটাও রিক্সার অমনিবাসগুলো বাক্সে বন্দি
যে মেয়েটোর আসার সময় ছিল,সে লাইনে দাঁড়িয়েছে ; আজ মদের ভীড় হয়ে
সারা রাস্তার নির্জন সাজানোর ইমেল আইডি
আমি বাস বাস টাইপ করতে করতে অচেনা কারুক ফোন পেয়ে
ফ্ল্যাটের মধ্যে মজে গেলাম ।

আমাদের ৭২ নম্বর জীবন
রঙ্গীত মিত্র

পাখাদের ডানগুলো নিয়ে আমি ইলেক্ট্রনিক স্কোয়াস খেলবো
যেখানে ওরা রোজ স্ট্যাচু আঁকে
দিলদরিয়ার জল হাতে পড়ে গড়িয়ে আসে রোমের আমেজে
এখানে অজানা মেয়ে ভীষণ মিষ্টি লাগে,রোলের দোকান
এই বাড়িগুলো বৃদ্ধ হয়ে মদের দাম বাড়িয়েছে
আমাদের অফিস পেরিয়ে নিউমার্কেট
ট্র্যাফিক পুলিশ দেখি ; আমাকে কুর্নিশ করে কারা মোশাল লাগিয়েছে
ওদের ঠোঁট থেকে কমলা রঙ,তুমি কি আইসক্রিম খাবে
পা দিয়ে ট্রাম ঘষে ঘষে রাইটাস এইদিকে,এইদিকে রাজাদের বাড়ি
বাড়ির ভেক দিয়ে রাতেরট্রেন,ভাগে ভাগে নিরুদ্দেশ চলেছে ভাঁটায়
যে বালি চটকল দেখে,ঝড়ের পাটাতন উড়ে আসে,ওকে আমি পোস্টকার্ড দিয়ে অন্য কারুর হাতে ছেড়ে চলে এসেছি ।

গোয়ার বিচ

পাখিরা মেঘ মুখে করে বাসা বানায়
একটা বোতল উলটে দিল ইয়া বড়া পোকা বেড়িয়ে আসে
শীতকালের দিকের ফিরে আসার গাছপালা আমি দেখছি
গাছের মুকুট খুলে আমি তলোয়ারে লাগিয়ে পতাকা বানিয়েছি
আকাশের তারারা বিদ্যুত সাপ্লাই করছে । তোমার শরীর থেকে গোয়ার বিচের শুরু ।

রঙ্গীত মিত্র



ওয়ার্ল্ড কাপ আমি আমার পাড়ার মাঠ থেকে বেলুনের চোখ

রঙ্গীত মিত্র
বৃষ্টির পর গাছের ছাল ঘষে ঘষে জলের বাড়ি
বাড়ি বানাতে গিয়ে আমারা যেমনি সিমেন্ট আর
ব্র্যান্ডনেম খুঁজতে গিয়ে প্রোমোটার দেখি
যারা ঘার ধাক্কা দিয়ে গাছেদের বার করে দিয়ে
পাহাড়ের উপর থেকে সুইসাইড করে শীতকাল
আমি পেলিক্যানদের ভীড়ে তোমাকে স্পর্শ করে,গুলতি খেলি
এই ২ মিনিট বাদে,নেলসন ম্যান্ডেলার খবরটা পড়লাম।ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ আরাম্ভ হলো ।
মৃতদেহ
রঙ্গীত মিত্র

প্ল্যাস্টিক্টাকে ছিঁড়তেই পারছি না ;
আমার মেঝে তাতে চড়ে বসেছে
যেমন আমার নিচে কেউ আছে
এরকম অনেক ঘটনা লিখে
নব্বই তলা থেকে হেলমেট পড়ে গ্যেলো
বাতাসে সাঁতার দাও; ডলফিন হয়ে যাক পেলিক্যান

বাক্স নিয়ে খেলতে খেলতে আমি একটা বাচ্ছার মৃত দেহ আবিষ্কার করলাম ।
বৃষ্টি ও ঝাড়া হাত পা

রঙ্গীত মিত্র

তুমি হাত দিয়ে মাথা ধরে আছো
নরম টিপ লেগে আছে
আমি যেমনি মেঘেদের ট্যাংকের উপর রেখেছি
দুজন ছেলে রৃষ্টির রা রেখে দেওয়া রাস্তায়
মিলিটারি হেঁটে
আমার সাম্নের গাছটার ভালো মন্দ নিয়ে আচারঅলার,ওদিকে যে মেয়েটা থাকটো
রেশ্মির ফোন ধরিনি ; একটানা স্মোক করে মাথা ধরে আছে
এইরকম বৃষ্টি হলে টয়লেটের গন্ধ উঠে আসে
“অরব্যের দিন রাত্রি”—থেমে গিয়ে আবার বল্লাম “অরণ্যের দিন রাত্রি” চলছে
আর তুমি হাত দিয়ে ধরে আছো
এখানে চরুটের থেকে ও ভালো কিছু ছিলো
নেহাৎ বিয়ারের ক্যান পাওয়া যায় না
একটি মেয়ে একটা বাইকে একটি ছেলেকে জড়িয়ে আমাদের
দেখে গেলো, এই পার্কে
আসলে ঘরে থাকলেই,কেউ না কেউ আসে
বিরক্তি শব্দটা আমাদের অভিধানে নেই বলেই
ওরা মোহনায় বসে আছে
বিকেল তার সুতো ছাড়িয়ে,সূর্যের হস্তান্তর করতে নৌকা পাঠাচ্ছে
দূরত্বগুলোকে আমারা দাগ দিয়ে , অনুঘটক বানবো ।



৯জুন
রঙ্গীত মিত্র

মধুমাস মুলতুবি রেখে আমি লঙ্কার খেতে এসে দেখি
পাখি ছেয়ে গেছে
ব্যাংকের অ্যাকাউণ্টবুকের ভিতর যেমন চেয়ার টেবিল
দেখি
তোমার কোলে মাথা দিয়ে আমি বিকেল দেখেছি
আমাদের দুজনকে কেন দেখছো হে ছেলে
এভারেস্ট ছঁড়ে দিয়ে,উঁচু গলায় পাইপ দিয়ে বাফেলোরা ডাকে
আমাদের দিকের শিকাগো কিম্বা মেক্সিকো কলকাতা হয়ে,
গহণা বানায়,
আমার
মা ।

বুনশেন-বারনার
রঙ্গীত মিত্র
বেঁচে থাকা একটা অভ্যাসের মত ;
একবারর হয়ে গেলে আবার ফিরে পেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় ।
আমি ভায়োলিন নিয়ে শিখবো বলে
কুলপিঅলা এলো
সাইনবোর্ড থেকে রোদ বুনশেন বারনার হয়ে যায় ।
আগরা/রঙ্গীত মিত্র
তোমাকে অনেকবার বলেছি প্লেন দেখতে
প্লেন দেখতে দেখতে আমার খুব মজা হত ।
আমি ১৩ নম্বর একটা জার্সি দেখছি
আমাদের পাড়াতুতো একটা ফ্ল্যাট ফেলে দিয়ে বুঝেছি কাকে ইলেকসান বলে
আমাদের দেহের ওজন বাড়ছে দিনকাল
পেনের খাপের স্মৃতি পুরেছি আমি
এই দেখ,ছুঁয়ে দিলাম ; অভিজ্ঞ কোন নরম কিছু হাতলে টেনে নিয়ে, আগরা চলে গেলে ।

আগরা/রঙ্গীত মিত্র
তোমাকে অনেকবার বলেছি প্লেন দেখতে
প্লেন দেখতে দেখতে আমার খুব মজা হত ।
আমি ১৩ নম্বর একটা জার্সি দেখছি
আমাদের পাড়াতুতো একটা ফ্ল্যাট ফেলে দিয়ে বুঝেছি কাকে ইলেকসান বলে
আমাদের দেহের ওজন বাড়ছে দিনকাল
পেনের খাপের স্মৃতি পুরেছি আমি
এই দেখ,ছুঁয়ে দিলাম ; অভিজ্ঞ কোন নরম কিছু হাতলে টেনে নিয়ে, আগরা চলে গেলে ।

দরজা /রঙ্গীত মিত্র
জোনাকিকে আমি কখনো ঝাঁকাইনি ;
শুনেছি আড়ালের টুকরো টুনি বাল্ব ঝরে পড়ে
আমার হাতে অতি অল্পদিন
যেমনি ঘোল বানানো হয়
এই দুই বছরের অবসর ও কিছুই নয় । দরজারা লাফাচ্ছে ।

বাস-২ /রঙ্গীত মিত্র
যে মেয়েটি আমার জন্যে ভাবে
তাকে,তাহাকে যৌনতা দিয়েছি
আমার বাবা সব সময় অশান্তি ছড়ায়
আমি লুচি বেগুনের গন্ধ পাই ;
ছোট বেলা থেকে এইভাবে নিজেকে ব্যবহৃত হতে দেখে
স্কুলে যাই ; দুপুরে খেলি ; আর বাক্সের ভিতর
থেকে আমি আলাদা হয়ে যাই ; তুমি অন্য বাস ধরো ।

টাইটেল / রঙ্গীত মিত্র
তার থেকে তার থেকে ঝুলছে
সকাল দশটার রোদ খুব গরম
আমাকে তেলে ভাজার কথা বলে
যেরকম তুমি বোঝাতে,লজেন্স কিনে দিতে
আমি মোলাট বানাতে গিয়ে সব্বার টাইটেল দিয়ে ফেলি।
চাকা
রঙ্গীত মিত্র

ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রে-ম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেপারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতির দৃশ্যফসল ইত্যাদি দেখছি ।


চাকা
রঙ্গীত মিত্র

ধানগাছের অভয়ারণ্য হয়েছে ;
টোকো আমাকে কাল সারা রাত এইরকম বোঝালো ।
আমি কিছু গ্রেম্যাটার ছেড়ে দিলাম ;
একটা কাঁচের ডেলা আমার পায়ের কাছে চলে এলো
আমি পেয়ারওয়েট বলে আমার খাতার উপর চাপা দিলাম
যেরকম বাড়ির নিচে চাপা থাকে ।
ওয়েস্টইণ্ডিজের ছবি দেখছিলাম ।চাকার নিচ থেকে স্মৃতি ও সিনেমা ইত্যাদি দেখছি ।

আমার পাড়া
রঙ্গীত মিত্র

আগ্নেয়গিরির পাশ দিয়ে যাচ্ছি ;
বাসের জানলা থেকে গরমের নিশ্বাস শুনতে পাই ।
বাসেরা জামা পরে থাকে
কাঁচের তাত থেকে আমাদের ঝাল দিতে শেখা
দুজন মেয়ে এই রোদ্দুরে ছায়া নিচে দাঁড়িয়ে । গাছের ছায়ার সঙ্গে বাসার একটা মিল আছে
এরকম হামেশাই হয়
আমি শান দিতে আসি । শানঅলা সাইকেল নিয়ে ,আমার পাড়ায় আসে ।
নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।

নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।
নাগরিক
রঙ্গীত মিত্র

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ;
জিরের রং এসেছে ।
আমার ব্যবহৃত ছাপ
ভোরের রাস্তায় দেখি ;
আর একটি ছেলে হাফ প্যাণ্ট পরে পাহাড় তাড়ায় ।
আমি তাকে মেহগনি পাঠাবো বলে সুতো দিয়ে বাক্স বাঁধছি
হারানো পাখিদের নাম আমি ঠিকানায় লিখি ; ঢোল নিয়ে বহুরূপী নাগরিক হয়ে গেছে ।


বিস্ময় ও চিহ্ন
রঙ্গীত মিত্র

অল্প কিছু উত্তাপ ; উত্তাপের দিন
যারা এসেছিল তাদের কালো একটা ঘরে দেখছি
গানের শব্দ ; টেবিলের থেকে শব্দ ও তার উৎসের দিকে চেয়ে আছে
যেমন খোসা লেগে থাকে ; খোসা ছাড়িয়ে আমরা পাই ;
নারকেল নিয়ে একটা ভ্যান আসে ; কিন্তু আমি একটি মেয়েকে দেখি এবং ওর দিকে হাঁটতে থাকি ।


আমার কথা

এখন মনে হয় কেন আছি?আসলে অনেক কিছু না পছন্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় । আনাকে নিয়ম দেওয়া হয় । এইবার মানো । কলজে হুলিয়া জারি করে । বন্ধুদের সংগেও বুঝি আমার দূরত্ব অনেক । এখন লোকাচারগুলো মেকি দেখা যায় । যেমন আমার বাবা । রোজ শোনায় চাকরি করা দরকার ।বাড়িতে থাকলেই রাজনীতি করে । বাজে ব্যবহার করে । আমাকে আমার মত থাকতে দেয় না । আমাকে দাসত্ব মেনে নিতে হবে? অথচ আমি দেখছি যে আমার বাবা বাইরে কত উদার মানবিক---আসলে এইরকম অভিনয়কে ঘৃণা করি । আবার দেখুন তারা আমাকে গালাগালি দেয় । এরাই কি ঠিক করবে কোনটা ঠিক,কোনটা ভুল । আমার বন্ধুরা বাড়ি আসলে তাদের সামনে এক ব্যবহার করে পিছনে আর এক । আমার বন্ধুদের ভুল বোঝায় ।আমার সম্বন্ধে সর্বত্র একটা ভ্রান্তিমুলক ভাবমুর্তির বানানোর প্রয়াসে সক্ষম হয় । আমাকে এইভাবে নির্যাতিত হতে হয় । এই যে আমার বাবা কিছু বোঝে না । অথচ একটা ক্ষমতার অধি্কারী—আমি এর বিরুদ্ধে । আমি কি ভুল করেছি? কবিতা লেখারয কি অপরাধ ? যারা বাহ্যিক-অনুসঙ্গের ব্যবহার করে আমাকে হত্যা করতে চাইছে—একদিকে তারাই আমার প্রিয়জন । জানি না আমার প্রেম এইজন্যে হয় নি । সবই আমার দোষ । আমি হয়ত এইভাবে বেশিদিন বেঁচে থাকবো না ।আমার সাহস ভেঙে দেবে বিরক্তি ।পেটের ভিতর থেকে অন্য খিদের রং আলো হয়ে আসে । আমি যা খারাপ তাকে ঘৃণা করি ।তবে চাকরি/অর্থ দরকার ।হয়তো কেন—নিশ্চয় দরকার । তবে আমাকে আক্রমণ করে,আমার লেখাকে আক্রমন ক রে কি হবে—আমি যেটাকে ঠিক বলে মানি সেটাই বলব । যৌনতা,নেশা,পাগলামো---এইগুলোর সঠিক নিয়ন্ত্রণ প্রোয়জন । মেকিআধুনিক আমি নই ।কারণ এতে আমি বিশ্বাস করি না । তাই আমি একটা নিজেরমতন বানিয়েছি ।
নতুন কিছু পেলেই পড়ি। দৃশ্য সংগ্রহ করি ।অনেকের মত নকল করি না ।পিছনের দরজাকে আমার দুয়ো—আমি ওখানে যাই না। আমি ওপেন সোসাইটির স্বপ্নে বিভোর হয়ে বসন্ত ছড়াই;দেখি গ্রীষ্মের ও সৌন্দর্য্য আছে ।

রঙ্গীত মিত্র
কলকাতা
২৯।০৪।২০১০ ; সকাল ঃ ১০।৪৭

ডাঙার শিরার রোদে---প্লেন ও আর একজন

রঙ্গীত মিত্র

শব্দ নিয়ে আসো তুমি মঞ্চপুরে
মঞ্চের ও পোউষ থাকে ;
এইভাবে পার্বন চেনা
পার্বনে অদৃশ্য কিছু মাইকের গন্ধ নিয়ে থাকে
যেমনি দরজারা আনমোনে খোলে
কোথায় অনামি মেয়ে,নদীস্রোত কাটো
নদীর ভিতর বদ্বীপ ও থাকে
আমার বিছানা আজ উথাল-পাতাল
অ্যাসেজ-সিরিজ বলে,হাত কামড়াই
ওলের মত সূর্যটাকে লাগে
হিন্দি সিনেমার গানের সঙ্গে মিষ্টি পানের রোদ
রাত গাড়ি ধরে ;
রাতের দুধারে শুধু গাড়ো উপত্যকা
ফলন নামেনি মাঠে,খুব মহাজন
শহরের আলো আসে আমাকে তোমাকে
তোমার শরীরগঠন থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখি;শেষ ট্রেন আলোকহীনতা পোহায়
তারপর সব ভুলে গেছি,সুফি শেষ গেয়ে গেছে অমর-কলি
বৃষ্টি দেখেনি আমি এরকম ঝড়ে ; ঝটকায় নেশা লেপে মুখ ধরে জলেদের কাছে
পাতার ছায়া আসে----চালুনিতে এমনিই ঝাঁকাই ; এখানে কর্তাল বাজে ।বিষন্নঘোর ; একটি দুটিতুমি কলেজ গিয়েছিলে,এখানে নতুন বন্ধু,বান্ধব ; এইবার বুন্ধুর কথা অব্যয় হয়ে ল্যপটপ ল্যাপটপ ডেটা কার্ড খোজে
আমাকে পাগোল বলে মেট্রো দেখেছি ; উত্তর কলকাতার কোন পুরোনো বাড়িকে জিজ্ঞাসা করলে সব সমাধান
সারা রাত তোমাকেই ভাবী ;তৈমুরের মত কিম্বা ভ্যানগগের মত---আমাদের কেউ বোঝে না ।বরং আলাদা হবার বিরক্তি আসে ; বিরক্তি অভাবের মত । ব্রীজের নিচে আলোদের ব্রিকজন্মসাল নিয়ে চাদর উড়ছে---ভলক্যানো ভলক্যানো বরফের ভিতর পুঁথি লিখে চলে ।আর আমি হট্টগোল পেতে আছি—এইটাই বাঁচারগিল্ড ; চারদিকের কবরের ঋতু ; ঋতু শুধু তোমাদের বলে । আমাকে ডাঙার শিরায় ফ্যেলে,ওমন অজানা সুর গ্রহদের জান নিয়ে গেলে ।



সোনামনি
রঙ্গীত মিত্র
আমি এক ফালি অন্ধকার সিঁড়িতে ছড়িয়েছি ;
যেরকম ডুবো নৌকায় থাকে ;
অল্প জল ঢুকে গেলে আলতা মুচে গিয়ে
তোমার জানলার পর্দা ফাঁক হয়
বিকেল ঢুকে পড়ে সোনামনির বিছানায় ।
পর্দা
রঙ্গীত মিত্র

দেখার ভিতর বরফি দেখতে পাই ; বরফি বরফি দিয়ে যে সব ছবি আটকে থাকে
তাসের মত সে প্ল্যাস্টিক
সুতো দিয়ে সুতো দিয়ে আলো সেলাই হচ্ছে
এদিকে ডালের দাম বেশি ; লোকসভার মধ্যে মর্নিং স্কুল দেখি

নাটকের সময় পর্দা দিয়ে সব পরিবর্তন করা সহজ হয় ।

ফ্লাওয়ার ভাস্ক
রঙ্গীত মিত্র
জামার হাতলের থেকে সুতো ওড়ে ;
কে যেন মাইক লাগিয়ে দিয়ে গেছে
আমি খাওয়ার দোকানে লম্বা লিস্ট দেখি
টেবিলের উপর কাগজ রোদ্দুর খাচ্ছে
এইবার এবং লিখলাম ; এবং লিখেই বুঝলাম ম্যাজিক হয়েছে
রবারের বলটা গোলস্ট্যাচু খেলছে
রায়ানদের জানলায় এখন কেকের গন্ধ ; আমি পকেটে থেকে সেলিনার বার করে ফুলের মত টাঙিয়ে দিলাম ।

গাড়ী
রঙ্গীত মিত্র

ওই ঐটার জন্যে আমি একটা ট্রেন মিস করেছি ;
বাল্বের আলো কেটে গেছে ।
দেওয়ালে ঘষে ঘষে চুন পড়ছে,
গাছের শিকড়ের মত জল লেগে ;
এইসব ভেবে যা হওয়ার ছিল না তাই নিয়ে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে আমার বাড়ির সামনে ।

বেহাত
রঙ্গীত মিত্র

বালতি দিয়ে সব ঢেলে
বালি ফেলতে গিয়ে,গায়ের জামা থেকে আলো এলো
ওরা আমাকে একটা দোকান দেখালো
এখানে ধুমের জিয়োগ্রাফী একটু এগিয়ে
আমার হাত থেকে বিয়ারের ক্যান ; সিগারেটে প্যাকেট নিয়ে নিলে ; অপেক্ষা করছি স্টিয়ারিংটা বেহাতের জন্যে ।

বাড়ির রাস্তাগুলোর বন্ধ হয়েছে
রঙ্গীত মিত্র

আমি দু-একদিন কাদাপাড়া গেছি ;
ফুটবল স্টেডিয়ামটার নাম পড়েছি

অনেক বার ।

এক ছাদে আমার প্ল্যাস্টিকের বল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান খেলছি,
২৫ পয়সার মত আরো কিছু পেলে একটা ট্রফি বানাতাম ;
আর , তোমাদের জানলার গান ধরে একটা হারমোনিয়াম দেখি

পকেটের ভিতর এখন খুঁজতে গিয়েও ডামাডোল ছাড়া কিছু না পেয়ে,ইচ্ছে করে বাড়ির রাস্তা ভুলে গেছি ।

আলাদা মানুষ
রঙ্গীত মিত্র
আফ্রিকান সিনেমা দেখছিলাম ;
যদিও আমার সকাল আসে দুটো দুধের প্যাকেটে
আঠায় হাত আটকে যায় ; ইংরেজিতে আমার ভয়েসমেল বক্স জানায় খবর কি ?
রোদ ঝাঁট দেয় প্ল্যানেট এম
আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলার আড্ডার জায়গায় যাই ; রোজ রোজ মুখগূলো আলাদা মানুষ হিসেবে থাকে ।

এব্রাহাম ইত্যাদির পর নালিশ জমেছে ফুলের ভিতর ঃ তোকে শোনাতে চাই
রঙ্গীত মিত্র

লিভারপুলের খেলা দেখা---গাছের শিকড় লেগে
থাকে ;
আসলে বয়স হলেই আমরা ক্রিম মাখি
দোকানে যাই ;

একটি কুড়ি বছরের মেয়েকে দেখে খুব রাগ হয় ।
এই এই ছ্যালেটা—এই সব বলে বাসে উঠি ; আমার চোখ পৃথিবীর মত

রিক্সার ঝুল নিয়ে বেদুইন ইত্যাদি ঘাঁটতে ঘাঁটতে গ্যামাক্সিন,ডাস্ট এসব বুকে ঢোকে।

আলো ভাড়া করে আসার পাড়া থেকে

রঙ্গীত মিত্র
১।
আড়ালসম্মতিপুর আমার আকাশ
কিছু গাড়ি ভোর নিয়ে আসে ;
চিমনি থেকে আগুনের গন্ধ পাই ।
আগুনের আকরিক নিয়ে যারা শহর বানিয়েছে
তাদের হলুদ টুপি থেকে টর্চ লেগে,
আমিও মিতালি করে
মহুয়া ছড়িয়ে
পাহাড় ; পাহাড় থেকে বৃষ্টির জল আসে ।
এইবার স্পেস দিয়ে অনেক উজ্জল দেখি
আকাশের গায়ে কে যেন পিচকারি দিয়েছে ।
পিচকারি রং নিয়ে রসায়ন পড়ি
কোনো সময় ভাবি আমি একটা বিশাল পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে
জলগুলো বিছানায়
কে যেন সারা দিন প্রেয়ার করছে ।
২।
সেন্ট পলস চার্চের ভিতর ঢুকে ছিলাম
জোড়া গীর্যার সামনে জামা নিয়ে ফলের দোকান
ওর পাস দিয়ে আমার স্কুল ।
নিউমার্কেটে আমি আমার দাদাকে দেখেছি
কিম্বা এসপ্ল্যানেডে গিয়ে একটা স্ট্যাচুর নাম জিজ্ঞেস করতে গিয়ে দেখি
কাক উড়ছে ।
কাকের ওড়া উড়ি দেখে আমার ডিসকভারি ডিসকভারি হয়
বল নিয়ে অনেকগুলো স্কুল পালানো ছেলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে
বোব্যারাক “কোথায় দাদা এবং কিভাবে যাব”
এভাবে হারিয়ে যায় ; পকেটের ভিতর ধুলোর আস্তাবল আসে
ম্যাঙ্গোবাইটের হোডিং দেখে
মেসোপোটেমিয়ায় চলে যাই
বড় ঘড়ি থেকে জাহাজের ডাক আসে
ডাকের দিকের থেকে একজন আইরিস মহিলা এসে
বুঝতে পারে না
আসলে ব্রীজের নীচে ব্রীজ হয়ে আছে ।

৩।
জল নিয়ে জল নিয়ে ভাসান দেখেছি
এখানে উৎসব জমা হয়েছে ।
তাদের ঝালোর গুলো
সানগ্লাস পরা :
রিয়েলমাদ্রিদের রাস্তায় আমার সেই লাল টুপি অলা লোকটিকে মনে হয়ে ছিলো
“কেন সে এরকম বাঁশি বাজায়”
আমাকে নাইকের বিজ্ঞাপন বানিয়ে দাও
দুজন মডেল আমার পাশ দিয়ে পুষ্পক রথ নিয়ে চলে গেলো ।
রথের আলোরা জেব্রা মানে না
আকাশের ভিতর ডলফিন দেখি
সালফার মেঘ হয়ে জমে
নদী স্রোত দেখি ;
নদীর জল নিয়ে সমুদ্রে মেশ
যদিও আমি পুরীর ছাড়া আর কোন সমুদ্র দেখিনি
সমুদ্র আমার শৈশব নিয়ে কাগজে পোরে
কাগজ কাগজ নিয়ে আমি স্বপ্ন বানাই
লাল রং-এ দাগ দিয়ে কে যেন গীতা পাঠ করছে
একদিন একদিন করে দু-ইতে এসেছি
আমার দরজাগুলো ছোট হয়ে এসেছে ।

৪।
যেখানে ক্ষতের কোনো শেষ নেই ;
কলকাতা ছাড়িয়ে আমরা এখন অনেকদূর
গাছার ডালের থেকে আমি মেঘ টান্তে শিখেছি
তিস্তাকে আরো নিজের বলে ভেবে
শীতকাল বিদেশিপাখি চড়ায় ।
অনেকটা ট্রেক করতে হবে ; চড়াই উথরাই
ঝরণার জলে রোদেদের টিপ সই
একটি নেপালি ছেলে,গান গায়
ওদের গানগুলো ফুল হয়ে আছে ।
আমার ডাইরির আগের পাতা থেকে এই সব সংগ্রহ করে
ডিজনিল্যান্ড যাবো
যেখানে টয়ট্রেন আকাশের দিকে
রোপোয়ে রোপোয়ে বলে
মেঘ করে আসে
মেঘের ছাঁচ নিয়ে
আমি ক্যাডবেরি খাই
টাওয়ারহীন মোবাইল থেকে ঝুলে আছে
আমি আইপডে রবসন শুনি ।
কোথায় কাঠের বাড়ি
একটা বুনো কিছু দ্রুত সরে যায়
ভীষণ সতেজ হয়ে মাউথ অরগান বাজাই
পিচের রাস্তা দিয়ে চিহ্ন লেখা আছে ।

৫।
সমুদ্র যাত্রার প্রবালদ্বীপ হয়ে যায় ;
উঁচু থেকে সবুজ চাদর
যেভাবে তোমাকে দেখা ; ঘুম চোখে রাত মুচে
ছবি আঁকে যারা ;
সেই সব পাত নিয়ে গাছেদের সভ্যতা
আয়নার দিক থেকে আমরাও দেখি ।
আমার দেখার ভিতর দুটে গ্লাস আর অ্যাশট্রে
বিছানায় তার আগে কিছু পড়েছে
পুড়ে যাওয়ার রং আমি কালো পেনে টানি
স্কেচের রং আসে জৈব ভীষণ
আপাতত ঃ সবটাই দৈব বলে জানি
আমার জানা শোনা এই পর্যন্ত
যেমন ভোর হলে একটা টিকিটিকি গরাদ বলে লিখে দেয়
সুমিতা গান করে--সা রে গা মা মোজেক বসেছে আমার ঘরে
আমার ঘর শুধুই অগোছালো
খবরের ভীড়ে শীতঘুম
মোবাইলটা সরিসৃপ
হিসেবজনিত ভাবে
ডিম পারে না ;
ডিমের সাথে যেগুলো অবৈধ বলে
আমারা তার টানাই
দেওয়ালে পতাকা টানি
এই যদি দুটো শুশুক দেখা যায়
নদীও বৃদ্ধ হয়
এর ফাঁকতালে অনেক তেল জমে থাকে
মাঝরাত আড়ল করে টিভির আড়ত
কোমড়ে ট্যাটু করি ; কোল্ড ড্রিং-সে ক্যাপ জমাই
ল্যাস্ট কবে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম জানি না
নামগুলো ভুলে যেতে চাই
ভুলে যাওয়ার উপর স্বপিং-কমপ্লেক্স জন্মায়
ধারালো পাত দিয়ে সূর্যের ট্রেসিং করি ।

৬।
ফিজিস্কের খাতা শেষ হয়ে গেছে ;
আমি ডেম্পোর খেলা দেখছি ।
দই-এর ভাঁড়ে এখন ও ঠিক ঠাক জমে ওঠেনি
গোঁইয়ানির শব্দশুনি
এখানে শব্দেরগুণিনেরা ব্রজবুলি বলে
অদৃশ্য কিছু হার্পুন এসে চুল টেনে
ফূটপাত শেখায়
এখানে ফূটপাথ বেদখল হয়ে গেলে
ঝুপড়িরা গ্রাম থেকে আসে
৬০ হর্সপাওয়ারের নীচে কাজ চলে
একটা সাদা বেড়ালের চোখের মত
হিপনোটাইজ
তোমাকে দূর থেকে বোঝা যায় বলে
ডট নেট শিখি
আমার বাড়িতে হলুদের বড় অভাব
তাই প্রজাপতি নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরে যাই
রাতে ভ্যানগগের স্বপ্ন দেখি ।



৭।
কমলা লেবু খেতে হেঁটেছি
তুমি ঠিক এই সময় স্কুলে যাওয়া
কিম্বা তোমার বন্ধুরা কারা
বয় ফ্রেন্ড আছে?
মোবাইল নাম্বারে
ইস্তিরি চালাই
গলির ভিতর মাঝে মাঝে গালীবকে দেখি
আমার কানের ভিতর পশ্চিমিসুর
রেশ্মি অপ্সরার হাত ধরে টানে
এসির রেট কত ?
সব প্রদীপে ভাসিয়েছি,জলে
এমন চাঁদহীন রাতে
ঘাস জমে ; ঘাসের ভিতর থেকে ফুর ফুরে হাওয়া
নরমতাঁবেদারি থেকে তোমাকে ধরি
পৃথিবীর ত্রিভূজাকৃতি নিয়ে আমাজন বুঝি
এদিকের খোলস কিরকম
ফ্যাশন প্যারেড চলে
আমার দেওয়ালে গুহাচিত্র হয়ে,পর্দা ঝোলে ।
৮।
তোমাকে স্পর্শ করবো বলে পাইন গাছ
পাইনফল দেখি আরো উপরে উঠি
খানিক ক্লান্তি আসে ; আবার জিরোই ।
আমার পিঠের ব্যাগ থেকে বিকেল ডাকা পড়ে
খুব গোপন ভেবে নদীদের বাড়ির পথ ভুলে
ফোক্কোরে মাছ এসে সোনারং ফোঁটা
গাছের আয়ুর বেদ আমি জানি না
টুকি বলে প্যাডেলিং করি
ক্রমাগত ক্রমাগত ঝাঁপ দিয়ে ফিরি
ফেরার জলছাপ নিয়ে সূর্যের বাড়ি ধোয়া হয়
আমার সামনে কেউ যন্ত্রচালায়
ওসব বৃথা ভেবে
অথবা পারবো না
আমি কাদার ধাঁধা বানাই ল
আর
বাইবেল পড়ি ।
বাইবেলের সেই তারা দেখতে গিয়ে বুঝি
আমি গ্যালিলিও নই ;
চারপাশের বিষন্ন ডিসঅরডার
আমি বিষুব আনিবিশকে বলি প্লুটোর সমুদ্র
ইউরেনিয়াম ও ইউরেনাস নিয়ে ভাবার আদমসুমারি করি
নেসকাফে খাই ।
একটা নেকড়ে এসে আমার পা দেখে
আমি খুঁটি নিয়ে অরণ্যদেব হয়ে থাকি ;
হ্যাডকের কার্টুন দেখি
ক্যালসিক্যাল মিউজিক শুনি
আর আক্ষেপগুলো হাউসকোর্টে বসে আবার খেলা সাজাই
সাজানো গোছানো সব আবার বদলিয়ে ছায়ার সাথে ছায়া আবার ওঠা বসা
রজনীকান্ত শুনি পুরাতনী গান; নিজের ফানেলের ভিতর রাংতায় মোড়া
আস্ত ম্যাজিক দেখি ঘূর্নিতে আমি ; আমার ভিতর দিয়ে “রিং-এর রাজা”
অদৃশ্যের সাথে কথা কই ; মৃত মাহুতে মত চরকা উড়ছে
পাথারের চাতালে আমি অমরাবতী বানানোর ময়দানবের লিংক নিয়ে,মহাকাশ ভাড়া করে আছি ।

রঙ্গীত মিত্র ; ৩ এফ ঝিলরোড ; কলকাতা-৩১ ; ঢাকুরিয়া ; পশ্চিমবঙ্গ । ফোন নং ঃ ৯৬৮১৬৬১৮০৬